অবরুদ্ধ গাজা
উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি
নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। শনিবার (১৮ মে) গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি
এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৭
মে) হামাসের ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অবরুদ্ধ গাজা
উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে।
সংবাদ সংস্থা
ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাফার মধ্যাঞ্চলের জাবালিয়া আল-বালাদ
এলাকার ‘আবু হাশেম’ ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলার
পর উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
হয়েছে। আরও ডজন খানেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
উত্তর গাজার জাবালিয়া
শরণার্থী শিবিরের দরজায় জড় হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে
অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থী
শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহে পানি নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে
ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আট জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।
মধ্য গাজার নুসেইরাত
শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
দক্ষিণ গাজার
খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।
খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারাহিনে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
উত্তরপশ্চিম রাফাহে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েরি সামরিকবাহিনী
উত্তর গাজায় নতুন করে হামলা চালাবে। তাই সেখানে থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে অবিলম্বে সরে
যাওয়ার আদেশ দিয়েছে। তারা রাফায় তাদের স্থল অভিযানও আরও বাড়াচ্ছে।
ইউনাইটেড ন্যাশনস
রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)
এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৬ মে থেকে রাফাহতে তাদের স্থল
অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাফাহ ছেড়ে পালাতে
বাধ্য করেছে। উত্তর গাজায় জোরপূর্বক আরও ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।