ভারতের লোকসভা
নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য
জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিশেষ করে তেলেগু দেশাম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু
নাইডু ও জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডির (ইউ) নীতিশ কুমারের ওপর। মনে করা হচ্ছে, এই দুই
নেতার সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই এগিয়ে যাবে সরকার গঠনের পথে। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে
এসেছে আরেক ঘটনা।
সরকার গঠন নিয়ে
আলোচনা করতে আজ বুধবার শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন
এনডিএ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের।
এর আগে মঙ্গলবারই
খবর মেলে, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ
চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে কপাল পুড়তে
পারে বিজেপির।
কারণ, সেটি
হলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণ হবে না এনডিএর। আর নাইডু-নীতিশের
২৮ আসন নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে ইন্ডিয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ‘রহস্যজনক গতিবিধি’ দেখা
গেছে নীতিশ কুমারের। ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী
যাদবের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি সফর করেছেন নীতিশ।
প্রশ্ন উঠতে
পারে, নাইডু-নীতিশকে নিয়ে বিজেপির ভয়ের কারণ কী? ২০১৪ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে
একা নির্বাচন করেন নীতিশ। এরপর ২০১৫ সালে লালু যাদবের সঙ্গে মিলে জোট করেন। দুই বছর
না যেতেই এনডিএ জোটে যুক্ত হন নীতিশ। এরপর ২০২২ সালে আবারও জোট থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
এ বছর আবার যুক্ত হন। ফলে তাকে নিয়ে শঙ্কা থাকছেই বিজেপির।
এছাড়া চন্দ্রবাবু
নাইডুও এ বিষয়ে এখনো তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সবমিলিয়ে, বিজেপির ভবিষ্যৎ এখন নাইডু-নীতিশের
ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
এদিকে সেরকম
কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন নীতিশের দলের নেতারা। জেডিইউয়ের এক নেতা জানান, এনডিএ
জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেন নীতিশ। এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লিতে যাচ্ছেন।