আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাবির ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে নয় কেন?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২৯ মে থেকে৷ এতে ৩৯৩০টি আসনের বিপরীতে তিনটি ইউনিটে চূড়ান্ত পর্যায়ে আবেদন করেছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী।

রাবি'র এই ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহীতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও কমপক্ষে তিন লক্ষ মানুষের আগমন ঘটতে যাচ্ছে। তবে, ছোট্ট শহর রাজশাহীতে হঠাৎ করে এতো মানুষের আগমনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় নানাবিদ সংকট। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী-অভিভাবকের আবাসন নিয়ে পড়তে হয় মহা সংকটে। সেই সাথে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও আছে নানা ভোগান্তি। ইতোমধ্যেই, মহানগরের বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস এবং আবাসিক হলগুলোতে তীব্র আবাসন সংকটের। গাদাগাদি করেও থাকার সুযোগ হয় না অনেকের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে আয়োজন করতে বাঁধা কোথায়?

গত বছর ভর্তি পরীক্ষার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার জানিয়েছিলেন, শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণের ভোগান্তি এড়াতে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিন্তাভাবনা আছে। তবে, এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

জানা গেছে, ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা নিতে রাজি নন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকগণের একটি বড় অংশ। তবে গুঞ্জন আছে, রাজশাহী মহানগরের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রচ্ছন্ন চাপও আছে যেন পরীক্ষা রাবি ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা, জনবল সংকট, একক ভর্তি পরীক্ষার প্রজ্ঞাপনের কারণেই বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না

তাঁরা বলছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এযাবৎকালে প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বেশ কিছু জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেলেও, ক্যাম্পাসেই ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকায় প্রশ্নের নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। ঢাবি'র মতো বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা আয়োজন করতে গেলে প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত ১৫ এপ্রিল। তবে, তারও আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, যেহেতু সামনের বছরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না, তাই আলাদা করে শুধু একটি শিক্ষাবর্ষের জন্য বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে অনেকটাই সরে আসে রাবি প্রশাসন।

তবে প্রশাসনের এমন দাবি মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কিছু শিক্ষক। এদের মধ্যে একজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান। এবিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি বিভাগীয় শহরে সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে, তবে রাবি কেন পারবে না? প্রশ্নফাঁস এড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধান করবে;  এবং  আমি মনে করি এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় লোকবল রয়েছে। বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন চাইলেই শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি নিরসন করতে পারতো।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে; তবে আমাদের বুঝতে হবে যেই বলয়ের মধ্যে আমরা ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমটি সম্পন্ন করে থাকি, সেটা যেন দুর্বল না হয়ে যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় অধিকাংশ শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচ্ছন্ন চাপকেই বেশি দায়ি করছেন। তারা বলছেন, বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা না হাওয়ার পেছনে প্রশাসনের উপর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাপকেই বেশি দায়ি বলে মনে করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠে রাজশাহী মহানগরীর হোটেল-মোটেল, পরিবাহন ও ম্যাস মালিকদের ব্যবসা-বাণিজ্য। জানা গেছে, শুধু এই সময়টুকুতেই হোটেলগুলো সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে। আবাসন সংকটকে কাজে লাগিয়ে হোটেলে রুম ভাড়া তিন থেকে চার গুণ বাড়িয়ে দেন হোটেল মালিকরা। ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে হলে এই আয় অনেকটাই কমে যাবে। গুঞ্জন আছে, মহানগরের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রচ্ছন্ন চাপও আছে বিভাগীয় শহরে যেন পরীক্ষা না হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, গত দুবছর ধরে দেখছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয় সভা হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে। অথচ এটা হওয়ার কথা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান; ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় স্বাধীনভাবে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিকে পুঁজি করে একটা বড় বাণিজ্য হয় রাজশাহী শহরেএটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট রয়েছে। এছাড়া, আগামীতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে তাও বলা যাচ্ছে না।

ইতোমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন, রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। এসব বাস্তবতায় এ বছর বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




‘কোনো অপমানই এখন আর গায়ে লাগে না’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেছেন, কোনো অপমানই এখন আর তার গায়ে লাগে না। সঙ্গে ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া একটি ছবি। তবে কী কারণে তার এমন স্ট্যাটাস, সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। নাকি এটি কোনো অভিনয়ের সংলাপ!

পোস্টে চঞ্চল এও লিখেছেন, সেটা হোক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অথবা ব্যক্তিজীবনে। কারণ বয়স যেমন হয়েছে, ধৈর্যও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এটা আমার দুর্বলতা নয়।

প্রিয় তারকার এমন পোস্টে রহস্যের দানা বেঁধেছে শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের মনে। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতার সহকর্মীরাও।

নির্মাতা সকাল আহমেদ লিখেছেন, বিষয়টি ইকটু (একটু) চিন্তার। এমন সহজ সরল কথা কিন্তু প্রতিপক্ষকে অপমান করার মতো। তোর সরলতার তো একটা শক্তি আছে। এই শক্তি গায়ে না লাগলেও প্রতিপক্ষের মনে ঠিকই লাগবে।

অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, আগে বাড়ার এটাই উপযুক্ত ভাবনা। তোমার উজ্জ্বল অবস্থান সেটা বলে দেয় বন্ধু। ব্যর্থ এবং অযোগ্য মানুষেরা, নিজেদের ব্যর্থতার যাতনায় চারপাশে একটু ঘুরবেই, এমনই লা-পাত্তা এবং বৃন্দাজ দু-লাইন লিখে দিবা।

অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহের কথায়, এটা তো একদমই আমার কথা রে। আমার তো হজম করার ক্ষমতাও অনেক। কোনো এসিডিটি হয় না।

এদিকে যে ছবির ক্যাপশনে চঞ্চল চৌধুরী এমনটা লিখেছেন, সেই একই লুকে সম্প্রতি ধরা দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী সিনেমায়। এতে মধ্যবয়সীর একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।

অনেকেই ধারণা করছে, এটি হয়তো মনোগামী সিনেমার সংলাপ। চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের ১২টি সিনেমার একটি মনোগামী

নিউজ ট্যাগ: চঞ্চল চৌধুরী

আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শাহজালালে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মোবাইল ব্যবহারে কড়াকড়ি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে সম্প্রতি ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সংস্থাটি। এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার (হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত) মিনহাজ উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে এ বিষয় বলা হয়। এতে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বকালীন অফিসিয়াল ওয়াকিটকি ও শিফট ইনচার্জের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন শিফটে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। ফলে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের যাত্রীসেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায়, যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা দিতে বিভিন্ন শিফটে দায়িত্ব পালনরত বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনের পরিবর্তে অফিসিয়াল ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে বলা হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, তবে শিফট ইনচার্জ ও প্রটোকলের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা (মাইক ১৪) তাদের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অপরদিকে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কেবলমাত্র অতি জরুরি প্রয়োজনে প্রটোকল অফিসার এবং শিফট ইনচার্জের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন থেকে যোগাযোগ করতে পারবেন।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ৩৯ যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে চীনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি)। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রণালীর চারপাশে ২৬টি আকাশযান ও ১৩টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি আজ সকাল শুরুর প্রথম ঘণ্টায় শনাক্ত করা গিয়েছে।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ও কানাডার রণতরী প্রণালীটি পাড়ি দেয়। এরপরেই তাইওয়ানের চারপাশে চীনের যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা গেল। 

আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

এমএনডি বলছে, চীনের শানডং যুদ্ধবিমান আজ তাইওয়ানের দক্ষিণতম প্রান্ত ইলুয়ানবি থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে শনাক্ত করা হয়েছিল। পূর্ব দিকে যাত্রা করে আকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাংশে প্রবেশ করে।

চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।

এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতি বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে বেইজিং। প্রায়শ তাইওয়ান প্রণালীতে নৌমহড়া ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালায় তারা। আর এমনটা করা হয় এমন সময়ে যখন কি না তাইপে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।

তাইওয়ান বলছে, সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া ৩৯টির মধ্যে ২২টি আকাশযান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। 

আরও পড়ুন>> মরক্কোয় থামছে না মৃত্যুর মিছিল, নিহত বেড়ে ২১২২

এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিক্রিয়া জানাতে বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



হংকংয়ে ১৪০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হংকংয়ে ১৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, চরম খারাপ আবহাওয়ার জন্য আজ স্কুল-অফিস বন্ধ রেখেছে হংকং কর্তৃপক্ষ। কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে হংকংয়ের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তা, শপিং মল ও মেট্রো স্টেশন পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

শহরটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, আজ শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৫৮ দশমিক এক মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এ অঞ্চলে ১৮৮৪ সালে রেকর্ড গণনা শুরুর পর থেকে এটি সর্বোচ্চ। 

আরও পড়ুন>> রাজনীতিকে বিদায় জানালেন ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

সংস্থাটি বলছে, আরও বৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হবে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং বাড়িঘর প্লাবিত হলে তাদের সরিয়ে নিতে হবে।

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি বলেন, বন্যা নিয়ে আমি সতর্ক অবস্থানে আছি। সংশ্লিষ্ট সব কয়েকটি বিভাগকে তৈরি করে রাখা হয়েছে।’ ঝড়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা (ব্ল্যাক) জারি করে আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে, চরম পরিস্থিতি শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তাইওয়ানে তাণ্ডব চালায় টাইফুন হাইকুই। পরে এটি হংকং প্রণালী ও চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে আঘাত হানে। গত মঙ্গলবার এটি ফুজিয়ানা পাড়ি দেয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হাইকুইয়ে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।


আরও খবর



মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল হস্তান্তর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ( চবক) কাছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এর কাছে সিপিজিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে তা হস্তান্তর করেন।

এর ফলে এখন থেকে চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ পরিপূর্ণভাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপর ন্যাস্ত থাকবে। এ চ্যানেলের মাধ্যমে আগত সমুদ্রগামী জাহাজের পোর্ট ডিউজ, বার্থ হায়ার চার্জ, পাইলটিং, টাগ চার্জ, বার্থিং আনবার্থিং ও অন্যান্য চার্জ চবক কর্তৃক আদায় করা হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আদায় হবে যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।

সরকারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে সিপিজিসিবিএল কর্তৃক মাতারবাড়ি ২×৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রস্থ ও১৮ দশমিক পাঁচ মিটার (এমএসএল) গভীরতার একটি চ্যানেল খনন করা হয়।

পরবর্তীতে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০০ মিটার বর্ধিত করে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়।

নির্মিত চ্যানেল ও হারবার নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য সিপিজিসিবিএল কর্তৃক ১,৭৫৩ মিটার উত্তর ব্রেকওয়াটার, ৭১৩ মিটার দক্ষিণ ব্রেকওয়াটার এবং উত্তর দিকে ১৮০২.৮৫ মিটার রিভেটমেন্ট নির্মাণ করা হয়।

এরপর গত ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল হস্তান্তর বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বুধবার মাতারবাড়ি চ্যানেলটি সিপিজিসিবিএল কর্তৃক চবক এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বিপিএএ।

এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চবক এর সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১, মহাপরিচালক (প্রশাসন), পুলিশ কমিশনার, কাস্টমস কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, চবক এর বিভাগীয় প্রধানগণ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ওই চ্যানেল হস্তান্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম বন্দর

আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩