জাতীয় প্রেস
ক্লাবের সামনে নিজের শরীরে প্রকাশ্যে আগুন দেওয়া কবি, ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
মো. আনিসুর রহমান গাজী (৫০) লাইফসাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৫
জুলাই) ভোর সোয়া ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে
লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের
সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
জানা গেছে,
হ্যানোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনার দাবি নিয়ে গত ২ মাস আগে জাতীয়
প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করেছিলেন আনিস। কিন্তু টাকা না পেয়ে গতকাল হঠাৎ
প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শরীরে আগুন দেন তিনি।
স্বজনরা জানান,
আনিস কুষ্টিয়ার পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। ছয় ভাইয়ের মধ্যে
তিনি তৃতীয়।
গাজী আনিসের
চাচাত ভাই কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, অনেক দিন ধরেই
তার গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ কম। তার অন্য পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে শুধু একজনই গ্রামে থাকেন।
বাকিরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরি ও ব্যবসা করেন। আনিস মাঝেমধ্যে গ্রামে আসেন গাড়ি নিয়ে।
কুষ্টিয়া জেলা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী জানান, গাজী আনিসুর রহমান ১৯৯১
সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সেই কমিটিতে আমি ছিলাম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে আনিস কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন। পরবর্তীতে গ্রামীণ
ব্যাংকে চাকরি পেয়ে রাজনীতি থেকে দূরে চলে যান। গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে বছর
দুই হলো আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ পদ-পদবি না পেয়ে আবার
ব্যবসায় মনোযোগী হন। এর মধ্যেই এই দুঃখজনক সংবাদ শুনলাম।