আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীর রাস্তায় নেই ট্রাফিক পুলিশ, সিগন্যালে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটা আন্দোলন ঘিরে কয়েকদিনের সহিংসতায় সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ফাঁড়িতে আগুনের ঘটনায় পুলিশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে। আজ রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। কোথাও কোথাও সেনাবাহিনীর সদস্য ও শিক্ষার্থীরা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করছেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট,‌ ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, বাংলা মোটর, শাহবাগ মোড় ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

বিজয় সরণির মোড়ে দেখা যায়, কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী গাড়ির সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেখানে মূল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি সকালে বাসায় ফেরার সময় দেখলাম এখানে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এতে চতুর্দিকে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তাৎক্ষণিক কয়েকজন মিলে চার রাস্তায় দায়িত্ব নিয়েছি। ট্রাফিক পুলিশ যে দায়িত্বটুকু পালন করে আমরা সেটুকু পালন করছি।

সেখানে দায়িত্ব পালন করা আরেক শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, গাড়ির শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি। যতক্ষণ না ট্রাফিক পুলিশ এখানে আসবে ততক্ষণ আমরা দায়িত্ব পালন করব। ট্রাফিক পুলিশ না এলে আমাদের বিকল্প আরেকটি গ্রুপ প্রস্তুত আছে তারা বিকেল তিনটার পর দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

একইভাবে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়েও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।


আরও খবর



সরকারি কর্মচারীরা হিসাব না দিলে খবর আছে: জনপ্রশাসন সচিব

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দিতে একটি সহজ ফরম তৈরি, জমা দেওয়ার সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব একথা জানান

তিনি বলেন, সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কি হবে সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেবো, দণ্ডটা কী হবে, তার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেগেটিভিটি না বললে পজিটিভি জিনিস আসবে না। জমা না দিলেও যা, তা যদি হয়, তাহলে আমি জমা দেবো কেন? জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কি সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেবো তখন বলে দেবো।


আরও খবর



সিলেটে জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা, নাগরিক সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

কোটা আন্দোলনে ছাত্র জনতার প্রবল প্রতিরোধের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর সিলেটের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে রয়েছেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তাদের কার্যালয়ে, মুঠোফোনে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জন-সাধারণের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, ১৩টি উপজেলা পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা, ১০৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তবে গত সোমবারের পর অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি নিজ কার্যালয়ে আসছেন না। ফলে জনগণের সেবা ব্যাহত হচ্ছে পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও থমকে রয়েছে।

জানা যায়, জেলা পরিষদ ও ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১১টি তেই আওয়ামী লীগ পন্থি চেয়ারম্যান রয়েছেন। জেলার বেশিরভাগ পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছেন আওয়ামী পন্থি চেয়ারম্যান ও সদস্য। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন পাশাপাশি বেশিরভাগ কাউন্সিলর ছিলেন একই দলের সমর্থক। গত সোমবারের পর বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকে কার্যালয়েও আসেন নি। মুঠোফোনেও পাওয়া যাচ্ছেনা তাদের। এতে এসব এলাকার জন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ ধমকে রয়েছে। পাশাপাশি কার্যালয়ের সেবা পেতে বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাগজপত্রে চেয়ারম্যান, মেয়রের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়, অনেকে কার্যালয়ে না আসার কারণে স্বাক্ষর করতে পারছেন না। এতে করে জন্ম নিবন্ধন করা গেলেও স্বাক্ষরের কারণে সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। পাওয়া যাচ্ছেনা বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র। ফলে জরুরি কাজগুলোও করতে পারছেন না সেবা প্রত্যাশীরা।

সিলেট জেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা রাফসান আহমেদ বলেন, জন্ম নিবন্ধন করতে দিয়েছিলাম। এখন কার্যালয়ে আসলাম কিন্তু জন্ম নিবন্ধন প্রস্তুত থাকলেও শুধু মাত্র চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর না থাকার জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যেতে পারছি না। চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

একই অবস্থা এই ইউনিয়নের সাজ্জাদ আহমেদের। তিনি বলেন, জমির একটি কাজের জন্য উত্তরাধিকার সনদের প্রয়োজন গত এক সপ্তাহ থেকে ইউনিয়ন কার্যালয়ে আসলেও চেয়ারম্যানকে পাইনি। এতে আমার জরুরি এই কাজ আটকা পড়ে রয়েছে। একই অবস্থা এই ইউনিয়নে আসা সেবা গ্রহিতাদের।

সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পদ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশের বেশিরভাগ জন প্রতিনিধি গা ঢাকা দিয়েছেন। সিলেটেও এর ব্যতিক্রম হয়নি, সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ পন্থি জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা অনেকেই আওয়ামী সরকার থাকাকালীন সময় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাই জনগণের রোষানলে না পড়ার জন্য গা বাঁচাতে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ নাগরিকের ওপরে। এ বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসনের কী করণীয় তা নির্ধারণ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।

সিলেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার বলেন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে কারা অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসিত করা হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে এ আন্দোলনে আহত-নিহতদের তথ্য নিয়ে সবার ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আহতের পুনর্বাসনের জন্য যা যা করা দরকার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তার নৈতিকতার জায়গা থেকে করবে।

আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন। এর আগে হাসপাতালে তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

বাচ্চাদের সুচিকিৎসা সরকারের প্রধান ম্যান্ডেট উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাচ্চাদের যদি নিরাপদ জীবন দিতে না পারি, তাহলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হব।

আহতদের প্রতি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের যত্ন, ভালোবাসা, সুচিকিৎসা, সেবার মান ও আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন করে ডাক্তারদের সেবা পেলাম। নতুন করে চিকিৎসা সেবা দেখলাম। নতুন বাংলাদেশ এমন ডাক্তার ও সেবাই চায়।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ তরুণদের নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেমন ভোলা যায় না, তেমনি ২০২৪ এর নতুন বাংলাদেশের স্মৃতিও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমরা নিহতদের ভুলতে  দেব না। যে বাচ্চারা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, তাদের নিরাপদ জীবন দিতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এই বাচ্চারা সুস্থ না হলে, পুনর্বাসিত না হলে- আমরা ভালো থাকবো না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যত প্রকল্প রয়েছে, যত প্রোগ্রাম রয়েছে এখন থেকে এই বীর বাচ্চাদের ফোকাস করে নেওয়া হবে।

এ সময় ছিলেন ঢামেকের অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. মো. খালেকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম, ডা. আব্দুর রহমান ও ডা. আবদুস সামাদ প্রমুখ।


আরও খবর



আমি ক্ষমাপ্রার্থী: মাশরাফি বিন মুর্তজা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নড়াইল-২ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তিনি ক্রিকেটার হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অন্যতম আদর্শও। আর তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক আন্দোলনে তার নীরব ভূমিকা মানতে পারেননি ভক্ত-সমর্থকরা। সরকার পতনের পর সাবেক এই হুইপের নড়াইলের বাড়িতেও হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।

যৌক্তিক এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশে থাকতে না পারায় এবার আক্ষেপ প্রকাশ করলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। আন্দোলনে নামতে পারেননি তিনি, সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, যদি সরাসরি বলি, তাহলে অবশ্যই আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি অনেক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দেই (ফেসবুকে) ততক্ষণে আসলে সবকিছু এত দ্রুত হচ্ছিল ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।

শেখ হাসিনার পতনের আগে থেকেই দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের পরেও অনেকে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর অনেকে পালাতে গিয়ে পড়েছেন ধরা। তবে মাশরাফি জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে নিজ পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছেন তিনি।

নিজের শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, শারীরিকভাবে ঠিক আছি। মানসিকভাবে অবশ্যই ভালো অবস্থায় নেই। আছি আর কী। ঢাকাতেই আছি, পরিবারের সঙ্গে।

তিনি আরও বলেন, আমার সম্পদ যা কিছু আছে, সব খেলোয়াড়ি জীবনেই গড়া। যে কোনোভাবেই খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। পূর্বাচলে একটি জমি আছে, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সরকার থেকে সবাই পেয়েছিলাম ৫ কাঠা করে। মিরপুরে একটা বাড়ি আছে, ২০০৮ সালে আইপিএল খেলে আসার পর করা। মিরপুরে আরেকটি বাড়ি করছি, যেখানে পরিবার নিয়ে উঠব, এটাও ২০১৫ সালে কাজ শুরু করেছি। এখনও উঠতে পারিনি, কাজ চলছে। ২০১৮ সালের পরের আয় দিয়ে তেমন কোনো সম্পদ গড়তে পারিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামা ও ২০২৪ সালের হলফনামা দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি দাবি করলে তো লাভ নেই। যে কেউ খতিয়ে দেখলেই জানতে পারবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত আমার এন্ডোর্সমেন্ট ছিল অনেক। ২০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলাম। খেলাধুলা করে ও স্পন্সরশিপের আয় থেকেই এসব করেছি। নড়াইলের বাড়িটা করেছিলাম মায়ের জন্য। এখন শেষ। অনেকেই বলেছেন মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে। ছবি-ভিডিও সবই আছে অনেকের কাছে। তবে আমি বলেছি, এসব করব না। আমার বাবাকেও বলে দিয়েছি। এখনকার সরকার বা ভবিষ্যতে নির্বাচন করেও যে সরকার আসুক, কারও কাছেই বিচাই চাইব না। কোনো অভিযোগ নেই। খুলনা-যশোর থেকে বা ঢাকা থেকে গিয়ে কেউ এই বাড়ি ভাঙেনি। নড়াইলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে উঠে আসা মানুষই পুড়িয়েছে। নড়াইলের মানুষের বিরুদ্ধে বিচার আমি চাইব না। নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছি। হয়তো কোনো ভুল করেছি, সেটার ফল পেয়েছি। কষ্ট আছে অবশ্যই, তবে রাগ-ক্ষোভ নেই কারও প্রতি। আমার প্রতি এখনও কারও ক্ষোভ থাকলে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

তিনি বলেন, আমি জানতাম, ক্রিকেটার হিসেবে হয়তো সবার আছে আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে। রাজনীতিতে নামলে সেটা থাকবে না। কিন্তু ওই চ্যালেঞ্জ আমি নিতে চেয়েছি। মানুষের জন্য বড় পরিসরে কিছু করতে চেয়েছি। এই জায়গায় নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম। এখন যে সরকার এসেছে, আমরা যদি আমার জায়গা থেকে, আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করে নিচে নামাই, তাহলে তো এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে। তো, আমি যে জায়গায় ছিলাম, হয়তো রাজনীতিতে না এলেও পারতাম। ভালো ছিলাম। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।


আরও খবর



ছাত্রদের ওপর ‘গরম পানি’ ঢেলে দিতে বলেন কয়েকজন শিল্পী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কোটাসংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শোবিজের অনেক তারকাকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানালেও অনেককে এই আন্দোলনে নীরব ছিলেন। আবার কেউ কেউ দলীয় ট্যাগে ছাত্রদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দিতে বলেছিলেন কয়েকজন অভিনেত্রী।

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে আলো আসবেই নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার সকালে সোশ্যালে ভাইরাল হয়।

সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে!

তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। আরেকজন শিল্পী পরামর্শ দেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার জন্য।

সেই গ্রুপে সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। এই গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও কথা হয়। ফলে ফারুকী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। এটিকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বিচার চেয়েছেন।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪