অনেক জল্পনা কল্পনার
পর অবশেষে ইউক্রেনে হামলা করেই বসেছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক বিশেষ সামরিক
অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, এরপর থেকেই মূলত ইউক্রেনের মাটিতে
রুশ আগ্রাসনের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে। এরপর থেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে
রাশিয়া ও দেশটির রাষ্ট্রপতি। ম্যানচেস্টার সিটি তারকা ওলেক্সান্দ্র জিনচেঙ্কো তো রীতিমতো
পুতিনের যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যুই কামনা করে বসলেন!
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া।
ডনবাস নামে পরিচিত এই অঞ্চলে এরপর শুরু হয় হামলা। নিজ দেশে এমন আক্রমণ ইউক্রেনের ক্রীড়াবিদরা
মেনে নিতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখাচ্ছেন প্রতিক্রিয়া। জানান দিচ্ছেন,
নিজ দেশে এই আক্রমণের পর আতঙ্কে তারাও।
দেশটির ফুটবলে
এযাবতকালের সবচেয়ে বড় তারকা আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। ইউক্রেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই
কোচ নিজের দেশের কথা লিখেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার কথা, ‘ইউক্রেন আমার
মাতৃভূমি। আমি সবসময়ই আমার মানুষদের নিয়ে ও আমার দেশ নিয়ে বেশ গর্ববোধ করি। আমরা অনেক
কঠিন সময় পার করেছিল। শেষ ৩০ বছরে আমরা একটা জাতি হিসেবে সুগঠিত হয়েছি। এমন একটা জাতি,
যারা কঠোর পরিশ্রমী, দায়িত্ববান ও স্বাধীনতাকামী। এটা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
এরপর টেনিস তারকা
এলিনা সভিতোলিনা নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন টুইটারে, ‘আমি আর পারছি
না!’ সঙ্গে যোগ করেন
বেশ কিছু ভাঙা হৃদয় ও কান্নার ইমোজিও। এরপর অবশ্য তিনি ইনস্টাগ্রামে একতাবদ্ধ হওয়ার
কথা জানিয়েছেন।
তবে সব ছাড়িয়ে
গেছে ইউক্রেন ফুটবল দলের অধিনায়ক জিনচেঙ্কোর কথা। ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি
রীতিমতো মৃত্যু কামনা করে বসেছেন রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিনের। তিনি লিখেছেন, ‘আশা করছি, সবচেয়ে
যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুটা তোমার হবে।’ এরপর সঙ্গে তিনি
একটা গালিও জুড়ে দিয়েছিলেন।
শেভা, কিংবা এলিনার পোস্ট এখনো আছে বহাল তবিয়তে। তবে জিনচেঙ্কোর সেই স্টোরিতে হাত দিয়েছে খোদ ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডারের প্রোফাইল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সেটি। জিনচেঙ্কো জানান, তিনি নিজে থেকে এই স্টোরি সরিয়ে নেননি।