আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

প্রতারণার অভিযোগে ইকবালের বিরুদ্ধে হামদর্দের মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে হামদর্দের সাবেক পরিচালক ইকবাল মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় বেতন-ভাতার কয়েক কোটি টাকা ফেরত চায় প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ইকবাল মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আজকালের মধ্যেই মামলার আদেশ জারি হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হতে পারে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ-এ ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এমবিএ সনদ দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি পূর্ণাঙ্গ অবসরে চলে যান।

ভুয়া সার্টিফিকেটের ব্যাপারে বলা হয়, শিক্ষাগত সনদপত্রের মধ্যে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এমবিএ) সনদপত্র দিয়েছিলেন ইকবাল মাহমুদ। কিন্তু যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় সার্টিফিকেটটি জাল। মামলায়

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ না থাকা সত্বেও ভুয়া সনদে চাকরি করায় বেতন-ভাতা ও বোনাসের কয়েক কোটি টাকা ফেরত ও শাস্তি চায় প্রতিষ্ঠানটি। সনদের বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার সিনিয়র সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একেএম ফিরোজ উদ্দিন সরকার লিখিতভাবে জানান, তার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়নি। এরপর গত ২৭ ফেব্রæয়ারি রমনা থানায় একটি জিডি করে হামদর্দ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইকবাল মাহমদু চৌধুরী মেজর হিসেবে এক-এগারোর সময় সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেন। পরবর্তী সময়ে হামদর্দে চাকরি নেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, হামদর্দে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি অনেককে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা-পয়সা নেন। তিনি গত এক যুগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকায় নামে-বেনামে একাধিক ফ্ল্যাট ও গাড়ি-বাড়িসহ অঢেল সম্পদ গড়ে তোলেন। চাকরির প্রলোভনে অর্থ দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত তিনজন ভুক্তভোগী তাদের হয়রানির কথা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উত্তর ভাসানটেকের ১৫০/৫ সুনীলপাড়ায় ৬ তলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন তিনি। আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ইকবাল অনেককে হয়রানি করেছেন ।


আরও খবর



আইএমএফের বৈঠক আজ, ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের বৈঠক বসছে আজ সোমবার (২৪ জুন)। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি উত্থাপন হবে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে পরবর্তী এক-দুদিনের মধ্যে অর্থ ছাড় হতে পারে।

প্রস্তাবটি ওই বৈঠকে অনুমোদন হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।

ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ-এর দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি মিশন। তারা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায় তারা।

প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ত্যাগের আগে এমন বার্তা দিয়ে যায়, শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করবেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাহী পরিষদ ঋণের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে।

বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মঙ্গল বা বুধবার ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে। এবার তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার বড় ধরণের অবমূল্যায়নের কারণে কিস্তির অর্থও বেড়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করার পর্যায়ে রয়েছে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে চলতি বছরের নভম্বরের শেষদিকে আরও একটি মিশন ঢাকায় আসতে পারে। ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।

এই অর্থ পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে একাধিকবার নিট রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। পাশাপাশি বাজারে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে।


আরও খবর



পেনশন স্কিমে ৫০ হাজার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে প্রথম এগিয়ে চট্টগ্রাম জেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে পঞ্চাশ হাজার রেজিস্ট্রেশনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম জেলা। ২৭ মের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সমগ্র দেশে এখন পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করেছে প্রায় দুই লাখ বাহান্ন হাজার গ্রাহক, যার প্রায় ২০ শতাংশ অংশই চট্টগ্রাম জেলা থেকে।

চট্টগ্রামের এই অগ্রগণ্য যাত্রা নিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন স্কিম, যা বৃদ্ধ বয়সে সকলের অবলম্বন হিসেবে বিবেচিত হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা হওয়াতে এখানকার মানুষ এ ধরণের স্কিমে অংশগ্রহণ করতে ব্যাপক আগ্রহী। জুলাই মাসের মধ্যে ১ লক্ষ রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কাজ করছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২৭ তারিখ রাত ১০ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলাতে ৫০ হাজার ৬৮৮টি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রাউজান উপজেলাতে ৮ হাজার ৬৪৭টি, সীতাকুণ্ড উপজেলাতে ৫ হাজার ৬২০ টি, বাঁশখালী উপজেলাতে ৪ হাজার ৬০২ টি, কর্ণফুলী উপজেলাতে ৩ হাজার ২৩৩ টি এবং চন্দনাইশ উপজেলাতে ৩ হাজার ২১৪ টি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলাতে শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেএসআরএম গ্রুপ সর্বপ্রথম তাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন স্কিমে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

 চলমান কার্যক্রমের ধারা সমান গতিতে বজায় রাখতে সচেষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মত উদ্যোগের সাফল্য সম্ভাবনা বিপুল; পঞ্চাশ হাজার মাইলফলক অর্জন সেই পথকে আরো সুগম করেছে। আশা করি জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা আরো অনেক দূর যাবো।"

উল্লেখ্য, দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সমাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিবেচনায় নিয়ে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ পাশ হয় এবং গত ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



বজ্রপাতে দেশের ৬ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বজ্রপাতে দেশের ৬ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দিনের বিভিন্ন সময় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নওগাঁয় তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন, নাটোরে দুজন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন, দিনাজপুরে একজন, সন্দ্বীপে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা ও পত্নীতলা উপজেলায় দুই কৃষক ও একজন নারীসহ তিনজন মারা গেছেন। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে বজ্রপাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও বদলগাছীতে বজ্রপাতে আরও দুজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, মান্দা উপজেলার শামসুল আলম (৩৪) ভোলাম গ্রামের ফইমদ্দিন মণ্ডলের ছেলে ও পত্নীতলা উপজেলার উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের বিশা মণ্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৫০) ও গাহন গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী মনিকা (৩৫)।

আহতরা হলেন, বদলগাছীর গাবনা গ্রামের অবির উদ্দিন ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন ফকির (৫৫) ও আমিন আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল খালেক ফকির (৩৫)।

নিহতের বাবা ফইমুদ্দিন জানান, তার ছেলে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের একটি মাঠে ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।

পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান বহন করে বাড়ির উঠানে এসে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যান। অন্য স্থানে গৃহবধূ মনিকা বাড়ির সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বদলগাছীতে শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে আহত দুই ব্যক্তি কাজের উদ্দেশ্যে মাঠে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেন। এমতাবস্থায়, ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তারা গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলায় শিশুসহ দুজন ও ভোলাহাটে একজন মারা যান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা মহল্লার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিন পাঁকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮) টিউবওয়েলের পানি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

ভোলাহাট থানার ওসি সুমন কুমার বলেন, ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুরের ইসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০) বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়, পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গায় উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের সাদ্দাক আলীর স্ত্রী আবেরা বেগম (৪০) ও নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছার কোমরপুর শাহ পাড়ার লুৎফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০)।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান, দুপুরে আবেরা বেগম বৃষ্টির সময় হাঁস আনতে মাঠে যান। এ সময় তিনি বজ্রপাতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, পীরগাছা শাহ পাড়া এলাকায় বারনই নদীতে জাল ফেলে কামরুল ইসলাম মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে লিপি আকতার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার রনশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিপি রনশিয়া গ্রামের ফিরোজ জামানের স্ত্রী।

জাবরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, দুপুরে ঝড়-বৃষ্টি আসছে দেখে লিপি আক্তার বাড়ির পাশে শুকাতে দেওয়া ভুট্টা গাছ তুলতে যান। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আলম। তিনি বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বজ্রপাতে মো. রাফি (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। রাফি সন্দ্বীপের গাছুয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাদিয়ার গো মধ্যের বাড়ির মো. জামালউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বজ্রপাতের সময় রাফি অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে চরের মাঠে ফুটবল খেলছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাছুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহেল মেম্বার।

তিনি বলেন, নিহত রাফি স্থানীয় খান সাহেব নুরানী হাফেজীয়া মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছেলেকে হারিয়ে রাফির বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে জুয়েল নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামাইল সরকারপাড়া গ্রামের লালঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল মিয়া (১৯) নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামাইল সরকারপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় আফতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল হক এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার আফতাবগঞ্জ-লালঘাট পাকা সড়কের দামাইল সরকারপাড়া নামক স্থানে সড়কের উপর ধান-ভূট্টা শুকাতে দেয়। আকাশ মেঘলা হলে এইসব উঠানোর সময় হঠাৎ বজ্রপাতে জুয়েল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় জুয়েল মিয়া।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



ছাত্রলীগ নামধারী খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে নামধারী কিছু ছাত্রলীগ নেতারা অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কে বা কারা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। তাদের পরিচয় প্রশাসন ও সব মহলের কাছে আছে। তারা যে দলেরই হোক তাদের পরিচয় খুনি। আর কোনো খুনির সঙ্গে আমাদের দলের কোনো রকম সম্পর্ক নেই।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদে কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, খুনিরা দেশের অভ্যন্তরেই রয়েছে। প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি, অতি দ্রুত তাদের খুঁজ বের করে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তার চেয়ে আঘাত এ দেশের আর কেউ পায়নি। অর্থাৎ একটি পরিবারের কাউকে হত্যা করা হলে তাদের কেমন আঘাত লাগে তা প্রধানমন্ত্রী জানেন। তাই তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশপ্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের পুলিশের প্রধান, সেনাবাহিনীর প্রধানরা তাদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারেনি। তাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ছাত্রলীগ নামধারী এসব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। যাতে তাদের মতো এমন কাজ আর কেউ করতে সাহস না পায়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার করতে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঈমন হোসেনের নেতৃত্বে কলেজের অদূরে চন্দ্রা-ডাইনকিনি সড়কের নায়াগ্রার ঢাল এলাকায় একত্রিত হলে সেখানে একপক্ষ হঠাৎ ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে আল আমিন ও কামরুল নামে দুজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অভিযুক্তদের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় আল আমিন। গুরুতর আহতাবস্থায় কামরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জমি ও সড়ক দখলসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ফলে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে সোমবার (৩ জুন) থেকে আর কোনো দর্শনার্থী যেতে পারবেন না। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি করা হয়েছে দখল। বিষয়টি গণমাধ্যে প্রচার হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দিলে বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে এলাকাবাসী বক্তব্য দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশ এনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক। পরে পার্কের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সোমবার থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ বলে জানায় এলাকাবাসী।

সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বিরের জানান, আপাতত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করার যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্ভার সমস্যা সমাধন হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর