আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশকে পিটিয়ে হত্যায় কার ইন্ধন, আমির খসরুর কাছে জানতে চাইবে ডিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির কর্মসূচির দিনে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কার ইন্ধন ছিল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাকে ইতোমধ্যে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। কনস্টেবল আমিরুল হত্যায় কার ইন্ধন ছিল, সে বিষয়ে জানতে গতরাতে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে রিমান্ডে নিতে চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আমির খসরু পালিয়ে ছিলেন দাবি করে ডিবিপ্রধান বলেন,  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটা বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমির খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন,  আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি।

তিনি আরও বলেন, এ মামলার যারা আসামি তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে। যারা পালিয়ে ছিল তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা পালিয়ে আছে, এখনও আমি মনে করি তাদের আমরা ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।

এদিকে আমির খসরু ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরুদ্দিন স্বপনকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছে পুলিশ। এই দুই নেতাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



অনুমোদনহীন স্টিকার: ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১টি এবং ১ হাজার ৩৫০টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদনহীন গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০টি অনুমোদনহীন, ৭৪টি ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪টি অনুমোদনহীন, ৪৬টি ফিটনেসবিহীন ও ৩টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; লালবাগ বিভাগ ৯টি অনুমোদনহীন, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪টি অনুমোদনহীন, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; তেজগাঁও বিভাগ ৩৪টি অনুমোদনহীন, ৫৩টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; গুলশান বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; মিরপুর বিভাগ ৪২টি অনুমোদনহীন, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।


আরও খবর



ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো: গ্রেপ্তার ৯০০

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।

গত ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে অন্তত ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরপর থেকে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শিবির স্থাপন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ থেকে ২৯০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র উৎপাদনসহ নানা উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।


আরও খবর



বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মিসর থেকে বোয়িংয়ের দুই উড়োজাহাজ লিজ গ্রহণ ও রি-ডেলিভারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক এ চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৩ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার। তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ২৩ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নতুন করে অপর সাতজনকে অভিযুক্ত করে আসামি হিসেবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল, সাবেক পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এস এ সিদ্দিক), সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান ও প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (এরোস্পেস/ এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, উপ-পরিচালক আব্দুল কাদির ও এয়ারওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার।

অন্যদিকে, এজাহারভুক্ত যে ১৪ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান ফারুকী, ডিজিএম কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ক্যাপ্টেন মো. নজরুল ইসলাম শামিম, উপ-মহাব্যবস্থাপক জিয়া আহমেদ, সাবেক চিফ পার্সার কাজী মোসাদ্দেক আলী, ফ্লাইট পার্সার শহিদুল্লাহ কায়সার ডিউক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আজাদ রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক বসুনিয়া, ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান, চিফ পার্সার মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল হক (শাহিন), ফ্লাইট পার্সার শাহনাজ বেগম ঝর্ণা ও সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবাল।

চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।


আরও খবর