আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা’

প্রকাশিত:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। দেশের কাক্সিক্ষত আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি, মৎস্য, বনায়ন, পানি ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

রাজধানীর গ্রীন রোডস্থ পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০: সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন ও অংশীজন সমন্বয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।

মুখ্য সচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাতসহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ে তোলার রূপকল্প বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী কল্যাণ চিন্তার একটি প্রতিফলন। পানি, পরিবেশ, জলবায়ু, ভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি অংশীজন সমন্বয়সমুহকে বিবেচনা করে বিনিয়োগ এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। শতবর্ষী এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল-বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পরিকল্পনা প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দালিলিক ভিত্তিসমূহ যেমন- SDG, Perspective plan 2021-2041, National Adaptation Plan 2023-2050, 8g cÂevwl©Kx cwiKíbv 2021-2025,  climate change & other cross cutting issues.

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকল্পে বহুমুখী বিনিয়োগ কার্যক্রম (স্থানীয়/বৈদেশিক/উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হতে প্রাপ্ত) গ্রহণ প্রয়োজন বলেন  তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একটি শতবর্ষব্যাপী চলমান মহাকর্মপরিকল্পনা, সেহেতু এটি বাস্তবায়নে ১৪টি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সংস্থা পর্যায়ে আন্তঃসমন্বয়সাধন একান্ত প্রয়োজন। অধিকন্তু, জলকেন্দ্রিক, টেকনো-ইকোনমিক এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ধারা অব্যহত রাখা ও সামগ্রিক কার্যক্রম সুসংহত করার লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং পরিবীক্ষণখাতে যথাযথ সমন্বয়, সংযোগ স্থাপন ও কর্মবন্টন করা আবশ্যক।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হতে সুরক্ষা প্রদান, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সম্পদের উন্নয়ন করাসহ অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ব-দ্বীপ উন্নয়নে বিদ্যমান সময়োপযোগী প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য অটুট রেখে ব-দ্বীপ উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়সমূহের মধ্যে সুষমভাবে বন্টন করা প্রয়োজন।

মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আরো বলেন, ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানগত কারণে দুর্যোগ প্রবণ বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার পাশাপাশি ব-দ্বীপ উন্নয়ন খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা এবং অংশীজনের সমন্বয় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, সুনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনা, আন্তঃসমন্বয়, দাতা সংস্থার সহযোগিতা এবং বিভিন্ন চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত ঋণ/অনুদানের সময়াবদ্ধ যথাযথ বণ্টন করা হলে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজতর হবে।

এ কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য হল ব-দ্বীপ ২১০০ বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়সমূহের কর্মপরিধির সাথে সম্পর্কিত কর্মসূচি/প্রকল্প বাস্তবায়নকালে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলের অভিমত গ্রহণ। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা: সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন ও অংশীজন সমন্বয়' শীর্ষক উপস্থাপনা করেন মালিক ফিদা এ খান, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সি ই জি আই এস); মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন মল্লিক সাঈদ মাহবুব, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য করেন মোঃ শাহ্য়িার কাদের ছিদ্দিকী সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ; ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার সচিব, অর্থ বিভাগ; ড. ফারহিনা আহমেদ সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; মুহম্মদ ইব্রাহিম সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ; মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ড. মোঃ কাওসার আহমেদ সদস্য (সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন; সত্যজিত কর্মকার সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের শেষভাগে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এস, এম, শহিদুল ইসলাম মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।


আরও খবর
রমজানে যেসব কাজ বেশি বেশি করবেন

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের। দোকানগুলোতে আগের মতো খুব একটা ভিড় নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতির জন্য পণ্যটির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ভোক্তার আমিষের জোগানে প্রয়োজনে আমদানি করা হোক গরুর মাংস।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ একটি গাড়িকে ঘিরে নারী-পুরুষের দীর্ঘ সারি। কারণ, সেখানে সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে দুধ, ডিম আর মাংস। এই দৃশ্য রাজধানীর খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বরের। এই গাড়িতে ৪ ধরনের পণ্য পাওয়া গেলেও ক্রেতারা আসেন মূলত গরুর মাংস কিনতে। কেননা বাজারের তুলনায় সাশ্রয় হয় ১৫০ টাকা। তবে সবার ভাগ্যে তা জোটে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বেশিরভাগেরি ফিরতে হয় খালি হাতে। চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়াই এর মূল কারণ।

এক ক্রেতা বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি এসেছে বেলা ১১টায়। ইতোমধ্যে লম্বা লাইন হয়েছে। এই অবস্থায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে। আরেক ক্রেতা বলেন, এখানে কষ্ট করে লাইন ধরা লাগে। এর মধ্যে কেউ পায়, কেউ পায় না। কারণ, অনেক মানুষ হয়। খামারবাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে কারওয়ান বাজার। এখানকার মাংসের দোকানগুলোর চিত্র বঙ্গবন্ধু চত্বরের ঠিক বিপরীত। গরুর মাংসের পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার।

বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও নেই চাহিদা। কারণ ৭৫০ টাকা কেজিতে মাংস কিনতে নারাজ ভোক্তারা। এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতারা কম দামে মাংস চায়। ফলে বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। কারণ, সস্তায় গরু পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কম দরে মাংস বিক্রি করতে পারছি না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে চাহিদার তুলনায় ১০-১১ লাখ টন গরুর মাংস উদ্বৃত্ত থাকে প্রতিবছর। তাই বাজারের এই অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তার মতে, গরুর মাংসের দর হওয়া উচিত ৬০০ টাকার নিচে।

তিনি বলেন, গরুর উৎপাদন খরচ ৬০০ টাকার কম। ফলে এই দামে বিক্রি করেও লাভ থাকে। তাই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কাম্য নয়। এই দরে যারা বিক্রি তারা আমাদের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ী নয়। তাদের আমরা চিনি না।

অতিমুনাফালোভীরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছে মাংসের দাম। তাই প্রয়োজনে পণ্যটি আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী বলেন, ডিম আমদানির খবরে মূল্য হ্রাস পেয়েছে। আমার মনে হয়, গরু আমদানি করলে এর মাংসের দাম কমে যাবে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল, মেক্সিকো থেকে তা আনা যায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে জনপ্রতি মাংসের চাহিদা দৈনিক ১২০ গ্রাম।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১১৪ বছর বয়সে মারা গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবারের সদস্যরা।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক মোরা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ১১৪ বছর বয়সী জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা আজ আমাদের ছেড়ে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন।’

২০২২ সালে পেরেজকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি বলে স্বীকৃতি দেয় গিনেজ। সে সময়ে তার বয়স ছিল ১১২ বছর।

পেরেজের ১১ সন্তান এবং ৪১ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এই ৪১ জনের আবার ১৮ সন্তান আছে, আর এই ১৮ জনেরও আছে ১২ সন্তান।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া জুয়ান মাত্র ৫ বছর বয়সেই বাবা এবং ভাইদের সঙ্গে নিজেদের আখ ও কফি ক্ষেতে চাষের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পরে এক সময় এল কোবরে শহরের শেরিফ (প্রধান আইন কর্মকর্তা) হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু কৃষিকাজ ছাড়েননি। যতদিন কর্মক্ষম ছিলেন, নিয়মিত চাষের কাজ করে গেছেন জুয়ান।


আরও খবর



যেভাবে মুক্তিপণের অর্থ পেল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশে সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন। এরপরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ২৩ নাবিককেই অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেয়েছি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এদিকে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতও  সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তে ইসরায়েল ব্যাপক কামানের গোলাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর।

এদিকে, গাজার গণকবর পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক পরিচালক রথ বলেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও তদন্তের জন্য গণকবর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা অসম্ভব নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরায়েল এমন স্বাধীন তদন্ত হোক, তা চাইবে না।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।


আরও খবর



প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর