আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

পল্টনে পুলিশের লাঠিচার্জে পণ্ড ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর পুরানা পল্টনে ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল বের করার চেষ্টা পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে ভাস্কর্যবিরোধী মিছিলের চেষ্টা করা হয়। এ সময় ভাস্কর্যবিরোধী স্লোগান দেয়া শুরু করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল।

এদিন বায়তুল মোকাররম-পল্টন-কাকরাইল এলাকায় জুমার নামাজের আগে থেকেই বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে পল্টনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু জানান, পূর্ব অনুমতি ছাড়া সব প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। আজ (শুক্রবার) মিছিলের ব্যাপারে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। হঠাৎ করে একদল মুসল্লি নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুমতি ছাড়া মিছিল, সভা-সমাবেশসহ কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে- ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এসব কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় যান ও জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

নিউজ ট্যাগ: পল্টন ডিএমপি

আরও খবর



চরফ্যাশনে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মোঃ আক্তার তালুকদার (৪০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আক্তার তালুকদার ওই ওয়ার্ডের রশিদ তালুকদারের ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে জাহানপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রাসেল জানান, কৃষক আক্তার তালুকদার সকাল ৮ টার দিকে স্থানীয় সৌরভ মিয়ার খামারে গরুর ঘাস কাটার জন্য যান। ঘাস কাটার সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাত ঘটে। সেই বজ্রপাতে কৃষক আক্তার তালুকদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক বজ্রপাতে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চরফ্যাশন

আরও খবর



হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৭ হাজার হাজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে ২৬ হাজার ৯০৯ হাজি দেশে ফিরেছেন। তারা ৬১টি ফ্লাইটে দেশে এসেছেন। হজ করতে গিয়ে সৌদিতে এখন পর্যন্ত ৫৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এ বছর হজ পালন করতে গিয়ে যে ৫৩ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। এর মধ্যে মক্কায় ৪২ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় ছয়জন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও (২৭ জুন) মো. হারুনুর রশীদ নামে একজন মারা যান। তিনি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা। 

এ বছর হজ করতে বাংলাদেশ থেকে ২১৮ ফ্লাইটে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন সৌদি আরব গেছেন। প্রথম হজ ফ্লাইট ছিল ৯ মে এবং সর্বশেষ ফ্লাইট ছিল ১২ জুন।

গত ১৫ জুলাই পবিত্র হজের প্রধান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। হজ শেষে ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ফেরার ফ্লাইট চলবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।


আরও খবর



দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন তাসকিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা। অ্যান্টিগা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ও দুবাই হয়ে ঢাকায় এসেছে তারা।

দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেননি বিদেশি কোচরা। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ সবাই বিশ্বকাপ শেষে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে গেছেন। আজ ফেরা হয়নি লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের। সাকিব গতকালই ঢাকায় এসেছেন। সৌম্য ও লিটন আসবেন শনিবার।

বিমানবন্দরে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন।

টাইগারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে তাসকিন বললেন, না, আসলে সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, আরও অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি প্রথমে, ১২ ওভারের মধ্যে, যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তাও জিততে পারিনি।

দলের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে এই পেসার বলেন, হ্যাঁ, ইতিবাচক দিক আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং যথেষ্ট ভালো করেছে। সুপার এইটে এসেছি। সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ আছে। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি। বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নেই।

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সহ-অধিনায়ক বলেন, আর ব্যাটিং, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি। পরে এ কথাও বলেছেন, কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।

দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ব্যর্থ। তাদের ফর্মহীনতা দলকে ভুগিয়েছে, এমনটা মানেন তাসকিন। তার কথা, দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।


আরও খবর



‘নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বেনজীর যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন’

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিদেশ ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই তিনি যেকোনো দেশে যেতেই পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৩ জুন) এন্টিগা ও নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তিনি যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন। ৬ জুন তিনি দুদকে উপস্থিত হন কি না, সেটা দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, দুদক এবং সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে বলে আজিজ আহমেদ ও বেনজীরের বিষয়গুলো সামনে আসছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন নিয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন কোনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের শান্তিরক্ষীদের খাটো করার জন্য করা হয়েছে। মাঝেমাঝেই আমাদের দেশবিরোধী প্রতিবেদন করে ডয়চে ভেলে। সেখানে কিছু বাঙালি জড়িত।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব যেখানে প্রশংসা করেছেন, সেখানে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের কোনো মূল্য নেই। এই প্রতিবেদন অসাড় ও অন্তঃসারশূন্য।

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকরা যেতে না পারার পেছনে কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার তারিখ বর্ধিত করা যায় কি না, সে বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন ও ভারত সফরসূচি এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বানের জলে ভাসছে সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

বানের পানিতে থৈ থৈ সুনামগঞ্জের আশপাশের সব এলাকা। ডুবে আছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। যে সড়ক দাপিয়ে বেড়িয়েছি অটোরিকশা, রিকশাসহ সব মোটরযান আজ সেই রাস্তায় চলছে নৌকা। যাদেরকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তারা ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুররা আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আর যাদের অবস্থা কিছুটা ভালো তারা উঠেছেন আবাসিক হোটেলে। কেউ কেউ আছেন প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের বাসায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার চারটি পৌরসভা এলাকাসহ ৭৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৮টি গ্রামের ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার।

সুনামগঞ্জ জেলার পুরোটাই বন্যাকবলিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর ও ছাতক উপজেলার মানুষ। ছাতক উপজেলার পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করার কারণে সুনামগঞ্জের অনেক হাওর এখন পানিতে টইটুম্বুর। আর এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। ইতিমধ্যে মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৭ হেক্টর জমির সবজিখেত পানিতে নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার কায়েতকান্দা, রাজধরপুর, কাকিয়াম মৌলভীপাড়া, আলমপুর দোয়াদুর রহমান ও দক্ষিণ রূপনগরের মোট পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বন্যায় তলিয়ে আছে সকল উপজেলার স্থানীয় সড়ক। জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর এবং ছাতক উপজেলার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বুধবার (১৯ জুন) এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দিরাইয়ে সুরমা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে উজান থেকে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে।

লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লতিফুন্নেছা বলেন, আমার ঘরের ভেতর গলা সমান পানি। ঘরে ছেলে বউ আর এক আট বছরের এক নাতি ছিল। ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরি করে। পানি যখন ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করে আমি আমার নাতি আর বউকে নিয়ে এখানে চলে আসি। সাথে নিয়ে এসেছি দুটি বালিশ আর একটা কম্বল। ঘরে তালা দেওয়ার সময়ও পাইনি।

একই আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, খুব কষ্টে আছি ভাই। তিন দিন ধরে কাজে যাই না। বউ, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে আছে। ১ কেজি চাল আর ২০০ গ্রাম ডাল এনেছিলাম। খেয়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন কেউ দিলে খাই আর না হয় খালি পেটে থাকি। বাচ্চাদের জন্য বিস্কুট নিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার বাচ্চারা ভাত খাবে বলে আবদার করছে।

বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া রফিকুল বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য ৯ জন। আমরা দুই আশ্রয়কেন্দ্রে মিলিয়ে থাকছি। দিনের অর্ধেক সময় এখানে বাকি সময় লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে কাটে। আমাদের দিকে আল্লাহ কবে যে সুনজর দেবেন তা তিনিই ভালো জানেন। আমাদের আর এই কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।

সেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আম্মার বলেন, ২০২২ এর বন্যায় আমরা দেখেছি বন্যা কতটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। আর সেই ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ৫-৭ জনের টিম করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অনেকে আমাদের কাছে ফোন দিয়ে জরুরি ঔষুধ এবং খাবার চাচ্ছেন। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।সুনামগঞ্জের বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে সামান্য কমেছে আবার কোন স্থানে বাড়ছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পানি আরও বাড়তে পারে। যদি উজানে বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে।আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর