আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রাণঘাতী হামলার মুখে যে সমস্ত রাষ্ট্রনায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রনায়ক,মানেই বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। একটা গোটা দেশের ক্ষমতার সূর্য তিনি। তবু সেই সূর্য কখনও-কখনও অসহায় হন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছু করার থাকে না তাঁর।

আসলে পদমর্যাদার সঙ্গে যেমন ক্ষমতা হাতে আসে, তেমনই বিপুল দায়িত্বের কাঁটার মুকুটও চেপে বসে মাথায়। সেই মুকুট সামলাতে আঁচড় তো লাগবেই। কিন্তু কোনও কোনও আঁচড় দগদগে ঘা হয়ে প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের ৮ জুলাই জাপানের প্রাক্তন এবং দীর্ঘতম সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেরও সম্ভবত তা-ই হল।

শিনজোকে হত্যা করলেন টেটসুয়া ইয়ামাগামি। যিনি নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, শিনজোর কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। হত্যা করেওছেন।

দেশের বর্তমান বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানকে ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ক্ষোভ থেকে হত্যার ঘটনা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। আধুনিক কালে যখন তাঁদের রক্ষা করতে রাষ্ট্র অত্যাধুনিক নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র বেড়া তৈরি করে দিয়েছে, তার পরও ঠেকানো যায়নি হামলাকারীদের।

শিনজোর মতোই প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছে বহু রাষ্ট্রনায়ক। রাষ্ট্রনেতা। দেশনেতা।

আব্রাহাম লিঙ্কন:

আব্রাহাম লিঙ্কন ছিলেন আমেরিকার ষোড়শ প্রেসিডেন্ট। তাঁকে ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল, একটি থিয়েটারে মাথার পিছন থেকে গুলি করে খুন করেন জন ওয়াইকস বুথ। সন্ধে ৬টা নাগাদ লিঙ্কনের উপর হামলা হয়। পরের দিন সকাল ৭টায় মৃত্যু হয় তাঁর।

লিঙ্কনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর দাসপ্রথা বন্ধের আইনকেই দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮৬৫ সালে হত্যা করা হয় লিঙ্কনকে। তার তিন বছর আগে ১৮৬২ সালে দাস প্রথা বন্ধের আইন প্রণয়ন করেন লিঙ্কন। তাঁর হন্তক বুথ ছিলেন দাস প্রথার অন্যতম সমর্থক।

মারি ফ্রাসোঁয়া সাদি:

১৮৯৪ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মারি ফ্রাসোঁয়া সাদি কার্নটকে ছুরি মেরে খুন করেন তাঁর হন্তক সাঁতে জেরোনিমো সিজেরিও। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট কার্নট তখনও সাত বছর পূর্ণ করেননি। অথচ এরই মধ্যে জনতার বিপদে-আপদে তাঁর যথা সময়ের উপস্থিতি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। লোকের মুখে মুখে কার্নটের সততা, নীতিপরায়ণতার কথা। সেই সময়েই একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে খুন হন কার্নট।

হত্যাকারী কার্নটের সামনে গিয়ে তাঁর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। ১৮৯৪ সালের ২৪ জুন এই ঘটনার পরের দিনই মারা যান কার্নট। তদন্তকারীরা জানান, এক ফরাসি নৈরাজ্যবাদীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই ওই হামলা করা হয় কার্নটের উপর। খুনি সিজেরিও নিজেও ছিলেন সেই নৈরাজ্যবাদীদেরই একজন।

লিওন ট্রটস্কি:

লেনিনের ভাবশিষ্য ছিলেন মার্কসবাদী বিপ্লবী লিওন ট্রটস্কি। তিনি ছিলেন রুশ বিপ্লবের প্রথম সারির নেতা। ১৯৪০ সালের ২১ অগস্ট তাঁকে হত্যা করা হয়। জাইমে রেমন মার্সেডার ডেল রিয়ো নামে এক স্প্যানিশন কমিউনিস্ট কর্মী তাঁকে হত্যা করেন বরফ কাটার কুড়ুল দিয়ে।

ট্রটস্কিকে অবশ্য তার আগেও বহু বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সোভিয়েতের এক নায়ক জোসেফ স্টালিন নিজে তাঁকে হত্যার চেষ্টায় বিভিন্ন সংগঠনকে কাজেও লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বার বারই বেঁচে যাচ্ছিলেন ট্রটস্কি। ১৯৪০ সালের ২১ অগস্ট যখন তাঁকে হত্যা করা হয় তখন ট্রটস্কি মেক্সিকোতে। তাঁকে তাঁর পড়ার ঘরে ঢুকে মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে খুন করেন রেমন। তবে তার পরও এক দিন বেঁচে ছিলেন ট্রটস্কি।

লুথার কিং:

মার্টিন লুথার কিং ছিলেন আমেরিকান ব্যাপ্টিস্ট মন্ত্রী এবং আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন মার্টিন। ভারতের মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে মার্টিনকে সামনে থেকে গুলি করে খুন করে জেমস আর্ল রে নামে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক।

জেমস ছিল দাগী আসামি। বহু বার জেল খেটেছে, জেল থেকে পালিয়েওছে। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মার্টিনকে খুন করে জেমস। মার্টিন একটি মোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন। জেমস ছিলেন হোটেলের গা ঘেঁষা অন্য একটি বাড়ির লাগোয়া ঘরে।

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী:

নাথুরাম গডসের হাতে খুন হন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। রাষ্ট্রনেতা না হলেও গান্ধী দেশনেতা। জাতির জনক। তাঁকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা মনে করেন দেশের একটি বড় অংশ। গান্ধী দিল্লিতে তাঁর সান্ধ্যকালীন প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাঁকে সামনে থেকে বুকে পর পর তিনটি গুলি করেন হিন্দুত্ববাদী নাথুরাম।

গান্ধীর বেশ কিছু নীতির বিরোধী ছিলেন নাথুরাম। তাঁর বক্তব্য ছিল গান্ধী হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মন্দিরে কোরান পড়ার কথা বলেছেন অথচ মসজিদে ভগবৎ গীতা পড়তে বলেননি। বহু বছর পর নাথুরাম বলেছিলেন তিনি গান্ধীকে সামনে থেকে গুলি করার আগে তাঁর সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম জানিয়েছিলেন। নাথুরামের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গান্ধীর।

জন এফ কেনেডি:

আমেরিকার ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয় ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে। হুড খোলা গাড়িতে সওয়ারি ছিলেন সস্ত্রীক প্রেসিডেন্ট। তাঁর হন্তক লি হার্ভে ওসওয়াল্ড রাস্তার ধারের একটি বাড়ির ছতলা থেকে প্রেসিডেন্টের মাথা লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালান।

প্রমাণ না হলেও কেনেডির হত্যাকাণ্ডে তাঁর দলেরই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। ওসওয়াল্ডকে অবশ্য এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই গুলি করে হত্যা করেন টেক্সাসের এক নাইট ক্লাবের মালিক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওই দিন ভোরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুজিবকে তাঁর ধানমণ্ডি ৩২ এর বাসভবনে আক্রমণ করেন। মুজিবকে মোট ১৮টি গুলি করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী, ভাই এবং দুই পুত্রবধূকেও।

বেনজির ভুট্টো:

পাকিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। মাঝে প্রায় নবছর আড়ালে থেকে আবার ২০০৭ সালে দেশে ফেরেন ভুট্টো। ঠিক করেন নির্বাচনে লড়বেন। প্রচারও শুরু করে দেন। কিন্তু ভোটের ঠিক দুসপ্তাহ আগে একটি জনসভায় হত্যা করা হয় ভুট্টোকে।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ সরিয়ে হাত নাড়ছিলেন ভুট্টো। এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি গুলি করে। তারপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায়। তদন্তে জানা যায়, ওই হামলার নেপথ্যে আদতে পাক তালিবান বাইতুল্লা মেহসুদের ষড়যন্ত্র ছিল।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ সরিয়ে হাত নাড়ছিলেন ভুট্টো। এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি গুলি করে। তারপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায়। তদন্তে জানা যায়, ওই হামলার নেপথ্যে আদতে পাক তালিবান বাইতুল্লা মেহসুদের ষড়যন্ত্র ছিল।

ইন্দিরা গান্ধী:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করেন তাঁরই দুই দেহরক্ষী সতবন্ত সিংহ এবং বিয়ন্ত সিংহ। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাঁর সফদরজং রোডের বাসভবনের বাগানে হাঁটছিলেন ইন্দিরা। বাড়ি থেকে এক ব্রিটিশ সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে তাঁর আকবর রোডের অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক সেই সময়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁর রক্ষীরা।

ইন্দিরার হত্যার মাস খানেক আগেই পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লু-স্টার চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শিখদের ধর্মীয় নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রনওয়ালে এবং তাঁর অনুগামীদের মন্দির থেকে বিতাড়িত করতে চালানো হয়েছিল ওই অভিযান, যা শিখদের মধ্যে ইন্দিরাকে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি করে বলে অভিযোগ। যার জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলেও অনুমান।

রাজীব গান্ধী:

রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। তাঁকে হত্যা করা হয় ১৯৯১ সালের ২১ মে। রাজীব তখন ভোটের প্রচারে দক্ষিণ ভারতে। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে একটি জনসভা ছিল। সভাস্থলে পৌঁছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে নেমে ডায়াসের দিকে এগোচ্ছিলেন রাজীব। একের পর এক শুভার্থীরা মালা পরিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁকে। তাঁর হত্যাকারী তেনমোজি রাজারত্নমও এগিয়ে আসেন তাঁর দিকে। শুভেচ্ছা জানিয়ে পা ছোঁওয়ার পরই কোমরে বাঁধা আরডিএক্স বেল্টে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান। ঠিক ১০টা বেজে ১০ মিনিটে।

রাজীবের হত্যায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দেয় তদন্তকারী দল। রাজীবকে হত্যার ঘটনার নেপথ্যে তামিল উগ্রপন্থী সংস্থা এলটিটিই-র ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দারা। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন যে, ওই এলটিটিই গোষ্ঠীর সদস্যদের সে সময় তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার আশ্রয় দিয়েছিল।


আরও খবর



নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যান্সার ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নারীবাদ নিয়ে এমন এক কথা বলে বসলেন তিনি, যাতে তার ওপর রেগে আগুন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টের সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছেন, নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশোনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে, এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে ও পরিবারকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারীপুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা ওল্ড স্কুল। তবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

নোরার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। তিনি নিজে দাপিয়ে কাজ করছেন বহির্বিশ্বে, অথচ তিনি মেয়েদের বাড়ির কাজে বাঁধতে চাইছেন। নোরার কথা বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে বেপর্দা হয়ে নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।

অন্য আরেক ব্যক্তি লেখেন, এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।


আরও খবর



রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে রুমা থানায় তিনটি এবং থানচি থানায় একটি মামলা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মামলাগুলো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা থানায় ৫০-৬০ জন নাম না জানা ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে। এছাড়া, গত বুধবার দুপুরে থানচি কৃষি ব্যাংকে টাকা লুটের ঘটনায় থানচি থানায় ৩০-৪০ জনকে নাম না জানা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।

থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, আজ শুক্রবার রুমা কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার হ্লা শৈ থোয়াই মারমা বাদী হয়ে ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে মামলা করতে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে লরিচাপায় এক পরিবারের ৩ জন নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির (৩০) ও রাহেলা বেগম (৫০)। তাদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর



তীব্র গরমে যে পরামর্শ সাবিলা নূরের

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। সারা দেশে হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত গাছপালা ও বনায়ন না থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে। এই অসহনীয় তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এবার ভক্তদের গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।স্ট্যাটাসে ভক্তদের পরামর্শও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সাবিলা নূর লিখেছেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা উদ্যোগ নিই। নিজ নিজ এলাকায় অন্তত ১০টি করে গাছ লাগাই। আর এটাকে একটা ইভেন্টে পরিণত করি। পরিবার-বন্ধুবান্ধব সবাই একসঙ্গে মিলিত হই। সেলফি/রিল/টিকটকে ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে আসি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান- এই ধরনের কোনো ইভেন্টকে। কেমন হবে বলুন তো?

অভিনেত্রীর এমন পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন তার ভক্তরা। তারাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, খুব ভালো উদ্যোগ।

নিউজ ট্যাগ: সাবিলা নূর

আরও খবর