আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

পদত্যাগ করছেন সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মাগডালেনা অ্যান্ডারসন। গত রোববার অনুষ্ঠিত সুইডেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে রক্ষণশীল দলগুলোর জোট। তাই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই পদ ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রথম নারী সরকারপ্রধান মাগডালেনা অ্যান্ডারসন। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে মাগডালেনা অ্যান্ডারসন জানান, আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি।

মাগডালেনা বলেন, পার্লামেন্টে রক্ষণশীলরা আমাদের চেয়ে একটি কিংবা দুটি আসনে এগিয়ে থাকবে। ব্যবধান কম হলেও এটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তাই আমি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বুধবার পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ নির্বাচনী এলাকার ভোট গণনা শেষে মডারেট, সুইডেন ডেমোক্র্যাটস, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট ও লিবারেলদের জোট পার্লামেন্টে ৩৪৯ আসনের মধ্যে ১৭৬টিতে জয় পেতে যাচ্ছে। অন্যদিকে ১৭৩টি আসনে জয়ী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মাগডালেনা অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বাধীন মধ্য বামপন্থীরা।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পদে মাগডালেনা অ্যান্ডারসনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন মডারেট পার্টির নেতা উলফ ক্রিস্টারসন।

গত বছরের নভেম্বরে স্টেফান লোফভেনের পদত্যাগের পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা মাগডালেনা অ্যান্ডারসন। ৫৪ বছর বয়সী মাগডালেনা অ্যান্ডারসন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।

অ্যান্ডারসনের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস আট বছর ধরে দেশটিতে ক্ষমতায় রয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সাত বছর সুইডেনের অর্থ মন্ত্রণালয় সামলেছেন অ্যান্ডারসন।


আরও খবর



নরেন্দ্র মোদির ‘জনপ্রিয়তার ভিত’ নাড়িয়ে দিয়েছেন যিনি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফল অনুযায়ী টানা তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে মোদির বিজেপি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরুর পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসে একটি নাম ধ্রুব রাঠি। ফেসবুক, এক্সে ছড়িয়ে পড়েছে তার বিবৃতি নেভার আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব অ্য কমন ম্যান। বলা হচ্ছে, বিজেপি সাম্রাজ্যের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছেন এই ওয়ান-ম্যান আর্মি।

তবে ধ্রুব রাঠি কোনো রাজনীতিবিদ কিংবা সাংবাদিক নন। তিনি একজন ইউটিউবার। গত কয়েক মাসে নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির কঠোর সমালোচনা করে একের পর এক ভিডিও তৈরি করেছেন তিনি। তার ভিডিও এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে আলজাজিরা, ফ্রান্স ২৪, দ্য ইকনোমিস্ট, টাইম ম্যাগাজিন, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য প্রিন্ট, দ্য ইকনোমিক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছেন তিনি।

টেলিগ্রাফ তাকে সম্মোধন করেছে 'দ্য ট্রুথ টেলার' হিসেবে, ফ্রান্স ২৪ তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছে 'ইউটিউব সেনসেশন ধ্রুব রাঠি, সরকারকে দায়বদ্ধ করে চলেছেন', ইকোনোমিক টাইমস শিরোনাম দিয়েছে 'নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের ইউটিউবার'। অন্যদিকে, টাইম ম্যাগাজিনের নেক্সট জেনারেশন লিডারস তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ধ্রুব রাঠি। এমনকি গতকাল লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরুর পর ভারতের সংবাদমাধ্যমও তাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে।

ইউটিউবে শক্তিশালী উপস্থিতি নিয়ে আসেন ধ্রুব রাঠি। ইউটিউবে তার ২১.৫ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে, যা বিজেপির ইউটিউব চ্যানেলের প্রায় ৪ গুণ। নরেন্দ্র মোদির ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ২৩ মিলিয়ন ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ৬ মিলিয়ন।

২৯ বছর বয়সী ধ্রুব রাঠি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একসময় নরেন্দ্র মোদির ভক্ত ছিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি সবেমাত্র হাইস্কুল শেষ করে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিতে জার্মানিতে চলে যান। এই সময় তিনি তার ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন। রাঠির প্রথম ভিডিওটি ছিল তার আইফোন ৫এস এ তৈরি একটি ট্রাভেল ভ্লগ। এটি তিনি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সম্পাদনা করেছেন।

২০১১ সালে ভারতের লাখো তরুণের মতো সে প্রজন্মের প্রথম প্রধান দেশব্যাপী আন্দোলনের প্রতি রাজনৈতিকভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন ধ্রুব। সেটি ছিল কংগ্রেস পার্টির তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ। এ আন্দোলনই নরেন্দ্র মোদির জাতীয় উত্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল। ২০১৪ সালে রাজনীতিতে মোদির উত্থানে দুর্নীতি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আশা দেখেছিলেন ধ্রুব। তিনি মোদিকে সমর্থক জানিয়েছিলেন এবং তার ক্ষমতায় যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি (এএপি) জাতীয়ভাবে বিরোধী দলে থাকলেও দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল। তারা একটি দুর্নীতিবিরোধী হেল্পলাইন চালু করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রের মোদি সরকার ওই হেল্পলাইনের নিয়ন্ত্রণের জন্য এএপি রাজ্য সরকারের সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু করে। এটি আমার জন্য খুব মর্মান্তিক মুহূর্ত ছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তিনি ভারত থেকে দুর্নীতি অপসারণ করতে আগ্রহী নন।

মূলধারার টিভি চ্যানেল মোদি ও বিজেপির পক্ষে এক নাগাড়ে সমর্থন প্রদর্শনের পর তার হতাশা আরও বেড়ে যায়। সেই পটভূমিতে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে ইউটিউবে তার প্রথম রাজনৈতিক মন্তব্য আপলোড করেছিলেন ধ্রুব। ভিডিওটি সম্পূর্ণরূপে তার ফোনে শ্যুট করা হয়েছিল।

এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। গত আট বছরে, তিনি তার প্রধান ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৬৫০টি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তার কিছু ভিডিও ইতিহাস নিয়ে, যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কী ঘটেছিল বা ভারতের জনগণের মধ্যে বিশাল অংশের ওপর তাপদাহের ঝুঁকি নিয়ে। তবে তার অধিকাংশ ভিডিওর কেন্দ্রে থাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সরকারের সমালোচনা।


আরও খবর



বাজেট: দাম বাড়ছে কোক, স্প্রাইট ও পেপসির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর কর আরোপ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে করে কোক, স্প্রাইট ও পেপসিসহ কোমল পানীয়র দাম বাড়বে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে বাজেট প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়, পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এটি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসানের প্রথম ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। এজন্য এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মিষ্টি পানীয় উৎপাদন থেকে আয়ের ওপর বিদ্যমান হার ০.৬ শতাংশের পরিবর্তে কার্বোনেটেড বেভারেজের অনুরূপ ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর আরোপের প্রস্তাব করছি। একইসাথে, যেকোনো ট্রাস্ট হতে টার্নওভার কর সংগ্রহ করার প্রস্তাব করছি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। যদিও গত ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।


আরও খবর



বাজেটের প্রভাব নেই নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। বাজেট পেশ হলেও অন্য বছরের মতো প্রস্তাবিত বাজেটের পর নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মাছ-মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক পণ্য আগের কেনা রয়েছে তাই বাজেটের প্রভাব বুঝতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এলাকা ঘুরে নিত্যপণ্যের বাজারের এই চিত্র দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রমজান মাস থেকেই মূলত দ্রব্যমূল্যের বাজার ঊর্ধ্বগতির দিকে। তাছাড়া বাজেট ঘোষণার আগেই অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এজন্য ঘোষণার পর পণ্যের দাম বাড়ার আর কিছু থাকে না। তারপরও কিছু জিনিসে এর প্রভাব পড়তে পারে, যা হয়তো আগামী সপ্তাহের বাজারে দেখা যাবে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মতো এই দিনেও বাজার অনেকটা উত্তপ্ত। প্রায় অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। বাজারে কিছু সবজি আছে যেগুলো মানভেদে বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ টাকার মধ্যে।

বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সামছুল হক বলেন, আজকের বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৮০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ৮০ টাকা। এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, যা গতকালও বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা ছিল ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ৬০ টাকা।

তিনি বলেন, টমেটোর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় টমেটোর দামটা দিন দিন বাড়ছে। আজকের বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ টাকা করে।

বাজেটের প্রভাব বিষয়ে এই বিক্রেতা বলেন, বাজার আগের মতোই আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট হলেও আজকের বাজারে কোনো প্রভাব নেই। সবজির দাম তো এমনিতেই তুলনামূলক বেশি, এখানে আর কী দাম বাড়বে। তারপরও হয়তো আগামী সপ্তাহের বাজারে আসল চিত্র বোঝা যাবে।

বাজার করতে আসা মওদুদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল বাজেট হয়েছে দেখলাম, যদিও বাজেটের সাথে আমাদের মতো শ্রেণিপেশার মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ধরনের বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু থাকে না। বাজেট কম হোক বা বেশি হোক, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কখনোই কমবে না বরং উল্টো বাড়তেই থাকবে। যেকারণে বাজেটকেন্দ্রিক খুব বেশি একটা আগ্রহ নেই।

জসিম উদ্দিন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায় তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে। বাজারে সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। কোনো সংকট নেই। তারপরও ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা আসলে যাবো কোথায়? এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দেশের ইতিহাসের ৫৪তম বাজেট এটি। এর আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এজন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ২৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ২৭ পণ্য।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতেও গ্রামে লোডশেডিংয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জ্যৈষ্ঠ গড়িয়ে আষাঢ়ের দিন শুরু হলেও গরম কমছে না। ঝড়সহ বৃষ্টির শঙ্কাও আছে চলতি মাসে। এর মধ্যে এ সপ্তাহে ঈদের ছুটিতেও বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপরও জ্বালানি ঘাটতি এবং অপেক্ষাকৃত নাজুক সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বা সকল গ্রাহকের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের মতো বড় ছুটির সময় সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা কমে। চাহিদা কম থাকায় উত্পাদন ও সরবরাহে তেমন ঘাটতি থাকে না। তবে এখন ছুটির দিনেও ঘাটতি থাকছে। গ্রামে সেই ঘাটতি আরও বেশি। ছুটির সময়ে বাণিজ্য ও শিল্পে কমে যাওয়া গ্যাস-বিদ্যুতের চাহিদা আবাসিকে দিয়ে সাধারণ লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিল্পে-বাণিজ্যে বেঁচে যাওয়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দিয়ে লোডশেডিং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৬ হাজার ৩৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন ও আমদানির সক্ষমতা রয়েছে। গত মঙ্গলবার সাবস্টেশন পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ১৯ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ। সরবরাহ করা হয় ১৫ হাজার ১৫৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। অর্থাৎ লোডশেড বা ঘাটতি ছিল ৮৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি। আর সাবস্টেশন পর্যায়ের চেয়ে গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদার বিপরীতে লোডশেডিং আরও বেশি।

পিডিবির হিসেব মতে, গত মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি ২৮৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলে। কুমিল্লা ও ঢাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। এ দিন রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশাল অঞ্চলে কোনো লোডশেডিং হয়নি বলে পিডিবির দৈনিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ বিভাগগুলোর ছয়টি জেলার প্রতিনিধিরা ঐ দিন জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় তিন থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেড হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন গ্রাহকরাও।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি কমবেশি ঐ গত মঙ্গলবারের মতো চলছে। আসন্ন ঈদে সরকারি ছুটির সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিচালনা করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। রাজধানীতে বিদ্যুৎ ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। ঐ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রামের চেয়ে রাজধানীসহ শহরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের শীর্ষ অংশের নীতি সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে শহরে তেমন না হলেও গ্রামের মানুষের লোডশেডিং থেকে এখনই মুক্তি মেলার আশা নেই।

স্থানীয় জ্বালানির পর্যাপ্ত সংস্থান না থাকায় দেশের বিদ্যুৎ উত্পাদন অনেকটাই আমদানি-নির্ভর। এখন মার্কিন ডলার এবং দেশীয় টাকারও প্রয়োজনীয় পরিমাণ জোগান নেই। তাই এলএনজি (গ্যাস) এবং জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বেসরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদনকারীদের বিপুল বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন চিত্রটা দাঁড়িয়েছেঅর্থের অভাবে জ্বালানির সরবরাহে ঘাটতি। তাই বিদ্যুতের উত্পাদন ও বিতরণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের ছুটির সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে যত বেশি বৃষ্টি হবে বিদ্যুতের চাহিদা তত কমবে। চাহিদা কমায় লোডশেডিংও কমবে।

পিডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস পড়ে রয়েছে। দুইটি এলএনজি টার্মিনালও সমানতালে চালু রাখা যাচ্ছে না কারিগরি দুর্বলতা এবং জ্বালানির অভাবে।


আরও খবর



ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহার জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এসব উপহার পাঠানো হয়।

উপহার হিসেবে ২০টি কার্টনে ৪০০ কেজি হাঁড়িভাঙা জাতের আম, ৫০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৫০ কেজি মিষ্টি পাঠানো হয়। সীমান্তের শূন্যরেখায় উপহারসামগ্রীগুলো গ্রহণ করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসের প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী ও আল আমিন।

উপহার হস্তান্তরের সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার, স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবি আইসিপি হাবিলদার মো. রহুল আমিন ও আগরতলা কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট দিব্যেন্দু ভৌমিক।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসের প্রথম সচিব রেজাউল হক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে যে সম্পর্ক, সেটি ১৯৭১ সালের আগে থেকেই। এই উপহার পাঠানোর মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রীগুলো আমরা ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব।


আরও খবর