আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

পরকীয়ার টানে স্বামী-সন্তান ফেলে তিন গৃহবধূ উধাও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পরকীয়ার টানে ১০ বছরের সংসার জীবন ও স্বামী-সন্তান ফেলে উধাও হয়েছেন তিন গৃহবধূ। তাদের খুঁজে না পেয়ে সোমবার তিন গৃহবধূর স্বামীরা বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তিনজনের মধ্যে একজন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বারারা গ্রামের। তাদের সংসারে ৮ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও ৬ বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে।

আরেকজন বন্দর উপজেলার দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার। তাদের সংসারে ৭ বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। অপরজন বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার। তাদের সংসারে ৬ বছর বয়সের ও ৪ বছর বয়সের দুইটি মেয়ে রয়েছে।

এক গৃহবধূর স্বামী জানান, প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ নেয়। সেখানে কাজ করার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছেলের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই প্রেমের টানে তাকে এবং সন্তানদের ফেলে ৩ জানুয়ারি সকালে কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।

আরেক গৃহবধূর স্বামী জানান, প্রায় ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। সংসারে অর্থ সংকটের জন্য স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ নেয়। সেখানে কাজ করার সূত্রে তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছেলের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই প্রেমের টানে সংসার ও সন্তানকে ফেলে ৮ জানুয়ারি সকালে কাজের কথা বলে চলে যায়।

আরেকজন গৃহবধূর স্বামী জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তাদেরও  পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছেলের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই প্রেমের টানে ৮ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। আর ফিরে আসেনি।


আরও খবর



রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বিকেলে নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে দিবাগত রাত ১টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে থাকে। তবে দুপুরের পর আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই বৃষ্টি পড়ে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। একপশলা বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে গেছে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগ থেকে মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মোটরযানের অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালানো। দ্রুতগতির কারণে আঘাতের মাত্রাও হয় অত্যধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হলো।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এ গতিসীমা অবশ্যই মেনে সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার বেশি হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয় দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে। মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবিসংবলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেল ক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

বিশেষ নির্দেশে আরও বলা হয়, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বাঁ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাঁ লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

এতে বলা হয়- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে। ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নির্দেশ পালন না করলে বা গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মতলব উত্তরে ভোটে জয়ী হতে মরিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

ভোটে জয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৩ জনই এখন ভোটের মাঠে একে আপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জোড়ালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের সাবাই। মাঠের রাজনীতিতে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণিত হবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে প্রতীক নির্ধারণের পর উপজেলা জুড়ে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। স্ব-স্ব অনুসারী নিয়ে মিছিল মিটিং করছেন প্রার্থীরা। সব প্রার্থীদের দৃষ্টি ভোটারদের দিকে। নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রার্থী তালিকায় থাকা সম্প্রতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও সরব ভূমিকা পালন করছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই প্রচারণা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবসেও জনগণের প্রতি বার্তা প্রদান করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব থাকেন এই প্রার্থী। বর্তমান সময়ের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জনগণের প্রতি নানা পরামর্শমূলক পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করেন দীর্ঘ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ফলে তার জন সম্প্রিক্ততা রয়েছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্বে থাকা মানিক দর্জি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে থাকলেও রাজধানীতে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় পার করেন তিনি। নিজস্ব শিল্প কারখানায় তৈরী পণ্য রাজধানীর নিউমার্কেট, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হতে এবারের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠ স্বাভাবিক আছে জানিয়ে মানিক দর্জি জানান, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, কোন ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হইনি।

আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে জড়িত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদ ও স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল জনগণের সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দিতে সক্ষম হব। নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথাও জানান।

নির্বাচনী মাঠ নিয়ে অন্যদের কোন অভিযোগ না থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন ২৪ এপ্রিল তার লোকজনের উপর চেয়াম্যান প্রার্থী মানিক দর্জির লোকজন হামলা করেছে এমন অভিযোগ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদের কার্যালয়ে জমা দেন।

গাজী মুক্তার হোসেন বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমার লোকজনের উপর হামলা করা হচ্ছে, আমার বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, আমার দরজা জনগণের জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে জনগণ আমাকে সবসময় কাছে পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ জানান, মতলব উত্তরে সর্বমোট ৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


আরও খবর



ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় ফ্লাইট, যা বলল বেবিচক

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি ইসরায়েল থেকে দুটি ফ্লাইট সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আজ শনিবার বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায় শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে এবং অপরটি গত ১১ এপ্রিল রাতে ঢাকায় অবতরণ ও মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত এবং ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‌বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়-শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর