আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

পুঁজিবাজারের উন্নতির স্বার্থে সরকার সব করবে : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আলোকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অর্জন ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে সব রকম সহায়তা করে যাচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে এবার বাজেটেও নীতি সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চান দেশের উন্নয়নের সাথে পুজিবাজার সমানতালে এগিয়ে যাক।

সেমিনারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়ন আরো বেগবান হতো।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুঁজিবাজার সঠিকপথে আছে। বিশ্বব্যাংক পুজিবাজারের আইটি অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থায়ন করবে। এটা কয়েকমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করেন তিনি। এতে বাজার আরো গতিশীল হবে, স্বচ্ছ হবে বলে আশা করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের গুজব ছড়িয়ে আতঙ্কিত করে কারসাজি কমবে বলে মনে করেন তিনি।

বাজারে বিনিয়োগের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য আসছে এবং আরো আসবে বলে জানান তিনি।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, ওটিসি মার্কেটে গতিশীল করছি। চারটি প্রতিষ্ঠানকে মূল মার্কেটে এসেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এক্সিট পলিসি অনুযায়ী এক্সিট চায়, কেউ কেউ এসএমই মার্কেটেও আসতে চেয়েছে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, বর্তমানে ব্যাংক আমানতের সুদহার অনেকটা কমায় পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ডিএসই আয়োজিত সেমিনারে ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি ডিএসইর প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপন করতে লেগে গেছে ৪৮ বছর।

অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুজিবাজার নিয়ে আরো গবেষণা জরুরি। দেশের উন্নয়নের সাথে এ বাজার কিভাবে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য করণীয় ঠিক করতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ডিএসইর সিওও সাইফুল ইসলাম মজুমদার, মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, গড় আয়ু, শিশু মৃত্যুহারসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বঙ্গবন্ধু সময়মত বুঝতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা না হলে, অর্থনৈতিক মুক্তির পথ উন্মুক্ত হবেনা। এখন তার সেই দর্শন পুরোপুরি প্রমাণিত।

তিনি বলেন,করোনার মধ্যেও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে ডিএসইট লেনদেন ও সূচকে। বাজারে এখন তিনটি প্রোডাক্ট আছে, আরো অনেকগুলো বিনিয়োগযোগ্য পণ্য নিয়ে আসা সম্ভব বলে জানান তিনি। তার মতে কার্যকর উদ্যোগ নিলে দেশের পুজিবাজারকে এমার্জিং পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।


আরও খবর



ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। তবে সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান ও খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক ও কৌশলগতভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত রেখেছে। তবে তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিসেই তা কার্যকর করতে পারবে বলে চ্যানেল ১২ এর খবরে বলা হয়েছে।

ইসরায়েল হায়ুম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন- জবাব দেওয়া হবে।

আর এনবিসি নেট্য়ার্ক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিকল্প পন্থাগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে এবং এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েল জবাব দেবে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ইরানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার পক্ষে। তবে জবাবের সময় এবং মাত্রা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় ইরানি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে। শনিবার রাতে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এ সময় তারা প্রায় ৩৫০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এগুলোর ৯৯ শতাংশই সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি হিব্রু মিডিয়ায় বলা হয়েছে, এই ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এবং তার ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সহকর্মী গাদি আইজেনকট (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পর্যবেক্ষক) উভয়ে ইরানে পাল্টা হামলার প্রস্তাব করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, আইডিএফ প্রধান হারজি হ্যালেভি এবং অন্যরা প্রস্তাবটির দৃঢ় বিরোধিতা করেন। তারা মনে করেন, একইসাথে এত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে প্রচুর চাপের সৃষ্টি হবে।

এদিকে পৃথক একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে না। তবে বিষয়টি তাদেরকে আগে জানাতে হবে এবং সমন্বিত হামলা চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সরকারিভাবে জানিয়েছে- তারা ইরানে ইসরায়েলের কোনও পাল্টা হামলায় অংশ নেবে না।

চ্যানেল ১২ আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এখন সংযত থাকার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত চুক্তি করতে চাচ্ছে এবং তা করতে চাচ্ছে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই।


আরও খবর



ইসরায়েলজুড়ে ইরানের নজিরবিহীন হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।

ইরানের নজিরবিহীন এই হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন। এমন অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা হামলার শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালানো শুরু করেছে এবং তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে শহরগুলোতে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এদিকে ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করার কাজে ইসরায়েলি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জর্ডানের বাহিনীও কাজ করছে।

তেহরান বলেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে। দেশটি আরও বলেছে, বিষয়টি এখন সমাপ্ত বলে মনে করা যেতে পারে

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সতর্কতা জারি করে বলেছে, অধিকৃত গোলান মালভূমি, নেভাটিম, ডিমোনা এবং ইলাতের বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করতে হবে।

নেভাটিম এমন একটি স্থান যেখানে ইসরায়েলি বিমানঘাঁটির অবস্থান রয়েছে। দিমোনার উপকণ্ঠে ইসরায়েলের একটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। ইলাত হলো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় লোহিত সাগর তীরবর্তী বন্দরনগরী। গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় ইয়েমেনের হুথিদের বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এই শহরটি।

অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে এরদান বলেছেন, ইরানের হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং আমি আশা করি কাউন্সিল ইরানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সব উপায় ব্যবহার করবে।

এমন অবস্থায় রোববার বিকেলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মাল্টা বলেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) রোববার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় একটি জরুরি বৈঠকে বসবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে জরুরি বৈঠকের জন্য জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূতের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পরপরই বৈঠকটি ডাকা হয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ককে ইরানি কনস্যুলেটে চালানো হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান। রোববার রাতে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের চৌকস বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন একে একে ইসরায়েলের দিকে ছুটে যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। যেগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ড্রোনের পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, যাত্রীদের পিটুনিতে চালক-হেলপারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যাত্রীদের পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ডিইপিজেড) এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইতিহাস পরিবহনের বাস চালক সোহেল রানা বাবু (২৬) ও হেলপার হৃদয় (৩০)। বাস চালক সোহেল মিরপুরের ফুরকান হোসেনের ছেলে। অপরদিকে হেলপার হৃদয় ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী ইতিহাস পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সাথে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঢাকা ঘটনার সত্যতা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে যাত্রীদের সাথে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দেশের মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।  কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ডঅ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে, এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি।  একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর