আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

পায়ের ৫ লক্ষণ: জানান দেবে শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল বাসা বেঁধেছে কি না

প্রকাশিত:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া জনমানুষের কাছে একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়। এই রোগে রক্তপ্রবাহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেখা যায়। এই বাড়তি কোলেস্টেরল রক্তপ্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়। হৃদ্‌রোগের পাশাপাশি বাড়িয়ে তোলে হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও। এই রোগ হাইপারলিপিডেমিয়া নামেও পরিচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অসুখের প্রবণতা আছে কি না, বা ইতিমধ্যেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে কি না, তা বুঝতে সব সময় রক্ত পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। বরং পায়ের কিছু উপসর্গ দেখলে বোঝা যায়, শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে কি না।

১) পায়ের পাতা মাঝেমাঝে অসাড় হয়ে যাওয়া।

২) হাঁটতে হাঁটতে পায়ের জোর কমে যাওয়া।

৩) হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পরে পায়ের পেশিতে টান ধরা।

৪) পায়ের আঙুল কোনও ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া।

৫) ধীর গতিতে পায়ের লোমের বৃদ্ধি।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা জরুরি। রোজের জীবনধারাতেও কিছু কিছু বদল আনা জরুরি। খাওয়াদাওয়াতেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

নিউজ ট্যাগ: কোলেস্টেরল

আরও খবর



মাধ্যমিক খুলবে বুধবার, অপরিবর্তিত থাকবে প্রাথমিকের ছুটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমানো হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি বহাল থাকছে। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে। ২ জুলাই পর্যন্ত এ ছুটি থাকার কথা ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্ত হলো, বুধবার (২৬ জুন) থেকে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।


আরও খবর



শরীয়তপুরে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়ে খোকন মাদবর নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সকালে জাজিরা উপজেলার চিডারচর এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত খোকন মাদবর জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাদির মাদবর কান্দি গ্রামের নুরু মাদবরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোকন মাদবর পেশায় একজন জেলে। গতকাল শনিবার রাতে পদ্মা নদীতে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ পেতে রেখে বাড়িতে চলে আসে খোকন। পরে আজ ভোরে নৌকা নিয়ে ওই জাল তুলতে নদীতে যায় সে। পদ্মা নদীর পশ্চিম চিডারচর এলাকা থেকে জাল তোলার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে খোকন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকন মাদবরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, খোকন মাদবর চায়না দুয়ারি জাল তুলতে নদীতে গিয়েছিল। সেখানে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে। খোকন মাদবরের মরদেহ জাজিরা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কবির আলম বলেন, সকালে বজ্রপাতের আঘাতপ্রাপ্ত এক জেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোন পালস না পাওয়ায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম। বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে রাসেলস ভাইপার। গত বছর ছড়িয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।

দেশের ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন।

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠিএসব জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। দেড় বছরে এ সাপের কামড়ে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।

গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বাড়ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের জন্য উপযুক্ত। শুধু এদের বেঁচে থাকার জন্য নয়, তাদের বংশবৃদ্ধির জন্যও।

ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ভারতবর্ষের যে অংশটা আমাদের রাজশাহী এলাকার সঙ্গে লাগোয়া, ওই অঞ্চল হয়ে পানির সঙ্গে স্রোতের মাধ্যমে গঙ্গা পদ্মা হয়ে সেটা এখানে চলে এসেছে। দেখা গেছে যে এই নদীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে। এগুলো পদ্মার নিচের দিকের এলাকায় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উপরের এলাকাতেও।

এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলছে এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা। বর্তমানে এই সাপে কাটলে দেওয়া হয় ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি। এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে।

কিছুটা অলস প্রকৃতির রাসেলস ভাইপারের প্রধান খাবার ইঁদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড়। তাই ফসলি জমিতে দেখা যায় একে। ফলে, আতঙ্কে অনেক এলাকার কৃষক।


আরও খবর



জম্মু-কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রিয়াঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াসির জঙ্গি হামলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

এতে অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, বিধ্বস্ত আমি। নিরপরাধ তীর্থযাত্রীদের উপর জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে। কেন সাধারণ মানুষ এবং শিশুদের উপর এই হামলা? সারা বিশ্বে যে ভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তা আমার বোধগম্যতার বাইরে।

তবে এই প্রথম নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে চলা সন্ত্রাসের বিপক্ষে বহু বার মত প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাফায় ইসরায়েলি হানার পরই সমাজমাধ্যমে তিনি নিজের মত ব্যক্ত করেছিলেন।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের সময়ও প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেছে পোল্যান্ডে গিয়ে উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে। সে বারও শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী এবং অভিনেত্রী দীর্ঘ দিন ধরেই ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সাল থেকে তিনি শুভেচ্ছা-দূত হিসেবে কাজ করছেন সংস্থার সঙ্গে।

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসির দিক থেকে জম্মুর কাটরায় বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের একটি বাস। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সেই বাসেই হামলা চালায় জঙ্গিরা।এতে মৃত্যু হয় ১০ জনের, আহত ৩০ জনেরও বেশি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীই এই হামলার পিছনে রয়েছে।


আরও খবর



পাহাড়ি ঢলে মিরসরাইয়ের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

টানা ছয়দিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে সহস্রাধিক পরিবার। কাজ না থাকায় কষ্টে রয়েছে দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ভেঙ্গে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে খাল সংস্কার না থাকায় ও অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত। পানিবন্ধি ৪৫০ পরিবারের মাঝে বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, টানা ছয় দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই পৌরসভার নিন্মাঞ্চল, জোরারগঞ্জ, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, মিরসরাই সদর, খৈয়াছড়া, ওসমানপুর ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের বিভিন্ন স্থানে। সড়কে গর্তের কারণে অনেকটা চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে জনবহুল বড়দারোগাহাট-বগাচতর সড়ক, জোরারগঞ্জ-মুহুরীপ্রজেক্ট সড়ক। পানিবন্দি হয়ে আছে ফেনাপুনি, ওসমানপুরের মরগাং, চিনকীআস্তানা ও খিলমুরালী গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। চুলায় পানি ওঠায় রান্নাও বন্ধ।

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ফেনাফুনী গ্রামে পানিবন্দি রয়েছে অনেক পরিবার। কোমর পরিমান পানি হওয়ায় মানুষের চলাচলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের জানান, ফেনাফুনী খালটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। টানা বৃষ্টি হলে তো ভোগান্তির শেষ থাকেনা। কোমর পরিমাণ পানির কারণে চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেকে রান্নাঘরের চুলায় পানি উঠায় রান্না-বান্না হয়নি।

আরেক বাসিন্দা শিহাব শিবুল জানান, পাহাড়ি তিন ছরার পানি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হয়ে এক ছরা দিয়ে যায়। কিন্তু ছরার মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করে দখলের কারণে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতি বছর বৃষ্টি হলে আমাদের গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত থাকে। অচিরেই খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল সংস্কার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাল পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ দোকান-পাট ও স্থাপনা। এগুলোর কারণে বিভিন্ন খালে পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে প্রতি বছর নিম্নাঞ্চল এলাকা পানির নিচে ডুবে যায়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের পথ না রেখে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু বলেন, আমার ইউনিয়নের ফেনাফুনী ও সৈদালী গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বিকেলে আমি এলাকগুলো পরিদর্শন করেছি। তিনি আরো বলেন, মূলত মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের লোকজন খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে আমার ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা করবো।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রোপা আমন ও সবজির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ জানান, মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় মৎস্য প্রকল্পগুলোর পাড় নিচু হওয়ায় দুইদিন বৃষ্টি হলেই পানি বাইরে চলে যায়। টানা ছয়দিন বৃষ্টি হওয়ায় মৎস্যচাষীদের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চাষি আমাকে ক্ষতির বিষয়ে অবহিত করেনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, গত ৬ দিন টানা বৃষ্টিতে মিরসরাইয়ের অনেক এলাকায় পানি উঠে গেছে। বুধবার উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ২৫০ পরিবার ও ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের ২০০ পানিবন্ধি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানানোর জন্য জনপ্রতিনিধিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর