আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

রাশিয়ায় ‘পুতিনবিরোধী’ বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৩ হাজার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
নাভালনিকে গত বছর বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও এ বিষয়টি ক্রেমলিন বারবার অস্বীকার করেছে। তবে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী রিপোর্টে নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের সত্যতা পাওয়া গেছে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক বিরোধীদলীয় নেতা কারাবন্দি অ্যালেক্সি নাভালনির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তার সমর্থকরা। শনিবার রাজধানী মস্কোসহ ৯০টির মতো স্থানে এ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় তিন হাজারেরও বেশি নাভালনি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনিকেও গ্রেফতার করা হয়।  খবর আলজাজিরার।

এসব বিক্ষোভে কয়েক হাজার নাভালনি সমর্থক অংশ নেন। তারা নাভালনির মুক্তির দাবি জানান। শনিবারের এসব সমাবেশ ভাঙতে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করেছে। গত সপ্তাহে জার্মানি থেকে ফেরার পরই গ্রেফতার হওয়ায় সমর্থকদের বিক্ষোভের ডাক দেন নাভালনি। মস্কোতে লাখো বিক্ষোভকারী অংশ নিয়ে নাভালনির মুক্তির দাবি জানান। এ সময় পুলিশ হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কোর কেন্দ্রস্থলে অন্তত ৪০ হাজার লোক জমায়েত হয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে রাশিয়ার রাজধানীতে এত বড় অননুমোদিত সমাবেশ আর হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। এখানে পুলিশ যাকে সামনে পেয়েছে, তাকেই ধরে ভ্যানে তুলে নিয়ে গেছে। তবে মস্কোর জমায়েতে মাত্র চার হাজার লোক হয়েছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই সংখ্যা অত্যন্ত বেশি ছিল বোঝাতে ব্যঙ্গাত্মক উক্তি ব্যবহার করেছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।   

প্রতিবাদের আগের দিনই নাভালনির কিছু রাজনৈতিক মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল; অন্যদের বিক্ষোভ চলাকালে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতিবাদ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, রাশিয়াজুড়ে অন্তত এক হাজার ৬১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মস্কো থেকে ৫১৩ জন ও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ২১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। রাশিয়ার প্রায় ৭০ শহর ও নগর থেকে প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফেরার পর ১৭ জানুয়ারি নাভালনিকে গ্রেফতার করা হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর সমালোচক অ্যালেক্সাই নাভালনি চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলে ওই দিনই তাকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়। প্যারোলে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হওয়ার একটি মামলায় তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান মস্কোর একটি আদালত।

নাভালনিকে গত বছর বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও এ বিষয়টি ক্রেমলিন বারবার অস্বীকার করেছে। তবে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী রিপোর্টে নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

গত বছর আগস্টে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সার্বিয়া থেকে মস্কো ফেরার সময় এককাপ চা পানের পরই অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন নাভালনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষায় জানা যায়, সোভিয়েত আমলে তৈরি বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।


আরও খবর



দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফায় কমানোর পর দেশের বাজারে গত দুই দিনে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে শ‌নিবার বে‌ড়ে‌ছিল ১০৫০ টাকা এবং রোববার প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭৩৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আজ প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জ শহরের পুকুর থেকে ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ শহরের মধ্যকোর্টগাও এলাকার একটি পুকুর থেকে ফিরোজ (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত ফিরোজ স্থানীয় মৃত আফসু মুন্সির ছেলে।

এদিকে ফিরোজের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। নিহত ফিরোজ বিভিন্ন সময় মাদক গ্রহণ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। মাদক সেবনের পর মৃত্যু নাকি হত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পকেট থেকে ঘুমে ঔষধ পাওয়া গেছে, সে বিভিন্ন সময় মাদক সেবন করতো বলেও জানতে পেরেছি। মাদক সেবনের পর পুকুরে পরে গিয়ে মৃত্যু নাকি অন্য কোন ঘটনা আছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর



প্রথম ধাপে কাল যেসব উপজেলায় নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার ধাপে ৪৮১ উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮১টির ভোটের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এতে প্রথম ধাপে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি এবং শেষ ধাপে ৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ধাপে যে ১৫৩ উপজেলায় ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জের সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি; পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া।

রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চররাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল অঞ্চল : বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভাণ্ডারিয়া।

ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের সদর ও বন্দর; গাজীপুরের সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সীগঞ্জের সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট অঞ্চল : সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; সিলেটের সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।

কুমিল্লা অঞ্চল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল; কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম; চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর; ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর।

চট্টগ্রাম অঞ্চল : চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙা; রাঙামাটির সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবানের সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।

এদিকে প্রথম ধাপ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ পুরুষ ও ৪ নারী আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসি তিনজন অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।


আরও খবর



একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। তিন ধাপে আবেদন চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

২০২৪ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পছন্দ তালিকায় ন্যূনতম পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ রাখতে পারবে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে আবেদন জমা দিতে ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। তবে এমপিওভুক্ত, নন এমপিওভুক্ত, ইংলিশ ভার্সন, বাংলা ভার্সন, মহানগর, জেলাশহর, গ্রাম বিবেচনায় ভর্তি ফি আলাদা হতে পারে, কত হবে তা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নীতিমালায় বলা আছে। তিন ধাপের প্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর