আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পিরোজপুরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ঃ কিছু বিবেচনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
সবুজ ও নিবিড় জলাশয়ের সম্মিলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ধরণের গহনতাই কাম্য। পাখির কলতান, জ্যোৎস্নার প্রাচুর্য এবং সকল রকম প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য থাকতে হয় সেখানে

কাজী মসিউর রহমান

গত ৯ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিরোজপুর জেলায় সরকারি অর্থায়নে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এরকম একটি উদ্যোগের জন্য বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও স্বার্থকতা কামনা করি। স্বার্থকতার কথা বলতে গিয়ে জোড় দিয়ে বলা দরকার যে, বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু একটি গুণবাচক ধারণা ও প্রতিষ্ঠান মানুষের জীবনের উৎকর্ষ সাধন এবং মুক্ত মানুষের মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য জ্ঞান উৎপাদন ও চর্চাই এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য । কিন্তু সৃষ্টিশীল উৎপাদনের পূর্বশর্ত হলো স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ছাড়া কোনো সৃজন হতে পারে না। স্বাধীনতাহীনতায় প্রাপ্ত জ্ঞান বড় জোর দক্ষ শ্রমিক উৎপাদন করতে সক্ষম, আত্মমর্যাদাশীল মানুষ নয়; জ্ঞানী তো নয়ই  স্বাধীনতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিমূর্ত ধারণার অংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় মূলত একটি বিমূর্ত প্রতিষ্ঠান, যাকে জড়িয়ে থাকে মূর্ত নানা উপকরণ। যেমন- শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রশাসন, ভৌগোলিক এলাকা, আড়াআড়ি বা খাড়াখাড়ি বিস্তৃত ভৌত অবকাঠামো ইত্যাদি। কিন্তু এসব বিষয়ের গভীরে অদৃশ্য জ্যার মতো একটি আত্মা থাকে। যাকে পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে চিহ্নিত করা না গেলেও সংবেদনশীল চৈতন্য দিয়ে বেশ অনুভব করা যায়। ওই আত্মাটিই সমস্ত জাহিরি উপকরণের ভেতর দিয়ে একটি সুললিত সুর তৈরি করে গড়ে তোলে বিশ্ববিদ্যালয়।

সাধারণত দুই ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যায়- পাঠদানকেন্দ্রিক ও গবেষণাভিত্তিক। তবে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত প্রকরণ হলো এদুয়ের মিশ্রণ। স্নাতক স্তরে প্রধানত আন্তঃশাস্ত্রীয় পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দেয়া এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণাকে জোর দেয়া। আন্তঃশাস্ত্রীয় পাঠদান কেন জরুরী? আন্তনিও গ্রামসি, নোয়াম চমস্কি, টমাস কুন ও ফায়ারাবেনসহ অগণন তাত্ত্বিক মনে করেন- জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে হয় না। বরং এর বিকাশ সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের মধ্যকার বিরাজমান স্ববিরোধিতা চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে আসে। শুধুমাত্র প্রায়োগিক বা কারিগড়ি দিক গুরুত্ব পেলে কারগড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের মাধ্যমেই সেটি সম্ভব।

বিশ্বে হাজিরথাকা সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষার বৈচিত্র্যময় সকল বিষয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদায়লয়ে মৌলিক মানবিক ও কলা বিদ্যার বিষয়গুলো থাকতে হবে। কারণ উচ্চতর জ্ঞান অবশ্যই আন্তঃশাস্ত্রীয় হতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে- বিষয় কেন্দ্রিক জ্ঞান অন্যান্য বিষয়ে অজ্ঞতা তৈরির সম্ভাবনা রাখে। এমন কি বিশেষজ্ঞরা নিজের বিষয়ের বাইরে জগত-জীবনের অপরাপর বিষয়ে অজ্ঞ থাকার কারণে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আর শুধু বিশেষায়িত জ্ঞান মানুষকে বিভাজিতও রাখে।

আন্তঃশাস্ত্রীয় ও গবেষণামূলক পাঠদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিমূর্ত সত্ত্বাটিকে কিন্তু আশ্রয় নিতে হয় বিস্তৃত আর নিবিড় কোনো প্রাকৃতিক পরিসরে। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, প্রতিবেশের সঙ্গে মানুষের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য বন্ধুতা। যদি পরিবেশ হৃদয়গ্রাহী হয়, সেখান থেকে পাওয়া যায় ইতিবাচক আবেগের প্রবহ, প্রাণোচ্ছ্বাস আর সততা নির্মাণের নির্মল প্রেরণা। এর মধ্য দিয়ে ব্যক্তির সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টির এবং মহাজাগতিক আবহের মাঝে এক গভীর সখ্য সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। চাপমুক্ত এ রকম পরিসরে চৈতন্য তীব্রতর বিকশিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশ কাঠামো স্বাস্থ্যকর ও আধ্যাত্মিক হয়ে উঠলে শিক্ষার্থীর চিন্তাচেতনায় আরও বোধগত উন্মেষ ঘটে, আচরণে ইতিবাচকতা নির্মিত হয়, সামাজিকতার আঙ্গিক ও বহুমাত্রিকতার বিবেচনা বিকশিত হয়, যোগাযোগ দক্ষতা হয়ে ওঠে পরিশীলিত, কাঙ্ক্ষিত আবেগের স্ম্ফুরণ ঘটে এবং মস্তিস্কের মটর-নিউর বেশি সক্রিয় হয়। অর্জিত জ্ঞানের গাজন আর প্রতিফলন হতে পারে বিশুদ্ধ প্রকৃতিতেই।

সবুজ ও নিবিড় জলাশয়ের সম্মিলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ধরণের গহনতাই কাম্য। পাখির কলতান, জ্যোৎস্নার প্রাচুর্য এবং সকল রকম প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য থাকতে হয় সেখানে। আর এসবের জন্য প্রয়োজন হয় বিশাল ভৌগোলিক পরিসর। কারণ ভৌত, সামাজিক, মানসিক, প্রাকৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ইত্যাদি সম্পদের তুলনায় তার ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ভবিষ্যতে বেড়ে গেলে সামান্য সম্পদে কর্তৃত্ব বা দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ আগ্রাসী ও স্বজাতিবিনাশী (Cannibalistic) হয়ে উঠতে পারে। সেখানে অনিবার্যভাবেই তৈরি হয় ধ্বংসের প্রতিযোগিতা। নিরাপত্তাহীনতার বোধ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা-গবেষণার পরিবেশ।  তাই শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আদর্শ অনুপাত রক্ষার আন্তরিকতা থাকতে হবে শুরু থেকেই। আদর্শ অনুপাতই নয় শুধু- নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়তাকে মূলত প্রাধাণ্য দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমোপলিটান পরিসর পঙ্গু ও ভঙ্গুর হতে পারে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়াস হলেন উপাচার্য। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উপাচার্যগণ সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারি। অথচ ক্ষমতা ও সম্পদের ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন না হলে সেখানে স্বেচ্ছাচার তীব্রতর হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে জনকরে পরিচালিত মুক্তিকামী উচ্চশিক্ষার আদর্শ পরাজিত হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় ভারসাম্য সৃষ্টি করে উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুশীলন বাড়াতে হবে।  উপাচার্য  যদি হন সৎ মানুষ, প্রজ্ঞাবান দার্শনিক ও জনবুদ্ধিজীবী তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্থক হবার সম্ভবনা বাড়ে। তাই উপাচার্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য সকল নিরীক্ষণের পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে- প্রার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও কর্মপরিকল্পণার ওপর ধারণাপত্র আহ্বান করা যেতে পারে। প্রাপ্ত ধারণাপত্র শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মাঝে উপস্থাপন করানোর আয়োজন করা গেলে যোগ্য ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উপাচার্য বাছাই করার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

পরিশেষে বলতে চাই, পিরোজপুরের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি জনগণের আশা-আকাংক্ষার প্রতি সুবিচার করুক। আন্তঃশাস্ত্রীয় মুক্ত জ্ঞান অনুশীলনের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারসম্মৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর-স্বপ্নের-সোনার-বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। দেশকে এনে দিক জ্ঞানবিজ্ঞানে বৈশ্বিক পরিচিতি আর মানুষের জন্য নিয়ে আসুক ৭ই মার্চের প্রস্তাবিত সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তি

লেখক: শিক্ষক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জ।

[email protected]


আরও খবর



মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনসহ সবাই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের পর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরকালে আমি গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করি। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে নাবলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর



হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতালটির কাস্টমার কেয়ার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আকবর খান রনো হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ২টায় মারা যান। তিনি টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইলিউর নামক শ্বাসতন্ত্রীয় রোগে ভুগছিলেন। সাধারণত এই রোগে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়।

এদিকে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার খাসকান্দি এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী মো. শাহজালালের  (৩৮) বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শাহ জালাল।

নিহত জিয়াসমিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। স্বামী শাহজালাল খাসকান্দি এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য স্ত্রী জিয়াসমিনের লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খাসকান্দি এলাকার শাহজালাল ২ মাস আগে এক নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। ওই নারী সনাতন ধর্মাবলম্বীর। শাহজালাল বিয়ে করার পর মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে ওই নারী। তার নাম হয় জিয়াসমিন।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের স্বামী শাহজালাল তার স্ত্রীকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে। এতে স্ত্রী জিয়াসমিনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, শাহজালাল এলাকার চিহ্নিত চোর ও ফৌজদারি মামলার আসামি। কিছুদিন আগেও তিনি ফৌজদারি মামলায় ৬ মাস কারাভোগ করেছেন। স্বামী শাহজালালকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় শুনে আসামী পক্ষ অজ্ঞান হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামকে আসামীরা শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পারিবার পুরাতন কবরে লাশ লুকিয়ে রেখে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়রা ওই কবরে জীবজন্তু খাওয়া অবস্থায় তার লাশের পা দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মোঃ শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর