আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল চলছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে শুরু হয়েছে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল। মিছিলটি বকশিবাজার ও নিউ মার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকের পার্শ্ববর্তী সীমান্ত স্কয়ারের সামনে শেষ হবে। শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য রয়েছে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: আজ পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র

সকাল ৯টা থেকেই শিয়া সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ পুরান ঢাকায় হোসেনি দালানে জড়ো হতে থাকেন। তাজিয়া মিছিলে শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষরা অংশ নিয়েছে।

দিবসটি নির্বিঘ্নে পালন করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশুরায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতেও নিষেধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আমরা আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো, কথা দিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

পবিত্র আশুরা বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন ঐতিহাসিক কারবালার ময়দানে হৃদয়বিদারক ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন ঘটনার কারণে দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রোজাসহ বিভিন্ন নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে মুসলিমরা দিনটি উদযাপন করে থাকেন।


আরও খবর



‘আয়নাঘর’ থেকে ফিরে যে ভয়ংকর বর্ণনা দিলেন মাইকেল চাকমা

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যেভাবে তারা রাখে এটাতো অত্যন্ত অমানবিক। এটা তো মানুষের বসবাসের জায়গা না। মানুষ এভাবে বাঁচে না। এটাতো কবরের মতো। গুহা আছে না গুহা, গুহায় থাকলে মানুষ যেভাবে কিছুই দেখে না, কবরে থাকলে মানুষ যে কিছুই দেখে না ঠিক এই রকম। এটাতো মানুষের বাঁচার মতো কোনো জায়গা না। কোনো জানালা নাই, একদম কোনো আলো ঢোকে না, বাতাস ঢোকে না শুধু চারিদিকে দেয়াল।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিবিসিকে এভাবেই আয়নাঘর খ্যাত গোপন বন্দিশালায় নিজের সঙ্গে হওয়া অমানবিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা।

তিনি বলেন, ছেড়ে দেওয়ার আগে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার রাতটিকে জীবনের অন্তিম সময় হিসেবেই ভেবে নিয়েছিলাম। শেষ রাতে আমাকে গাড়িতে নেওয়ার সময় কিছুটা আলগা করে চোখে কাপড় বাঁধা ছিল, যেটি এক পর্যায়ে গাড়ির সিটে ঘসে ঘসে কিছুটা নামাতে সক্ষম হন। এবং আজানের পর কিছুটা আলোর দেখা পাই। ২০১৯ সালের পর ৬ আগস্ট ২০২৪ সালে প্রথম দিনের আলোর দেখা পাই আমি। তবে আমাকে যে এদিন ছেড়ে দেওয়া হবে সেটি কল্পনাও করতে পারিনি।

মাইকেল চাকমা বলেন, আমার জীবনের এই প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর যারা শেষ করে দিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। আমি কিছুটা সুস্থ্ ও স্বাভাবিক হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারের কাছে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করবো।

ইউপিডিএফ-এর সংগঠক বলেন, গত প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরে আমাকে বেশ কয়েকটি গোপন কারাগারে রাখা হয়েছে। শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। তবে আমাকে কোনো মারপিট করা হয়নি। যেভাবে একাকী বন্দি করে রাখা হয় এবং যে পরিবেশে রাখা হয় সেটি অত্যন্ত অমানবিক এবং ভয়ংকর রকমের মানসিক অত্যাচার।

তিনি বলেন, যেভাবে তারা রাখে এটাতো অত্যন্ত অমানবিক। এটাতো মানুষের বসবাসের জায়গা না। মানুষ এভাবে বাঁচে না। এটাতো কবরের মতো। গুহা আছে না গুহা, গুহায় থাকলে মানুষ যেভাবে কিছুই দেখে না, কবরে থাকলে মানুষ যে কিছুই দেখে না ঠিক এই রকম। এটাতো মানুষের বাঁচার মতো কোনো জায়গা না। কোনো জানালা নাই, একদম কোনো আলো ঢোকে না, বাতাস ঢোকে না শুধু চারিদিকে দেয়াল।

মাইকেল চাকমা যেসব নির্জন ঘরে বন্দি ছিলেন সেগুলোর বিবরণ দিয়ে বলেন, কোনো কোনো রুম সাত ফিট বাই এগারো ফিট, কোনো রুম ছিল আট ফিট বাই এগারো বা বারো ফিট এরকমের। মানে একদম ছোট ছোট রুম। ওখানে একটা খাট আছে তিন ফিট বাই সাত ফিটের লোহার। কোনো জায়গায় কাঠের।

তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘ সময়ে ঘুরেফিরে ৪-৫টি বন্দিশালায় তাকে রাখা হয়। এসব বন্দিশালায় আরো মানুষ আটক ছিলেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

গত পাঁচ বছরের বেশি সময়ে তার সঙ্গে রাখা হয়েছে আরও দুজনকে। এ ছাড়া অদেখা দুজনের নাম তিনি শুনতে পেয়েছেন। তবে এইসব বন্দির ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই মাইকেল চাকমার।

রাজধানীর শ্যামলী থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইউপিডিএফ-এর সংগঠক মাইকেল চাকমাকে। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গেল পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে গোপন বন্দিশালায় আটকে রাখা হয়েছিল। যেটি আয়নাঘর নামে অনেকের কাছে পরিচিত। গত ৬ আগস্ট মাইকেল চাকমাকে চট্টগ্রামের একটি সড়কের ধারে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্দিদশা থেকে ফিরে জানতে পারেন পূত্র শোক বুকে নিয়ে তার বৃদ্ধ পিতা মারা গেছেন। মাইকেল চাকমা আর জীবিত নেই ধরে নিয়ে রীতি মেনে তার শেষকৃত্যও করেছে পরিবার।


আরও খবর



নতুন করে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে দেশে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে নতুন করে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে। সীমান্তের বিষয়টা যদিও আমার না কিন্তু ঢুকে পড়লে তখন আমাদের হয়ে যায়। এটা নিয়ে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে সিরিয়াস আলোচনা হবে মন্ত্রিপরিষদে এবং এটা কীভাবে ঠেকানো যায় আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, এটা যথা সম্ভব আটকানোর চেষ্টা করা হবে। আর আমরা নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবো না। 

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে কি-না বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অ্যাক্টিভ না? এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো সীমান্ত সিল করা কঠিন। আমরা এটা স্বীকার করি। তবে বিভিন্ন সোর্স কাজ করে স্থানীয় লোকজনের স্বার্থ জড়িত আছে, সব মিলিয়ে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। এখানে অনেকগুলো সোর্স কাজ করে তার মধ্যে কিছু দুর্নীতিও জড়িত হয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে আটকানোর। আমার এটা নিয়ে হয়ত কাল-পরশুর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। বিশ্লেষক হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করতে হলে আরকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের কথা বলেছেন। 

তবে বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে তৌহিদ হোসেনের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, আমি এখনো তাই মনে করি। তবে বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে আমার একার না। সরকারিভাবে এটা কতটুকু সম্ভবআমার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আপনারা আশা করবেন না। কারণ, আমি যখন মুক্ত মানুষ ছিলাম তখন যে ভাষায় কথা বলতে পেরেছি, এখন আমি যদি কোনো কথা বলি খেয়াল রাখতে হবে আমি প্রতিনিধিত্ব করি সরকারের।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক নদী আইন মতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষতি করা যাবে না: রিজওয়ানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তর্জাতিক নদী আইনের নীতি অনুযায়ী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষতি করা যাবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের কয়েকটি নদী নিয়েতো চুক্তি আছেই। কিন্তু যদি চুক্তি নাও থাকে তবুও আন্তর্জাতিক আইনের কিছু নীতি আছে। ইচ্ছে করে আপনি কারও ক্ষতি করতে পারবেন না।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে উজানের দেশ ভাটির দেশকে জানানোর কথা, পানি ছাড়ার দরকার হরেও সেটি জানানো হয়। একটু জানিয়ে দিলে প্রস্তুতি রাখা যায়। মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া যায়। সেটি এবার প্রতিপালিত হয়নি। এবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে যত অভিন্ন নদী আছে সেরকম সবকটি ব্যাপারেই যেন আগাম সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশকে জানানো হয় সে বার্তা পৌঁছানো হবে।

এর আগে তিনি হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা ও পরিবেশ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মুরারবন্দ মাজারে বাবার কবর জিয়ারত করেন।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২-৩ বছর অন্তর্বর্তী সরকারের 'মেয়াদ চান' সম্পাদকরা: প্রেস সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তত দুই থেকে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের ২০ জন সম্পাদক মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেস সচিব।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে তারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকে। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটা সময়- সে বিষয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের কাছে জানতে চান। এই সময়টাতে কী কী মৌলিক কাজ সরকারের করা উচিত- এ বিষয়েও পরামর্শ চান তিনি।

সম্পাদকদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন রকম কথা এসেছে যেমন- অন্তত ২ বছর মেয়াদ দেওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে তা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দেন।

শফিকুল আলম বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বেশির ভাগই বলেছেন- যেসব সংস্কার কাজ বা যে কর্মপরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, সেটিই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য মস্ত বড় সুযোগ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে নতুন শেখরে নেওয়ার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এর জন্য জাতীয় ঐক্যের খুব প্রয়োজন। 

বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শ তুলে ধরে প্রেস সচিব আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনঃলিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠনের কথা এসেছে। পুলিশকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।

এ ছাড়া সম্পাদকরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেন, আপনারা লেখেন। আমাদের দোষ-ত্রুটি হলে তা নিয়ে লেখেন। আমরা আপনাদের কথা শুনতে চাই। মতামত জানতে চাই।

প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস বার বার বলেছেন- তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্ত, প্রাণবন্ত ও গতিশীল গণমাধ্যম দেখতে চান।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার দেশে একটা গতিশীল গণমাধ্য দেখতে চায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকু করা হবে। একইঙ্গে তিনি সরকার দেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা সাংবাদিকদের জন্য যেসব কালাকানুন আছে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন করার প্রস্তাব করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়ার (গণমাধ্যম) ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, একটি প্রাণবন্ত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন আমাদের দেশে মিডিয়া কিভাবে চলবে তা ঠিক করবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ যেন বিপত্তির মুখে না পড়েন, বাধার সম্মুখীন না হন- তা নিশ্চিতে এই কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার এই কমিশন গঠনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, মোট ২২ জন সম্পাদককে মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ, কালের কণ্ঠের হাসান হাফিজ, আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুন, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।

এ ছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নতুন পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন জসীম উদ্দিন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার স্থলে নতুন পররাষ্ট্র সচিব করা হচ্ছে রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে। আগামীকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে, এখনও আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। আজ রাতের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কাল থেকে তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) শুরু হবে।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাসুদ বিন মোমেনকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন মাসুদ বিন মোমেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টাও বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কর্মকর্তাদের জানান, নতুন পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন।

সন্ধ্যায় বিদায় অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এখন থেকে নতুন পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব কে পালন করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, কাল (সোমবার) প্রজ্ঞাপন হবে।

মাসুদ বিন মোমেন ১৯৮৫ ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্বাভাবিক নিয়মে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বছর তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এ বছরের ৫ ডিসেম্বর।

কর্মজীবনে কূটনীতিক হিসেবে তিনি ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।

এর আগে, তিনি জাপান, ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে, সম্প্রতি চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামীকাল (সোমবার) তার নতুন পররাষ্ট্র সচিব হওয়ার নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা-বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন পেশাদার কূটনীতিক জসীম উদ্দিন। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তার নতুন সচিব হিসেবে কাজ শুরু করার সম্ভবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, জসীম উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে তিনি কাতার এবং গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন নয়াদিল্লি, টোকিও, ওয়াশিংটন ডিসি এবং ইসলামাবাদেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কনস্যুলার পরিষেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনায় রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন পুরস্কার পায়।


আরও খবর