আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

রাবিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল বাতিল এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা। এ ছাড়াও সরকারি চাকরিতে বা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে কোটাধারী শিক্ষার্থীরা এমন দাবিও জানান তারা।

'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটা হোক অবসান', 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে',' ছাত্র সমাজ ভাই ভাই, কোটা ছাড়া চাকরি চাই', 'অন্যায় কোটায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে','৭১র হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার' এসময় এমনসব কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুর ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের এ রায় হচ্ছে যুক্তিহীন ও বৈষম্যমূলক। কানাডায় কোনো কোটা পদ্ধতি নেই, মাত্র ৫% কোটা আছে পাশের দেশ চীন ও ভারতে। বাংলাদেশের এতো উন্নয়নশীল দেশ হয়েও ৫৬% কোটা দিচ্ছে যা চরম বৈষম্য। আমরা দ্রুত কোটা সংস্কার চাই।

বায়োকেমেস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম রেজা বলেন, "কোটা বাতিল হোক এমনটা আমরা চাইনা। কারণ কোটার বিষয়ে সংবিধানো উল্লেখ রয়েছে। তেমনি সংবিধানে এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকবে। সমাজের দৃষ্টিতে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয় তাদেরকে কোটার আওতাভুক্ত করা সংবিধান বহির্ভূত। আমরা চাই অতিদ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আমান উল্লাহ খান বলেন, "আমরা কোটা সংস্কার না, কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা দুই দফা দাবি আদায়ে এ আন্দোলনে নেমেছি। প্রথমত, একটি প্যানেল গঠনের মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে সংস্কার করে ১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, কোটাধারী শিক্ষার্থীরা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবহার করলে চাকরিতে আর কোটা ব্যবহার করতে পারবে না। কোটায় যদি কোনো যোগ্য পার্থী না পাওয়া যায় তাহলে মেধা দিয়ে তা পূর্ণ করতে হবে। আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোটা আন্দোলন চলমান থাকবে।"

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অবস্থান নেন।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: কেন বাদ পড়লেন আহমাদিনেজাদ?

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের পর নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সেই তালিকায় নেই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছিলেন আহমাদিনেজাদ। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।

ইরানের সাবেক কট্টরপন্থি এই প্রেসিডেন্টকে মনোনয়ন দেয়নি দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৭ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থিতার আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে দুবারই অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।

গত ২ জুন প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধনের কথা জানান আহমাদিনেজাদ। তবে বিশ্লেষকরা সে সময় মত দিয়েছিলেন, গার্ডিয়ান কাউন্সিল খুব সম্ভবত তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কারণ হিসেবে তারা দেখান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস সেনাদলের সাবেক সদস্য আহমাদিনেজাদ প্রথম ২০০৫ আলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে মেয়াদ পূর্তির পর পদ ছেড়ে দেন।

২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সে সময় আহমাদিনেজাদের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের নেতৃত্বে সেই বিদ্রোহ দমন করা হয়।

সে সময়য় এই রক্তাক্ত দমনপীড়ন অভিযানে অসংখ্য মানুষ নিহত হন ও হাজারো বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদের শেষের দিকে এসে খামেনির সমালোচনায় মুখর হন আহমাদিনেজাদ।

২০১৬ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে সতর্ক করে বলেন, তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের স্বার্থপরিপন্থি। এরপর ২০১৭ সালে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়নি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৮ সালে আহমাদিনেজাদ খামেনির সরাসরি সমালোচনা করেন, যা ইরানে খুবই বিরল। তিনি তাকে চিঠি পাঠিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান। ইরানের সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খামেনির একছত্র আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আহমাদিনেজাদ। এরপর থেকেই খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।

ইরানের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছয়জন প্রার্থী। তারা হলেন, পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি। এ ছাড়াও রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শুধু একজন সংস্কারপন্থি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন। তিনি হলেন, ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১১ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। সড়কের কালিহাতী উপজেলার চরবাবলা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। এ দিকে যানজট নিরসনে ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা লিংক রোড দিয়ে ঢাকার দিকে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে একমুখী চলাচল করছে।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।

যাত্রী ও চালকরা জানান, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করলেও। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়কে শৃঙ্খলা না মেনে পাল্লাপাল্লি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, সড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ দুটোই বেড়েছে। ফলে এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্ট ও দুধকুমার নদের ভুরুঙ্গামারী পাটেশ্বরী (সোনাহাট সেতু) পয়েন্টে। এছাড়াও কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

অন্য নদনদীগুলোর পানিও বিপদসীমার কাছাকাছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিচু বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্ককরণ কেন্দ্র। এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বেশ কিছু এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় পাউবোর তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা হতে বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দুধকুমারের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে ৩৮ সেন্টিমিটার পানি। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার সেতু পয়েন্টে ওই সময়ের মধ্যে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশ কিছু সবজি ক্ষেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষরা বলছেন, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে অল্প সময়ের ভেতর ঘরে পানি ঢুকতে পারে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে মানুষ।

পানির গতি বাড়ায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। জেলার রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙছে তিস্তা। এদিকে দুধকুমার ভাঙছে চরভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বল্লভেরখাসসহ একাধিক ইউনিয়নে। রৌমারী উপজেলার হবিগঞ্জ বাজার, সোনাপুর, ফলুয়ারচর ঘাট, রাজীবপুরের কোদালকাটিতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে সোনাপুরে ভাঙনরোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় স্বল্প মেয়াদি বন্যা সৃষ্ট হতে পারে। ভাঙনপ্রবণ সাতটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাঙনরোধে একটিতে জরুরি কাজ চলছে। ভাঙনপ্রবণ অন্য এলাকাগুলোতে কাজ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, বন্ধু আছে: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত বিরোধিতার নামে আজকে যারা আন্দোলনের ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে তারা আবারও ভুল পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাইকেল র‍্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১ এর পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা করে বাংলাদেশের স্বার্থে করে। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা কোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের বছরব্যাপীকর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা আছে। কেন্দ্রের পর মহানগর এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, এই দেশের উন্নয়ন অর্জন আওয়ামী লীগের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তি পেয়েছে। তরুণ সমাজ বেকার, তরুণদের কর্মসংস্থান এর যে অঙ্গীকার তা আমরা পূরণ করবো। আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে মুক্তি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এই সাইকেল র‍্যালীতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।


আরও খবর



জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের ওপর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ব সংস্থাটি।

কালো তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান। তিনি সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম এক্সে বলেছেন, তিনি প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন এবং এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। মাত্র এক ব্যক্তি আমাদের বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।”

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের বার্ষিক চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য এমনটা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি আগামী ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

ডুজারিক বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ফোন কলটি দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। স্পষ্টভাবেই বলা যায়, এ ধরনের কিছু আমি আমার ২৪ বছরে এই সংগঠনের সাথে দায়িত্ব পালনকালে দেখিনি।”

সশস্ত্র সংঘাতে শিশুবিষয়ক জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততার’ তালিকা দেওয়া হয়। এতে হত্যা এবং আহত করার প্রমাণ এবং যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।

এই তালিকায় রাশিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।

গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ১৫,৫৭১ এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯জনই ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা হু গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত একদিন পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’


আরও খবর