আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়, ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা সড়কের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সংলগ্ন স্থানে রাস্তার পাশের জায়গাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাটি দিয়ে গার্লস্কুল, মাদ্রাসা, ইদিলপুর পাইলট বিদ্যালয়সহ ১০-১৫ টি বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা, থানা, কলেজ, উপজেলা নির্বাহী অফিস, হাসপাতালসহ প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি আবাসিক বাড়িঘরের বসবাস করা সকল শ্রেণির লোকজনের যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তা হিসেব পরিচিত।

গোসাইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষেই শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

প্রায় এক বছর বেশি সময় ধরে সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে ফেলতে স্থানটি ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে।

এ রাস্তায় প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। এতে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে পৌরসভার ময়লার স্তূপ। আবর্জনার স্তূপে দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগ বালাই। দুর্গন্ধের স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। নবঘোষিত গোসাইরহাট শ্রেণির পৌরসভা হলেও স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না হওয়ার ফলে পৌরবাসীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়েও কোন কাজে আসেনি। পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে এর প্রতিকার চেয়েছেন স্থানীয়রা।


সরেজমিনে দেখা যায়, দাশের জঙ্গল বাজারের পূর্ব এলাকায় ডাকবাংলোর রাস্তার উত্তর পাশ ঘেঁষেই ময়লার ভাগাড়। তার পাশেই অবস্থিত পোস্ট অফিস বহু বাড়িঘর। চার পাশেই ঘনবসতি। সেই রাস্তায় স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।

দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক, হোটেল ও রেস্তোঁরার বর্জ্য ফেলায় এ সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে এখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ওই রাস্তায় চলাচলকারী জয়নাল মিয়া নামের এক ভ্যান চালকসহ কয়েকজন বলেন, আমার সবসময় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা লাগে। এই দুর্গন্ধে ভ্যান চালাইতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে এই জায়গাটুকু পার হই। এই ময়লাগুলো যদি এখান থেকে সরানো হতো তাহলে আমাদের চলাচলে আর কষ্ট হতো না।

পথচারী সজিব হাওলাদার বলেন, রোদের সময় ময়লার দুর্গন্ধ আরো রেড়ে যায়। সে সময় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়া এ থেকে মশা-মাছির উপদ্রব্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন ও সুমন সাহা বলেন, আমার বাড়ির পাশেই পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। এটার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। স্থানীয়রা প্রতিনিয়তই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। আমরা পৌরসভা অফিসে অবহিত করা হলেও তাতেও কোন লাভ হয়নি। আমরা অতি দ্রুতই এর একটা সমাধান চাই।


গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা.হাফিজুর রহমান বলেন, এসব ময়লা আবর্জনা জনস্বাস্থ্য এর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব থেকে বায়ুদূষণসহ পরিবেশ মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ এবং বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা শ্বাসকষ্টে দ্রুত আক্রান্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে গোসাইরহাট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আলিম মোল্লা বলেন, পৌরসভার আধুনিক ডাম্পিং ষ্টেশনের জন্য যায়গা খুঁজা হচ্ছে, পেলেই নির্মান করা হবে ফলে ময়লা সেখানে ফেলা হবে ।

জানতে চাইলে গোসাইরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল আউয়াল সরদার বলেন, পৌরসভা কর্তৃক ময়লা ফেলা নির্ধারিত স্থান নাই তাই এখানে মালা ফেলা হচ্ছে। যায়গা পেলে নির্ধারিত ডাস্টবিন (ডাম্পিং স্টেশন) নির্মাণ করা হলে সেখানে ময়লা ফেলা হবে।


আরও খবর



শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল ও মতিঝিল থেকে উত্তরা সপ্তাহে ছয়দিন নিয়মিত চলাচল করছে এটি। তবে যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এবার শুক্রবারও মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাই থেকে অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেছেন, ‌এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। যদি এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, হয়তো কয়েকদিন পরে আমাদের এমডি এম এ এন ছিদ্দিক স্যার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।

মেট্রোরেলের বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ। আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে।

এর আগে ২ মে নির্ধারিত সময় শেষে মোট এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী তৃতীয় ধাপের ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা ভোটে অংশ নিতে এবার প্রার্থীদের জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপের সব প্রার্থীই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এদিকে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় নির্বাচন ছাড়াই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ ছাড়া পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এবং সুনামগঞ্জের ছাতকে সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচন ছাড়াই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করতে পারে ইসি।

এবারের উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটের লড়াই শেষ হয়েছে।

ইসি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলায় চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৮২৮ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫২৯ জন রয়েছেন। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ মে।


আরও খবর



জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর



দোহারে পদ্মায় গোসলে নেমে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় কিশোরী জান্নাতুল (১৫)। সোমবার বিকেলে পদ্মানদী মৈনট ঘাট এলাকা থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার আনোয়ারের মেয়ে।

জানা যায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে হঠাৎ ডুবে যায়।

পরে স্থানীয়রা কুতুবপুর নৌ পুলিশের সদস্যদের খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা প্রায় সাড়ে ছয়টার দিকে নিখোঁজ জান্নাতুলকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে। পরে জান্নাতুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল মোল্লঅ জানান, পাঁচটার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা মৈনটঘাটে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে জান্নাতুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিউজ ট্যাগ: মৈনট ঘাট

আরও খবর