আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশ আইনের ২৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সংক্রান্ত পুলিশ আইনের ২৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মোমেন চৌধুরী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

আজ বুধবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে পুলিশ আইনের ২৯ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল করার ক্ষমতা-সংক্রান্ত পুলিশ আইনের ধারা ২৯-এ বলা হয়েছে, জনসাধারণের শান্তি বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনার যখনই প্রয়োজন মনে করবেন এবং যত দিনের প্রয়োজন বিবেচনা করবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো জনসমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে অনুরূপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমতি ছাড়া ৩০ দিনের বেশি বলবৎ থাকবে না।


আরও খবর



ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় ফ্লাইট, যা বলল বেবিচক

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি ইসরায়েল থেকে দুটি ফ্লাইট সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আজ শনিবার বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায় শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে এবং অপরটি গত ১১ এপ্রিল রাতে ঢাকায় অবতরণ ও মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত এবং ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‌বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়-শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২২টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাটের আয়োজন করবে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিসিয়াল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ৯টি হাট স্থাপনের জন্য ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে

যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর নিকটবর্তী খোলা জায়গা।

আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, ইনস্টিটিউট লেদার টেকনোলজি কলেজ, পোস্তগোলা খোলা মাঠ, মেরাদিয়া বাজার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন স্থান। এ ছাড়াও বিশ্ব রোডের কাছে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাশের একটি অঞ্চলে হাট বসবে।

ডিএনসিসির আওতায় হাটের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন খোলা জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া ব্যাপারীপাড়া রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা এবং খিলক্ষেতের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্তুল চেকপোস্ট।

ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, বউবাজার এলাকা এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন।

এ ছাড়াও মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং ওপেন স্পেস) এবং মোহাম্মদপুরের বসিলায় ৪০ ফুট রাস্তার পাশের খোলা জায়গায়ও হাট বসানো হবে।

ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবিধান

দুই সিটি করপোরেশনই ইজারার মাধ্যমে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন উত্তরার বউবাজার এলাকার হাটের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং কাঁচকুড়া এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। সীমান্তবিষয়ক সমস্যা থাকায় একটি সমন্বিত কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে আফতাবনগর হাটের জন্য পৃথক ইজারা নোটিশ জারি করেছে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি।


আরও খবর



পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট পিটিশন দায়ের করে।

এইচআরপিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ রিট দায়ের করেন।

সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিনদিন কমছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিটে নিম্ন নির্দেশনাগুলো চাওয়া হয়েছে

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

রিট পিটিশনাররা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। বিবাদীরা হলেন- সচিব, কেবিনেট বিভাগ; মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ বিভাগ; মেয়র, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, প্রধান বন সংরক্ষক; প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক মহাসড়ক বিভাগ ও আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।


আরও খবর



পঞ্চম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

টানা পঞ্চম বারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি।

গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়ার পর মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী এই নেতা।

সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। মস্কোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকেও নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘিরে ব্যাপক তিক্ততা চলছে প্যারিস এবং মস্কোর মধ্যে।

তবে পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তিন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন । পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন—উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।

কিন্তু ২০১২ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নীত করেন এবং দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতা না করার যে বাধ্যবাধকতা ছিল— তা বাতিল করেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।

রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্টের পদে থাকার রেকর্ডের মালিক সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। টানা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। শপথগ্রহণের পর এবারের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারলে স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন পুতিন।

ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেন স্বীকৃতি না দেওয়ায় প্রায় ৪-৫ বছর দেশটির সঙ্গে টানাপোড়েন শেষে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন।

সেই অভিযান এখনও চলছে। এদিকে অভিযান শুরুর পরপরই রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এসব নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া।

যদি সত্যিই এ উদ্দেশ্য সফল হতো, তাহলে পুতিনের পক্ষে এই নির্বাচনে জেতা খুবই কঠিন হতো। কিন্তু  দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিভিন্ন নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্ভাব্য সেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। আর এই ব্যাপারটিই পুতিনের জয়ের পথে সবচেয়ে বড় পাথেয় হিসেবে কাজ করেছে।


আরও খবর



বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির ৭৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এসব নেতাদের নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।


আরও খবর