আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

প্রভাসের এক দৃশ্যে ব্যয় ২২ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার এই তারকাকে দেখা যাবে 'কেজিএফ' খ্যাত পরিচালক প্রশান্ত নীলের সালার’ সিনেমায়। আগামী বছর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই সিনেমার। আর এখন চলছে এই সিনেমার কিছু অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং। যার মধ্যে বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্য সিনেমাটির বিরতি আগেই দেখানো হবে। আর এসব দৃশ্যের জনেই মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করছে এই সিনেমার পরিচালক।

ভারতীয় তেলেগু গণমাধ্যম গালতে ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একটি অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য পরিচালক ২০ কোটি রুপি ব্যয় করছেন, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় ২২ কোটি ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ১২৬ টাকা। এই দৃশ্যটি সিনেমাটির বিরতির পূর্ব মুহূর্তে ব্যবহৃত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের একটি সেরা ইন্টারভ্যাল দৃশ্য হতে যাচ্ছে এই সিনেমার।

অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার সালার’ সিনেমায় প্রভাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় অভিনয় করছেন শ্রুতি হাসান। এছাড়া এ সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন পৃথ্বিরাজ, জগপথ বাবু, ঈশ্বরী রাও প্রমুখ। গত বছরের জানুয়ারিতে সালার’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। 


আরও খবর



অনিন্দ্য সুন্দরী জয়া আহসানের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অনিন্দ্য সুন্দরী আবার কখনো-বা চিরসবুজ এমন তারকার কথা মনে হলেই প্রথমে যে মুখ ভেসে আসে তিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। আজ তার শুভ জন্মদিন।

বাংলাদেশ ও কলকাতায় জয়ার অবস্থান প্রথম সারিতে। দুই বাংলার নির্মাতা-প্রযোজক এবং দর্শকের কাছে জয়া আহসানের জনপ্রিয়তা একদম উপরের দিকে। একের পর এক সফল ও দর্শকনন্দিত সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী।

বর্তমানে এপার বাংলার কাজের চেয়ে ওপার বাংলাতেই কাজের পরিমাণ তার বেশি। অভিনয়কে যিনি ধারণ করেছেন প্রতিটি শিরা-উপশিরায়, যেন অভিনয়ের জীবন্ত এক দেবী জয়া।

ছোটবেলা থেকে নাচ-গানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন জয়া। প্রাতিষ্ঠানিক অভিনয়টা না শিখলেও পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন। জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়ে। নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় দিয়ে দর্শকজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। মডেল হয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপনের। গুণী এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ব্যাচেলর সিনেমা দিয়ে।

ব্যাচেলর সিনেমার পর ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ডুবসাঁতার। জয়া বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেন। যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্য সিনেমার বিরতি বেশ লম্বা।

 প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। তবে ২০১১ সালে জনপ্রিয়তা আর প্রশংসা সব একসঙ্গে নিজের করে নেন জয়া। সে বছর তিনি তানিম নূর পরিচালিত ফিরে এসো বেহুলা এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত গেরিলা-য় অভিনয় করেন। গেরিলা তাকে এনে দেয় সাফল্যের স্বাদ। এ সিনেমার জন্য জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।

গেরিলার পর কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নজরে আসেন জয়া আহসান। সেই সুবাদে তিনি টালিউডেও কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তরুণ নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি সিনেমায় কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতায়ও আলোচিত হন।

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। অভিনয়ের দক্ষতায় জয়া যেমন মুগ্ধ করেছেন সবাইকে, তেমনি ভারী হয়েছে তার পুরস্কারের পাল্লাও। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন।

ব্যক্তিজীবনে প্রাণিপ্রেমী অন্য এক জয়াও রয়েছে। আর এ জন্য তিনি পেয়েছিলেন সম্মাননাও। দুই বাংলায় অসামান্য জনপ্রিয়তা ও সাফল্য অর্জন করা এই অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ। বয়স যেন আজও আটকে আছে তার সৌন্দর্যে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে জয়া ছিলেন মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সহধর্মিনী। ১৪ মে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে ফয়সালের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

নিউজ ট্যাগ: জয়া আহসান

আরও খবর



ঈদের পর ফের বিস্ফোরণ মিয়ানমারে, কাঁপছে টেকনাফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা অবধি থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। এতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ।

ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন ওপার থেকে গোলাগুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে না এলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সীমান্তে। এ অবস্থায় ঈদের দিন পার হতেই ফের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসায় দ্বিগুণ হয়েছে এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কয়েকটিতে ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

পরিস্থিতির বর্ণনায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের পরদিন সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।

এদিকে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে বলে খবর পেয়েছি।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যেকোন ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো এই ঘূর্ণিঝড়টিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঘণ্টায় ১৭৯ কিলোমিটার বেগে কয়েকটি দেশে আঘাত হানতে পারে।

ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্যারিবীয় দ্বীপে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে।

রোববার রাত স্থানীয় সময় ৮টা পর্যন্ত বেরিল বার্বাডোসের প্রায় ২০০ মাইল পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ মাইল বেগে বাতাস বইছিল ও ১৮ মাইল প্রতি ঘণ্টায় এটি পশ্চিমে চলছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় বেরিল বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা, মার্টিনিক, টোবাগো ও ডোমিনিকাসহ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে এসব দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো ঘূর্ণিঝড়টিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বেরিল এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি বড় এবং ধ্বংসাত্মক ঢেউ নিয়ে আসতে পারে উল্লেখ করে এনএইচসি বলছে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ এলাকায় যেখানে মূল অংশটি আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে এবং তার কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের ডিরেক্টর মাইক ব্রেনান সিএনএনকে বলেন, আমরা দ্রুত তীব্রতা (ঝড়ের) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং বার্বাডোস ও উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছানোর আগে বেরিল একটি বড় হারিকেন হয়ে উঠবে। এছাড়া পূর্ব ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পরও এটি শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বুধবার দিবসটি পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য শিশুশ্রম বন্ধ করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এই দিবস পালন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনিসেফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যম দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে অনুষ্ঠান, টিভিসি প্রচার করবে। সারা দেশে কলকারখানা ও শ্রমঘন এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার টাঙ্গানো হবে। শিশুশ্রম নিরসনে সচেতননামূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে। বিভিন্ন শিল্প এলাকার কলকারখানায় শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করতে বিশেষ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে ও শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাসহ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক শৈশব ও পারিবারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং শিক্ষা প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট ৮ দশমিক ৭ এর অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রথাগত শিশুশ্রম নির্মূলের পাশাপাশি জোরপূর্বক শ্রম, আধুনিক দাসপ্রথা ও মানবপাচার, শিশুদেরকে সৈনিক হিসেবে ব্যবহারসহ নিকৃষ্ট শিশুশ্রমসমূহ নিষিদ্ধ ও নির্মূলে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন। তিনি সংবিধানে শিশু অধিকার সমুন্নত রাখেন। বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে শিশু শ্রম প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শ্রমজীবী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আমরা জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছি। এ নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি এবং বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য ৪৩টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যা এবছর শেষ হবে। গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করেছি এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, শিশু আইন-২০১৩’, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শিশু ও তাদের পরিবারের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিশু সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং পারিবারিক আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা। এছাড়া শিশুশ্রম নিরসনে আমরা বেসরকারি খাতগুলোকে সম্পৃক্ত করেছি। সহিংসতা ও শোষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের প্রশিক্ষিত করার বিষয়টিতে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম সমীক্ষা-২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩২ লাখ। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ২০২৩ সালে শিশুশ্রম সমীক্ষা অনুযায়ী শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১৭ লাখে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



মাংস মেরিনেটে যেসব ভুল নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

মেরিনেশন হলো রান্নার আগে বেশিরভাগ অ্যাসিডযুক্ত, তরল খাবারে ভেজানোর প্রক্রিয়া। রান্নার যা-ই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞদের মতে রেসিপির আসল মজা নাকি থাকে মেরিনেশনেই। তবে সঠিকভাবে মাংস ম্যারিনেট না হলে মাংসে ও হাড়ে ঠিকমতো মসলা প্রবেশ করতে না পারলে মাংস রান্না করলে সেই মাংসে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে না। তাই সঠিক ভাবে মাংস ম্যারিনেট করা প্রয়োজন।

ম্যারিনেট করার সময় যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন:

* রান্নার ধরণ অনুযায়ী মেরিনেট করুন। যদি একদম শুকনো মেরিনেশনের দরকার হয় সেক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়ায় কোনো জলীয় পদার্থ ব্যবহার করবেন না। দই ব্যবহার করলেও পানি ঝরিয়ে তা ব্যবহার করুন।

* মেরিনেশনের সময় মাংস লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখা হয়। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ দেওয়া হলে মাছ বা মাংস থেকে আর্দ্রতা বেরিয়ে যায়। আবার কাঁচা অবস্থায় মশলা চেখে দেখা যায় না। তাই লবণের সঙ্গে লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নেবেন। সেই সঙ্গে সামান্য চিনিও দিতে পারেন।

* মেরিনেট করার আগে খেয়াল রাখবেন মাছ বা মাংসে যেন অতিরিক্ত পানি না থাকে।

* ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে বেশ খানিকক্ষণ নরমাল টেম্পারেচারে রাখতে হবে। তারপরে মাখবেন।

* ম্যারিনেটের আগে মাংস হালকা কেঁচে বা ছিদ্র করে নিন। এতে মশলা মাংসের ভেতরে ভাল ভাবে ঢুকবে। তবে বেশি ছিদ্র করবে না। বেশি ছিদ্র করলে রান্নার সময় তা ভেঙে যেতে পারে।


আরও খবর