আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
যৌন হেনস্থার অভিযোগ, পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে এফআইআর সীমান্ত হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা শনিবার, ব্যয় ৫ কোটি টাকা ড. ইউনূসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ আন্দোলনে শ্রমিক দল কর্মী হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিশ্বকাপ জিততে নেইমারকে লাগবেই ব্রাজিলের: রদ্রিগো সায়েন্সল্যাবে আইডিয়াল ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ পেট্রোবাংলায় তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা ইলিশ দিচ্ছে না বাংলাদেশ, হু হু করে দাম বাড়ছে ভারতে

পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি চট্টগ্রামের পুলিশ সদস্যদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সারাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদস্যরা। এতে সিএমপির কয়েজন উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরে দামপাড়াস্থ সিএমপির পুলিশ লাইন্সে এক প্রতিবাদ সভায় সাধারণ কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্যরা বলেন, আপনাদের একটি নতুন বাংলাদেশে স্বাগতম। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, সেসব শহীদদের যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আন্দোলনে আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

তারা বলেন, একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে এবং সরকারি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খুবই ক্ষীণ। তথাপিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে শুরু থেকেই পুলিশের অধিকাংশ সদস্য মৌনভাবে একাত্মতা পোষণ করে এসেছে বলে আমরা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলতে চাই।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীসহ প্রতিটি বাহিনী একটি চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করে চলে। চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করেই পুলিশ বাহিনীর অধস্তনরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। আর সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পুলিশ বাহিনী আজ ছাত্র-জনতার মুখোমুখি। এছাড়াও বরাবরই পুলিশের প্রতি কিছু সংখ্যক সাধারণ জনাতার একটা ক্ষোভ কাজ করে, কিন্তু কেউ কখনো এটা ভাবে না আমরাও তাদের মতো কারো সন্তান, তাদের মতো কখনো ছাত্র ছিলাম, এখন চাকরির জন্য দায়িত্বের খাতিরে ঊর্ধ্বতনদের আদেশ মানতে আমরা বাধ্য, সেখানে আমাদের দোষটা কোথায়।

তারা দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর থেকে একটি শ্রেণি কর্তৃক টার্গেট করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বিভিন্ন পুলিশ লাইনে, খানা, পুলিশ ফাড়ি, পুলিশ বক্স এবং যানবাহনে। আহত হয়েছে শত শত পুলিশ সদস্য। আমরা এসব ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিকামী সাধারণ ছাত্র-জনতা কখনোই এসব ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে না। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমরা সর্বদা জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে আইনানুযায়ী বদ্ধপরিকর।

গত ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই আমরা দেখেছি, আমাদের অভিভাবকরা কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই আত্মগোপনে চলে যান যা আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেয়। যথাযথ নির্দেশনার অভাবে আমরা অনেক পুলিশ সদস্যদের হারিয়েছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি কর্তৃক পুলিশ সদস্যদের বাসাবাড়িতেও হামলা চালানো হচ্ছে। জীবন রক্ষার্থে অনেকে আত্মগোপনে আছেন। এমতাবস্থায়, পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের নিরাপত্তা এবং নিম্নোক্ত দাবি নিশ্চিত না হওয়া অবধি আমরা পুলিশ বাহিনীর অধস্তনরা কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষত অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সার্বিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে

নিম্নোক্ত দাবিগুলো পেশ করা হলো-

১. চলমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ সব পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২. নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, আজীবন পেনশন-রেশন প্রাপ্তি এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

৩. পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

৪. সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। সেক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ এবং সেটি যথাসময়ে নিশ্চিত করা। সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর পদে পিএল হওয়ার ১ বছরের মধ্যে পদোন্নতি দিতে হবে। এছাড়া কনস্টেবল/নায়েক/এটিএসআই/এএসআই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাসকৃতদের পরবর্তী বছর পুনঃপরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল এবং পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পাশসকৃতদের সিনিয়রিটি অনুসরণ করা।

৫. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, পুলিশের কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জন্য ওভারটাইম প্রদানের ব্যবস্থা করা অথবা বছরে ২টি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা।

৬. পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধিকরণ, টিএ/ডিএ বিল প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান এবং প্রযোজ্য সকল সেক্টরে সোর্স মানী ফ্রেশ মানী নিশ্চিত করতে হবে।

৭. পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ৬০ দিন করতে হবে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থে ছুটি ছাড়া সম্ভব না হলে অভোগকৃত ছুটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে হবে।

৮. পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল সংস্কার করে যুগোপযোগী এবং কার্যকরী করতে হবে যার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা এবং অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়।

৯. পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনো দলীয় সরকার তার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পাবে সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।

১০. পুলিশের সকল থানা, ফাড়ি এবং ট্র্যাফিক বক্স আধুনিকায়ন করতে হবে এবং অধস্তন অফিসারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

১১. নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল ব্যারাকে বিদ্যমান আবাসন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে ব্যারাকগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে।

প্রিয় দেশবাসী, একটি নিরপেক্ষ এবং যুগোপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে উঠুক সেটি আপনাদেরও দাবি। আর সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার ও প্রণয়ন এবং উল্লিখিত দাবিগুলো অনতিবিলম্বে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে দেশবাসী সবার কাছে অনুরোধ করছি আপনারা পুলিশের প্রতি এই ক্ষোভ রেখে দয়া করে আমাদের একটু বোঝার চেষ্টা করেন।

পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল করেন উপস্থিত সিএমপির সকল পুলিশ সদস্যরা।


আরও খবর



সিলেটে জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা, নাগরিক সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

কোটা আন্দোলনে ছাত্র জনতার প্রবল প্রতিরোধের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর সিলেটের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে রয়েছেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তাদের কার্যালয়ে, মুঠোফোনে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জন-সাধারণের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, ১৩টি উপজেলা পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা, ১০৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তবে গত সোমবারের পর অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি নিজ কার্যালয়ে আসছেন না। ফলে জনগণের সেবা ব্যাহত হচ্ছে পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও থমকে রয়েছে।

জানা যায়, জেলা পরিষদ ও ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১১টি তেই আওয়ামী লীগ পন্থি চেয়ারম্যান রয়েছেন। জেলার বেশিরভাগ পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছেন আওয়ামী পন্থি চেয়ারম্যান ও সদস্য। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন পাশাপাশি বেশিরভাগ কাউন্সিলর ছিলেন একই দলের সমর্থক। গত সোমবারের পর বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকে কার্যালয়েও আসেন নি। মুঠোফোনেও পাওয়া যাচ্ছেনা তাদের। এতে এসব এলাকার জন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ ধমকে রয়েছে। পাশাপাশি কার্যালয়ের সেবা পেতে বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাগজপত্রে চেয়ারম্যান, মেয়রের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়, অনেকে কার্যালয়ে না আসার কারণে স্বাক্ষর করতে পারছেন না। এতে করে জন্ম নিবন্ধন করা গেলেও স্বাক্ষরের কারণে সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। পাওয়া যাচ্ছেনা বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র। ফলে জরুরি কাজগুলোও করতে পারছেন না সেবা প্রত্যাশীরা।

সিলেট জেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা রাফসান আহমেদ বলেন, জন্ম নিবন্ধন করতে দিয়েছিলাম। এখন কার্যালয়ে আসলাম কিন্তু জন্ম নিবন্ধন প্রস্তুত থাকলেও শুধু মাত্র চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর না থাকার জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যেতে পারছি না। চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

একই অবস্থা এই ইউনিয়নের সাজ্জাদ আহমেদের। তিনি বলেন, জমির একটি কাজের জন্য উত্তরাধিকার সনদের প্রয়োজন গত এক সপ্তাহ থেকে ইউনিয়ন কার্যালয়ে আসলেও চেয়ারম্যানকে পাইনি। এতে আমার জরুরি এই কাজ আটকা পড়ে রয়েছে। একই অবস্থা এই ইউনিয়নে আসা সেবা গ্রহিতাদের।

সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পদ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশের বেশিরভাগ জন প্রতিনিধি গা ঢাকা দিয়েছেন। সিলেটেও এর ব্যতিক্রম হয়নি, সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ পন্থি জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা অনেকেই আওয়ামী সরকার থাকাকালীন সময় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাই জনগণের রোষানলে না পড়ার জন্য গা বাঁচাতে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ নাগরিকের ওপরে। এ বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসনের কী করণীয় তা নির্ধারণ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।

সিলেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার বলেন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে কারা অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



২০২৩ সালে তীব্র তাপপ্রবাহে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু: গবেষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২৩ সালে ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিবেশে কার্বন নির্গমন বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের একটি সমীক্ষা বলছে, গত বছর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর এবং ইউরোপের দ্বিতীয়-উষ্ণতম বছর। এই সময়ে তীব্র তাপের কারণে ইউরোপে ৪৭ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ন্যাচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ইউরোপের ৩৫টি দেশের তাপমাত্রা এবং মৃত্যুর রেকর্ড নেওয়া হয়েছে।

গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

গত বছরের মধ্য জুলাই এবং আগস্টের দিকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে গ্রিসে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। সিসিলিতে গত ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১১ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, এখানে যে মৃত্যুর সংখ্যা বলা হয়েছে তা অনুমান নির্ভর। সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, তারা ৯৫ ভাগ আত্মবিশ্বাসী যে, মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৫৩ এবং ৬৬ হাজার ৫২৫ এর মধ্যে।

তবে তারা আরও বলছে যে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার যদি গ্রীষ্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিতো তাহলে মৃত্যুর হার আরও বেশি হতো।

গবেষকরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গ্রীষ্মকালে জীবন বাঁচাতে ঐতিহাসিক এবং চলমান অভিযোজনের যে গুরুত্ব তা আমাদের গবেষণার ফলাফলে তুলে ধরা হয়েছে।

সামনের গ্রীষ্মে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও কমানোর জন্য আরও কার্যকর কৌশল জরুরি বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় আরও সক্রিয় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

জাতিসংঘ বলছে, ইউরোপের তাপমাত্রা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাপপ্রবাহের মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে আরও দীর্ঘ এবং আরও তীব্র করে তুলছে।


আরও খবর



পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পলিথিনের বিরুদ্ধে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযান শুরুর তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। কারণ এর সঙ্গে আরও কয়েকটি সংস্থা সম্পৃক্ত। এখন সবাই একটা আন্দোলনের মুডে আছে। সবাই সবার দাবি পেশ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওইদিকে ব্যস্ত আছে। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আপনারা কার্যক্রমের শুরু দেখতে পারবেন।

উপদেষ্টা বলেন, আপনি যে দোকানে যান সে দোকান থেকে পলিথিন ব্যাগ কিনে আনেন। আমি আপনিও বলি না পলিথিন ব্যাগ দিচ্ছেন কেন, এটা তো নিষিদ্ধ। আমরাও তো হাতে করে নিয়ে আসি। মার্কেটগুলোতে গিয়ে পলিথিন ব্যাগগুলোর সম্পর্কে আমরা প্রথমে ১৫ থেকে ২০ দিন বলব, তারপর অভিযানে যাব। এগুলো আপাতত সিদ্ধান্ত।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, শীত মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকার বায়ু দূষণ কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে ঢাকার চারপাশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করাসহ বায়ু দূষণ রোধের ব্যবস্থা না করে নতুন ভবন নির্মাণের লাইসেন্স দেওয়া হবে না। খোলা ট্রাকে বালু বা ইট বহন করা যাবে না। বায়ু দূষণ মিটিগেশনের ব্যবস্থা না থাকলে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরকে সবচেয়ে দূষিত নদীর তালিকা এবং দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা দিতে বলা হয়েছে। নদী রক্ষায় হাজার কোটির না হলেও ছোট ছোট প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। শব্দদূষণ রোধেও হর্নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু হবে। খালগুলো পুনরুদ্ধারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।


আরও খবর



বিমানের এমডি জাহিদুল ইসলাম ওএসডি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

জাহিদুল ইসলাম বিসিএস (প্রশাসন) ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বিমানের আগে তিনি ৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে ওএসডি করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাহিদুল ইসলাম এ বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে বিমানের এমডি ও সিইওর দায়িত্ব পান। মাত্র আড়াই মাসের মাথায় তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।


আরও খবর



মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে প্লাস্টিকের কণা: গবেষণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মানুষের শরীরে প্লাস্টিক রয়েছে এই তথ্য নতুন নয়। তবে নতুন এক গবেষণায় এবার মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের খোঁজ পেয়েছে। আর এই তথ্য সামনে আসার পরই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

একদল গবেষক বছরের শুরুতে মস্তিষ্কের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেন। তারা দেখতে পেয়েছেন, আট বছর আগে সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের নমুনার তুলনায় এখন মানুষের মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে, যা মারাত্মক শংকার।

পানির বোতল থেকে শুরু করে বাজারের ব্যাগ, মোবাইল ফোন থেকে ল্যাপটপ সবকিছুতেই প্লাস্টিকের ছোঁয়া। এক কথায় বলা যায় প্লাস্টিকের জগতে বাস আমাদের। বিভিন্ন খাবারেও মিলছে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব। সেই প্লাস্টিক এবার পৌঁছে গেছে মস্তিষ্কে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে আসা এমন তথ্য চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে চিকিৎসা মহলে।

গেলো মে মাসে অনলাইনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, মানব শরীরের ব্রেন, কিডনি আর লিভারের অটোপসি করে পরীক্ষা শেষে সবগুলো অঙ্গেই মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। ৯১টি ব্রেন স্যাম্পলে সারা শরীরের থেকে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে- দেহের সবকটি অঙ্গের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণে সবথেকে বেশি জর্জরিত ব্রেন বা মস্তিষ্ক।

গবেষণা প্রতিবেদনটির মূল লেখক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক। তিনি বলেন, ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে গড় বয়সের ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মস্তিষ্ক, বাকি অংশ প্লাস্টিক। ২০১৬ সালে মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের নমুনার তুলনায় এটি প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।

তিনি  জানান, এই ন্যানো প্লাস্টিকগুলো কোনো না কোনোভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করছে এবং মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। প্লাস্টিক ফ্যাট বা লিপিড পছন্দ করে। তাই খাবারের মাধ্যমে যে ফ্যাট গ্রহণ করা হয় সেগুলোর সঙ্গে ন্যানো প্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করে। তারপর তা মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যায়। খাবার ছাড়াও শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমেও প্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করে।

মূলত ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির গবেষণা করতে গিয়েই উঠে আসে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এই তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে কীভাবে প্লাস্টিক দূষণের ফাঁদে পড়ছে মানব সভ্যতা। ধীরে ধীরে আমাদের মস্তিষ্ককেও গ্রাস করে নিচ্ছে এটি। তাই সাবধান হওয়া জরুরি এখনই।


আরও খবর