রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে বেশ কয়েকটি গুদাম ও দোকানে অবৈধভাবে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল মজুদের ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকালে রাজশাহী জেলা পুলিশ ও পুঠিয়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরু করে। নিউজ লেখা পর্যন্ত পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিলো।
মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যা পোনে ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। চারটি গোডাউন থেকে সয়াবিন ও সরিষার তেল পাওয়া যায়। চার গোডাউনের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেইসাথে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে এখনও জব্দ বা আটক কোনো কিছু দেখানো হয়নি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ ও নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করার অভিযোগে রাজশাহীর তিন ব্যবসায়ীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী ও সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এই অভিযান চালান।
অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা নগরীর সাহেব বাজার ও বহরমপুর এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় সাহেববাজার এলাকার মেসার্স হুমায়ুন স্টোরে ১৩২ বোতল সয়াবিন তেল মজুদ পাওয়া যায়। বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুদ রেখেছিলেন বিক্রেতা হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনায় তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে জব্দকৃত ১৩২ বোতল সয়াবিন তেল গায়ে লেখা দামে বিক্রি করে ব্যবসায়ীতে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
একই অভিযানে সাহেববাজার এলাকার মেসার্স পাপ্পু অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক নজরুল ইসলাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন।
হাসান-আল-মারুফ জানান, আলাদা অভিযানে নগরীর বহরমপুর মোড় এলাকার মেসার্স নুরুন্নবি ট্রডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি মূল্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুরুন্নবী। তাৎক্ষণিকভাবে এই তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।