আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পাকিস্তানে নববর্ষের উদযাপনে গুলি, আহত ৩০

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে খোলা গুলি চালিয়েছে অনেকে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ । পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এর আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নবর্বষ উদযাপন নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান।দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজা ও পশ্চিমতীরে নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুসলিমবিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।

তিনি বলেন, গাজাবাসীর শোচনীয় ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য পাকিস্তানের সরকার নববর্ষ উপলক্ষ্যে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

আরও পড়ুন>> টেলিভিশন লাইভে অবসরের ঘোষণা ডেনমার্কের রানির

তারপরও বিচ্ছিন্ন উদযাপন ছিল পাকিস্তানে। খোলা আকাশে চালানো  গুলিতে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে করাচিতে গুলির আওয়াজ শুরু হয়। এতে আহত হয় শিশু ও নারীরাও।

এরপর আজ সোমবার হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একদিন আগেই করাচির পুলিশ প্রধান সতর্ক করেছিলেন, আকাশে গুলি চালালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হবে।

করাচির নাজিমাবাদ, লিয়াকতবাদ, রিজভিয়া সোসাইটি, হুসেইনাবাদ, বাহাদুরাবাদ শাহ ফয়সাল কলোনি, কিয়ামারিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নারীর গুলি চালানোর ভিডিও ভাইরালও হয়েছে।


আরও খবর



সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের পরও ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬০।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। বায়ুদূষণ সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চেয়ার দখলের ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

শেষ সময়ে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। আগামী মঙ্গলবার (২১মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও অংশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ভাগ্য নির্ধারণের দিন হানাহানি শঙ্কা করছেন ভোটাররা। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক (আনারস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব (ঘোড়া) ও আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল কাদের (মোটরসাইকেল) প্রতীকে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। তবে তিনজনের এগিয়ে রয়েছেন।

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে রানীশংকৈল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী (টিয়া পাখি), সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা (টিউবওয়েল), কৃষক লীগের সভাপতি বাবর আলী (চশমা), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্র নাথ রায় (তালা) প্রতীক ও শেফালী বেগম (পদ্ম ফুল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল (কলস), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন (ফুটবল) ও শারমিন আক্তার (হাস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা কমিটি তাকে বহিষ্কার করেছেন।

এব্যাপারে হযরত আলী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন বলেন, দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করার অপরাধে হযরত আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারণা-সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নির্বাচনী গান পরিবেশন ও মাইকিং করছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটাররা মনে করছেন রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মূল লড়াই হবে ঘোড়া প্রতীকের আহম্মদ হোসেন বিপ্লব ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল কাদের। তবে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে আশঙ্কার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের আহব্বান জানান তাঁরা।

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ ৯১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ২৮১ ও মহিলা ৮৯ হাজার ১১০ জন। আর ভোট কেন্দ্রে ৬৬ টি।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলী। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



সিআইপি কার্ড পেলেন চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত করেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী রয়েছেন। অন্যদিকে পদাধিকার বলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা।

দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০২২ সালের জন্য মোট ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে ১৮৪ ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

চট্টগ্রামের নির্বাচিত ১২ সিআইপি হলেন, কৃষিজাত দ্রব্য একক ক্যাটাগরিতে (একক) নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান, এগ্রোপ্রসেসিং (একক) ক্যাটাগরিতে আগ্রাবাদ কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নীটওয়্যার (একক) ক্যাটাগরিতে ডবলমুরিং এলাকার ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে নাসিরাবাদ শিল্প এলাাকর কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে বায়েজিদ কুলগাঁও জালালাবাদের রিটজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মো. জামশেদ আলী, টেঙটাইল (ফেব্রিঙ) একক ক্যাটাগরিতে পটিয়ার কালারপুল এলাকার ফোর এইচ ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিস সাহারা চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড বিসিক শিল্প এলাকার মেরিন সেফটি সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা অংশীদার গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে নগরীর সদরঘাট রোডের বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সরাইপাড়া সাগরিকা রোডের মনির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন, ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেড প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেডের ইউনিটি স্টাইল এন্ড এঙেসরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী। অন্যদিকে সিআইপি ট্রেডে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন ইস্যু করবে। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কাউকে প্রদত্ত সিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



নরসিংদীতে বজ্রপাতে একই পরিবারের ২ জনসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে বজ্রপাতে দুই নারীসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে আলোকবালী গ্রামের ইমন মিয়া, সুফিয়া বেগম এবং কাইয়ুম মিয়া মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল পরিবারের আরও ৩ সদস্য। দুপুর ১২টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। নিহত সুফিয়া এবং ইমন সম্পর্কে মা-ছেলে। স্থানীয়রা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নরসিংদী সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতরা চিকিৎসাধীন।


আরও খবর



মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪