আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

রানার আপ হয়ে বিদায় নিতে হলো যুবাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। তবে গ্রুপ পর্বের আশাজাগানিয়া পারফরম্যান্স দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল যুবারা। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচে জয়; এক ম্যাচে ড্র। এমন পারফরম্যান্সের পর অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নটা অমূলক নয়। তবে ফাইনাল ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে হতাশায় পুড়তে হলো বাংলাদেশকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র। । এরপর অতিরিক্তি সময়ের শুরুর পাঁচ মিনিটের তান্ডবে ছিন্নভিন্ন বাংলাদেশ। ৫-২ ব্যবধানে হেরে রানার আপ হয়ে বিদায় নিতে হলো যুবাদের।

ভারতের কালিংগা স্টেডিয়ামে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সমানে সমান টক্কর দিল যুবারা। পিছিয়ে পরেও ঘুরে দাড়িয়ে জানান দিল নিজেদের অস্তিত্বের ভারতের মাটিতে ফাইনালে তাদেরকে নির্ধারিত সময়ে আটকে রাখলো ২-২ গোলে। তবে শেষ সময়ে ভারতের দিকেই প্রসন্ন হলো ভাগ্যদেবী।

দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে ভারতকে এগিয়ে নেন গুরকিরাত সিং। হিমাংশুর দূরপাল্লার শট আসিফ ঠেকালেও গ্লাভসে আটকাতে পারেনি। বক্সের ভেতর থাকা বলের দিকে ছুটে আসেন গুরকিরাত। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভারতীয় ফরোয়ার্ডকে ফাউল করে বসেন আসিফ। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গোল হজম করেও দমে যায়নি বাংলাদেশ। আক্রমন-প্রতিআক্রমনে খেলা জমিয়ে তোলে লাল-সবুজরা।

আক্রমণের ধারা ধরে রেখে বিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ৪৫ মিনিটে রফিকুলের কাটব্যাকে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের গতির শটে জাল খুঁজে নেন রাজন হাওলাদার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ভারতের রক্ষণে প্রবল চাপ দিয়ে এগিয়ে যায় পল স্মলির দল। ৪৮ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ইমরানের লম্বা বল গিয়ে পড়ে ভারতের বক্সে,স্বাগতিকদের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলে পিয়াসের মাথায় লেগে চলে যায় শাহীনের পায়ে। দেখে-শুনে বাম পায়ের গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডিফেন্ডার শাহীন মিয়া।

অবশ্য লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬০ মিনিটে সমতায় ফেরে ভারত। ডি বক্সের মুখ থেকে গুরকিরাত সিংয়ের বুলেট গতির শট জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলকিপার আসিফ। 

নির্ধারিত নব্বই মিনিট ২-২ সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই বাজিমাত ভারতের। হিমাংশুর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পরের মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূরণ করে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলেন গুরকিরাত সিং। এরপর আরও বিধ্বংসী ভারত। ৯৯ মিনিটে বক্সের প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন গুরকিরাত। এই ম্যাচে চার গোলসহ টুর্নামেন্টে মোট আট গোল ভারতীয় এই ফরোয়ার্ডের। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।


আরও খবর



রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি: বিপুল রাজস্ব ফাঁকি সাদিক অ্যাগ্রোর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ওপর গড়ে তোলা পশুর খামার সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মো. ইমরান হোসেন, গবাদি পশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী। তাঁর খামারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু-মহিষ-উটের দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করা হয় কোটি টাকা। তবে ছাগল ইস্যুতে ফার্মটি দেশজুড়ে বিপুল আলোচনায়।

অথচ কর দেওয়ার সময় কোটি টাকায় বিক্রি করা গরুর দাম দেখানো হয়েছে ১৪ হাজার টাকারও কম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রদর্শন করা হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে আয় মাত্র ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা। সাদিক অ্যাগ্রোর প্রদর্শিত বার্ষিক আয় প্রতিষ্ঠানটির একটি গরু বিক্রির টাকার চেয়েও কম। এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশ্লেষকরা।

ইমরান হোসেন কর অঞ্চল-৬-এর ১৩১ নম্বর সার্কেলে তাঁর কর রিটার্ন জমা দেন। তাঁর করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ৫৬৫০৩৭৯১০৬৭০। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭৩২৩৯৮৯২২১৫। ২০২২-২৩ করবর্ষের নথি সূত্রে জানা গেছে, সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও তিনি ইমরান হোসেন ফিশ ফার্মের স্বত্বাধিকারী।

এ ছাড়া জালালাবাদ স্টিল লিমিটেড, জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেড, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড ও লাকি স্টিল করপোরেশনের পরিচালক। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বনানীর ১৩ নম্বর রোডের ই ব্লকের ১০৩ নম্বর বাসায় থাকেন। তবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা : বাসা নম্বর-৮৬, কলাবাগান।

২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সাদিক অ্যাগ্রোর মোট বিক্রির পরিমাণ দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকা। তবে এই সময়ে তিনি বাছুর কেনা বাবদ খরচ করেছেন ছয় লাখ ১২ হাজার ৪৭০ টাকা।

পশুখাদ্য কিনেছেন ৫১ লাখ সাত হাজার ৮১০ টাকার। ওষুধ কেনার খরচ আট লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৬ টাকা। কর্মীদের মজুরি দিয়েছেন ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ টাকা। এভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং অন্যান্য খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছেন ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ টাকা। এর সঙ্গে অন্য সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর বাৎসরিক আয় ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা।

কিন্তু তাঁর এই হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ফারাক। শুধু কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করেই তাঁর দেড় হাজার পশু বিক্রি হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা, ইন্দো ব্রাজিল, হোলস্টাইন, দেশাল, শাহীওয়ালসহ বেশ কয়েকটি জাতের গরুর পাশাপাশি মহিষ ও ছাগল। এ ছাড়া তাঁর ফার্মে উটও বিক্রি করা হয়।

তাঁর ফার্মে বেশির ভাগই কোটি টাকা দামের গরু। বছরজুড়ে দেড় হাজার গরু বিক্রি করলেও সাদিক অ্যাগ্রোর বছরের আয়ের হিসাবের সঙ্গে করের হিসাব মেলানো দুষ্কর। ইমরানের বিক্রয়ের তথ্যানুযায়ী, দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকায় তিনি দেড় হাজার গরু বিক্রি করেছেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গরুর দাম পড়েছে ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। বর্তমান বাজারে এই দামে একটি মাঝারি মানের ছাগলও কিনতে পাওয়া যায় না। তাঁর ফার্মের একটি ছাগল ১২ লাখ টাকায় বিক্রির ইস্যুতে পুরো দেশ এখন সরগরম।

অন্তত ১০ লাখ টাকা গড়ে প্রতিটি গরু বিক্রি করলেও দেড় হাজার গরুর দাম দাঁড়ায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে তিনি কর দিতে গিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকার তথ্য গোপন করেছেন। এর আগেও এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইমরানের কর ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করেছিল। ওই অনুসন্ধানে কর ফাঁকির তথ্য প্রমাণিত হয়েছিল। তবে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আবার তদন্ত হতে পারে। আগের তদন্তের চেয়ে এখন তাঁর বিষয়ে অনেক বেশি তথ্য হাতে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ইমরান খুবই চতুর ব্যক্তি। সাদিক অ্যাগ্রো কম্পানি হিসেবে ২০১৭ সালে নিবন্ধিত হলেও কম্পানির নামে কোনো রির্টান নেই। এ ছাড়া তিনি জটিলতা এড়িয়ে যেতে ব্যাংক হিসাবে খুব বেশি টাকা রাখেন না। সম্ভবত তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কৌশলে টাকা পাচার করেন। অথবা আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ কিনে রাখেন।

সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে ৮১ লাখ টাকা আয়কে অবাস্তব বলে মনে করেন কর অঞ্চল ৬-এর কমিশনার মো. লুত্ফুল আজিম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি জানি না তাঁর ফাইলে তিনি কিভাবে হিসাব দেখিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর ফাইলটা আমার সামনে নেই, ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ঢাকা শহরের ভেতরে এত বড় অ্যাগ্রো ফার্ম আছে সেটাও আমাদের জানা ছিল না। এখন বিষয়টা জানলাম। এখন আমরা অনুসন্ধানে যাব। তবে দুগ্ধখামারের ওপর করহার কম।

তিনি বলেন, সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়ে আগেও সিআইসি থেকে তদন্ত হয়েছিল। এরপর অ্যাসেসমেন্ট কী হয়েছে তা আমি জানি না।

ইমরানের দেখানো হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর স্থায়ী ও চলতি সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা। ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮ টাকা। ব্যাংক দায় ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৬ টাকা। চলতি দায়ের পরিমাণ ১৫ লাখ ১২ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বমোট ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা।

ইমরানের সম্পত্তির বিবরণীতে দেখা গেছে, সাভারের জামুর মুচিপাড়া মৌজায় বিভিন্ন দলিল নম্বরে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে তাঁর। একই এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৫২৫ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়া মালিকানা ও পরিচালক হিসেবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেডে তাঁর মালিকানামূল্য ৪০ লাখ টাকা, জালালাবাদ স্টিল লিমিটেডে এক কোটি পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, সাদিক অ্যাগ্রোতে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এক বছরে ইমরান সম্মানি বাবদ পেয়েছেন ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সুবিধা যোগ করলে তাঁর আয়ের পরিমাণ ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৬০ টাকা। বেতন বাবদ তাঁর করযোগ্য আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাত থেকে আয় বাবদ (সাদিক অ্যাগ্রো) ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৯ লাখ ৯ হাজার ৮৮৩ টাকা, ফার্মের লাভের অংশ হিসেবে পেয়েছেন ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৭০ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় এক লাখ আট হাজার ৭৪৭ টাকা। বছর শেষে তাঁর মোট আয় এক কোটি ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৯ টাকা। এর বিপরীতে তাঁর প্রদেয় কর ১৭ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ টাকা। সেই হিসাবে তাঁর কর দাঁড়ায় ১৮ লাখ চার হাজার ৩৬৬ টাকা। সব ধরনের মওকুফ বাদ দিয়ে তাঁর করের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৬ টাকা। এই টাকা তিনি ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে চেকের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পরিশোধ করেছেন। চেক নম্বর এমসিএইচ ০৬৮৮১৭৮।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, দৃশ্যত এটি যৌক্তিক বলে মনে হয় না। এখানে আয় লুকানোর একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার। একটা অবৈধ জায়গায় তারা ফার্ম করেছিল। বছরে ৮১ লাখ টাকা আয় প্রকৃতপক্ষে তাদের বাস্তব আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে সম্ভাব্য বড় কর ফাঁকির ঝুঁকি রয়েছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



বিমান বিধ্বস্তে মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ নিহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটিতে থাকা আরও ৯ জন। মঙ্গলবার (১১ জুন) দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ। এর আগে চিলিমাকে বহনকারী বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও মন্ত্রিসভা থেকে সাধারণ জনগণকে জানাতে চাই, সোমবার (১০ জুন) নিখোঁজ হওয়া মালাউই ডিফেন্স ফোর্সের বিমানটির উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। বিমানটিতে থাকা ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস ক্লাউস চিলিমাসহ ১০ জনকে আজ সকালে চিকানগাওয়ায় পাওয়া গেছে।’

এতে আরও বলা হয়, দুর্ভাগ্যবশত বিমানটিতে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন। বিমানটি রাডারের বাইরে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মালাউইয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ সার্ভিস, বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।’

প্রতিবেদন মতে, বিমান দুর্ঘটনার খবর দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. লাজারাস ম্যাককার্থি চাকভেরাকে জানানো হয়েছে। তিনি দুর্ঘটনায় নিহত ভাইস প্রেসিডেন্টের পরিবারসহ অন্যান্যদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে শেষকৃত্যের দিন পর্যন্ত পতাকা অর্ধনিমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাককার্থি।

উল্লেখ্য, সোমবার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমাকে বহনকারী বিমানটি রাজধানী লিলংওয়ে থেকে মুজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগেই বিমানটি হঠাৎ রাডারের বাইরে চলে গেলে, বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিমানটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়া আরও ৯ জন আরোহী ছিলেন।


আরও খবর



বড় জয় পেয়ে পদত্যাগ করলেন নরেন্দ্র মোদী

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বুধবার (৫ জুন) রাষ্ট্রপতি তার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের এবং মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানান মোদী।

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, যদি জোটের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক থাকে তাহলে, আগামী শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় দিল্লিতে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ফলে তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন মোদী।

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বিজেপি। নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। ৪০০ আসনে জয়ের যে লক্ষ্য ছিল তার ধারে কাছেও ঘেষতে পারেনি তারা। এমনকি বিজেপি এককভাবে ৩০০ আসনও পার করতে পারেনি।

৫৪৩ আসনের মধ্যে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭২টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এ সংখ্যা পার করেছে। জোটের মধ্যে সবকিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ এবং ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদী। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন তিনি।

এনডিএ মোট ২৯২ আসনে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। অন্যদিকে ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। এই দলের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৫টি আসন। এক দশক আগে ক্ষমতায় আসা মোদীকে এই প্রথমবার সরকার গঠনের জন্য জোটের অংশীদারদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

জোট এনডিএ সরকার গঠন করলে এবং মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে জওহরলাল নেহরুর পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবারই বৈঠকে বসেন মোদী। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। এটাই ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানে শনিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রথমে আগামী রোববার অর্থাৎ ৯ জুন হতে পারে বলে ঠিক হয়। তবে পরে তা বদলে শনিবার করা হয়।

২০১৯ সালের নির্বাচনে মাত্র ৯৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট। আর কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে ভারতের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক দলটির।

সে বছরের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। সে সময় বিজেপির পক্ষে কাজ করেছিল মোদী ম্যাজিক এবং জাতীয়তাবাদী হাওয়া। কিন্তু এবার তার কোনো কিছুই কাজে আসেনি। এবার নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে কারণে এনডিএ জোট শরিকদের ওপরই নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে।


আরও খবর



মোংলায় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে বাধার অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক আনসার সদস্যকে দায়িত্ব পালনে বাঁধা ও মারধর করার অপরাধে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক কর্মিকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৯ জুন) পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহ‌সি‌নিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই কর্মী শাকিল শেখ (২১) কে দন্ড দেন বাগেরহাট জেলা অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদ।

তিনি বলেন, মহাসিনিয়া আলিম মাদ্রাসা সেন্টারে নির্বাচনে অন্যদের সাথে ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন। এসময় শেহালাবুনিয়া এলাকার মৃত মোস্তফা শেখের ছেলে শাকিল শেখ নামে ওই যুবক নারী ও পুরুষদের সারিবদ্ধ লাইন ভেঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন তাকে বাঁধা দেন। কিন্তু তাকে ধাক্কা দিয়ে মারধর শুরু করেন। এসময় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করেন।

পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা,২০১৩ এর বিধি ৭৬ (গ)-(আ) অনুযায়ী আটক ব্যক্তি তার অপরাধ স্বীকার করে। এরপরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যার্থ হলে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলেও জানান বিচারক ড.মোঃ আতিকুস সামাদ।

পরে ওই আসামীকে বাগেরহাট জেলা কারগারে পাঠানোর জন্য মোংলা থানায় সোপর্দ করা হয়।


আরও খবর



বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনার উদ্দেশে বিদেশে পাড়ি জমান। প্রতি সেমিস্টারে শত শত ডলার টিউশন ফি পাঠাতে হয় অভিভাবকদের। এটি বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা টিউশন ফি হিসেবে বিদেশে যায়। এমন টিউশন ফির ওপর এখন থেকে কর নিবে না বাংলাদেশ সরকার। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ বাজেটে এ ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

টিউশন ফিসহ ছয় ধরনের কাজে বিদেশে অর্থ পাঠাতে উৎসে কর কেটে রাখার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। অন্য পাঁচটি খাত হলোবিদেশের কোনো কর্তৃপক্ষকে অর্থ পরিশোধ, পেশাজীবী সংগঠনের চাঁদা পরিশোধ, বিদেশে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ অফিস, বিদেশে পণ্য উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ ও নিরাপত্তা জামানত।

প্রতিবছর বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভারত, মালয়েশিয়া ও চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। এ ছাড়া জাপানসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর কর্মকর্তারা জানান, ডলারসংকটের কারণে অনেক ব্যাংক বিদেশে টিউশন ফি বাবদ ডলার পরিশোধে অনীহা দেখায়। এখন এই ডলারে টিউশন ফি পরিশোধে উৎসে কর কাটা হবে না। ফলে টিউশন ফির অর্থ পাঠাতে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।

সাধারণত বিদেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধের সময় ৩০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়।


আরও খবর