আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

পিরোজপুরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্বাচনে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ তার কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ- স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাল্পনিক অভিযোগের ভিক্তিতে নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

এছাড়া ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার সকল ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হলেও রহস্যজনক কারণে পিরোজপুর পৌর এলাকার ভোট কেন্দ্রগুলোর ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব করা হয়েছে।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে অখ্যাত-কুখ্যাত পত্রিকার রেফোরেন্সে ১৫ থেকে ২০ জনের নামে সাংবাদিক পর্যবেক্ষক কার্ড ইস্যু করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি ও রিটার্নিং অফিসার দায় চাপাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের ভাই পিরোজপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, পৌর কাউন্সিলর আবুয়াল শিকদার, পৌর কাউন্সিলর সাদউল্লাহ লিটন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আউয়াল পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী রফিকুল ইসলাম সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালে বিভিন্ন নির্বাচনী পথসভায় প্রকাশ্য নৌকার প্রার্থী নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, নৌকার কর্মীদের নানা হুমকি দেয়। এসব হুমিকর ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের বক্তব্য ও কার্যকলাপকে নির্বাচনী আচরণবিধির চরম লঙ্ঘণ বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক বলছেন, আমরা শুনেছি নাজিরপুরের অনেক লোকজনকে এখন থ্রেট দেয় (ভয় দেখান)। কিন্তু আমাদের যদি কেউ রক্তচক্ষু দেখানোর চেষ্টা করেন, আমরা তাদের চক্ষু তুলে দেয়ার ক্ষমতা রাখি।

অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, আবুয়াল সিকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সমর্থনে একটি জনসভায় প্রকাশ্যে একই রকমভাবে হুমকি দেন। মন্ত্রীর নাম ধরে ওই জনসভায় আবুয়াল শিকদার বলেন, আপনারা তাকে চেনেন নাই, আমি ছোটকাল হতে চিনি। রেজাউল করিম একজন খুনি। তুমি এই দুই নং ওয়ার্ডবাসীর কাউকে কোনো লোক দিয়ে যদি চক্ষু লাল করাও, তার চোখ আমরা তুলে দেবো। এটা দুনিয়ার কেউ রাখতে পারবে না। আমি তোমারে (মন্ত্রী রেজাউলকে) বলতে চাই, তুমি যেভাবে আছো, সেভাবে ঠাণ্ডাভাবে নির্বাচন করে মাঠ থেকে ওঠো।

অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আউয়াল পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী রফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, পিরোজপুর সদর উপজেলা এবং পৌরসভায় যেন নৌকার কোনো এজেন্ট না দিতে পারে। ভোট তো দূরের কথা, কোনো এজেন্ট যেন না দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

একই ভাবে পিরোজপুর পৌর কাউন্সিলর সাদউল্লাহ লিটন নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম ও তার পরিবার সর্ম্পকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়।

নৌকার প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী শিকদার মো. চান বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের কর্মী-সমর্থক ও ক্যাডাররা নৌকার প্রচার-প্রচারণায় বাধা, নিবাচনী অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর, নৌকার পক্ষে কাজ না করার জন্য মোবাইলে এবং পথসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। এসব ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালসহ তার ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, পৌর কাউন্সিলর আবুয়াল শিকদার, পৌর কাউন্সিলর সাদউল্লাহ লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার, নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, নিবাচন অনুসন্ধান কমিটি ও রির্টানিং অফিসার বরাবরে প্রমাণাদিসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম। নিবাচন অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করেছেন, ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন। তাদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা মিললেও কোনো প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের পক্ষ নেন সংশ্লিষ্টরা।

নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আরেক সমন্বয়কারী পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়জীদ হোসেন বলেন, নিবাচন অনুসন্ধান কমিটি নৌকা হারাতে নৌকার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের কাল্পনিক অভিযোগের ভিক্তিতে কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই না করে নৌকার কর্মী এম খোকন কাজীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের হাত-পা ভেঙে দেয়াসহ হত্যার হুমকি এবং এসএম নজরুল ইসলাম ও নুরে আলম শাহীনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার চেষ্টা এবং লোহার রড় দিয়ে জখম করার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করে পিরোজপুরের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। ওই প্রতিবেদনের আলোকে নির্বাচন কমিশনের আদেশে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া কথা হয়েছে।

আরেক সমন্বয়কারী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে রির্টানিং অফিসার স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৫/২০ জন কর্মী/ক্যাডারকে অখ্যাত-কুখ্যাত পত্রিকার রেফারেন্সে সাংবাদিক পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করেন। প্রকৃত পক্ষে তারা কেউ সাংবাদিক নয়। তাদের মধ্যে একজন আলী ইমাম অন্তু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। তারা সাংবাদিক হিসেবে পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়ে নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে নৌকার এজেন্টদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পিরোজপুরের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা জজ বেগম রুবাইয়া আমেনা বলেন, নির্বাচন চলাকালীন প্রার্থীদের দেয়া সকল অভিযোগ তদন্ত করে বিধি মোতাবেক নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। কমিশন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বা নেয়নি, তা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। এ বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, নির্বাচন চলাকালীন প্রার্থীদের যে সকল অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিবাচন অনুসন্ধান কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমি নিজেও কয়েকটি ঘটনা দেখেছি, প্রত্যেকটি ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেই একটি সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচন অফিসের তালিকা অনুযায়ী পর্যবেক্ষক কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।


আরও খবর



এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদফতরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুই জন মারা গেছেন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও চার জন। হিট স্ট্রোকে যে দুজন মারা গেছেন তারা হলেন- ওমর আলী (৬৫) ও আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০)। তাদের দুই জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওমর আলীকে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এবং আব্দুল বাতেন মাঝিকে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওমর আলী চরকিশোরগঞ্জের বাবু হাজারীর ছেলে এবং আব্দুল বাতেন মাঝি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুরের ওলিউল্লা মাস্টারের ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, সকালে ওমর আলী মাঠে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন মাঝি বাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আরও চার জনকে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।'


আরও খবর



দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।


আরও খবর



কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের ১৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভের সূচনা হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভ আমেরিকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে, আন্দোলনের সূচনা হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের একজন সদস্য গুলি ছুড়েছেন। তবে এতে কেউ আহত হননি। ওই সময় সেখান থেকে আরও ১১২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গিয়ে ঘটনাচক্রে একজন পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছেন। গুলিটি পরে পাশের একটি দেয়াল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট তারিক শেপার্ড বলেন, প্রতি বছর গড়ে আটটি দুর্ঘটনাজনিত গুলির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিটি ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হয়।

এদিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটন ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পর ওই ক্যাম্পাস থেকে ১১২ জন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে শিক্ষার্থীরা বেরিকেড দিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য কয়েক ফুট দূর থেকে দেয়ালে গুলি ছুড়েছেন। ওই দেয়ালের আশেপাশে কোনও শিক্ষার্থী ছিল না। তবু ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের ধারণা, গুলি ছোড়ার ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হ্যামিলটন হল নামের একটি স্কুলভবন দখল করে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোচে শফিক নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে তলব করেন। এরপর পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে সেখানে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্নাতক চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষার আর কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এই সময়ে সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খোলা থাকবে এবং সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিলটন হলে অভিযানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যামিলটন হলের সিঁড়িতে বিক্ষোভকারীরা চেয়ার ও ডেস্ক ফেলে রেখেছে। সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেছিলেন, পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে মারমুখী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর