আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

রেকর্ড ভেঙে ৬ মাসে কেরুর ২৩৩ কোটি টাকার মদ বিক্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের মতো এবারও মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব চিনিকল কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি শুধু মদ বিক্রি করেছে ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১২ মাসে মোট মদ বিক্রি হয়েছিল ৩৬৭ কোটি টাকার। গত ৬ মাসে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে তা গত বছরের ২১ শতাংশ বেশি। এটিই এখন পর্যন্ত কেরুর সর্বোচ্চ বিক্রি। চলতি অর্থবছর শেষে এবারও সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়ার প্রত্যাশা করছে কেরু কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিডেট। দেশে বিদেশি মদের আমদানি কমায় মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অনুমোদিত বারগুলোতে দেশি মদের সংকট মোকাবিলায় কেরুর মদের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। ফলে বিক্রি ও আয় দুটোই বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মদ বিক্রিতে আয় হয়েছে ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছিল ১৯২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় এবার ৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি আয় হয়েছে। এবারে আগের বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ।

২০২১-২২ অর্থ বছরে বিভিন্ন ইউনিট থেকে ৪২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আয় করে রেকর্ড করে কেরু। শুধু ডিস্টিলারি ইউনিট বা মদ বিক্রি হয় ৩৬৭ কোটি টাকার। যা কেরুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর এই ইউনিট থেকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা লাভ করে কেরু। তবে, বড় ধরনের লোকসান হয় চিনি ইউনিটে যা প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ওই বছর রাজস্ব আদায় ও কোম্পানি পরিচালনাসহ সব খরচ বাদে কোম্পানির প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রায় ৭৯ কোটি টাকা লাভের প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ২৪ ডিসেম্বর কেরুর ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৫৩ কার্যদিবস মিল চালু রাখার লক্ষ্য রয়েছে।

মদের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ১০ লাখ প্রুফ লিটার বেশি মদ বিক্রি করেছে কেরু। কেরুর রয়েছে ইয়েলো লেবেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্র্যান্ডি, চেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, অরেঞ্জ কুরাকাও, জারিনা ভদকা, রোসা রাম ও ওল্ড রামের মতো মদের নয়টি ব্র্যান্ড। কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র আছে।

সারাদেশে কেরুর ১৩টি ওয়্যারহাউস ও তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এরইমধ্যে কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় নতুন দুটি বিক্রয়কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন জানান, দেশে বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় কেরুর মদের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। দেশে অ্যালকোহলের চাহিদা মেটাতে বিয়ার তৈরির লক্ষ্যে কেরুর দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন করা হলে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। নতুন করে মদের পাশাপাশি কেরুর বিয়ার তৈরির চিন্তা রয়েছে সরকারের।

প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০২ কোটি ২১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে উৎপাদন প্রক্রিয়া করা হবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। এতে উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচতে বন বিভাগের ছয় নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক মাস ধরে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ও হিংস্র সাপ চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। মূলত বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ বলে পরিচিত হয়ে এলেও ইদানিং দেশের দক্ষিণ, পূর্ব এমনকি মধ্যাঞ্চলেও খোঁজ মিলছে সাপটির। প্রায় দিনই খবর আসছে বিষাক্ত এ সাপে কাটা মানুষের মৃত্যুর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয়টি নির্দেশনা সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ বনবিভাগের পক্ষ থেকে। শুক্রবার (২১ জুন) রাতে পোস্টটি করা হয় বাংলাদেশ বনবিভাগের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে।

তাতে বনবিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পড়তো না। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে সাঁতরে ও ভেসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

রাসেলস ভাইপার স্বভাবগতভাবেই কিছুটা তেজী। এটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, ফলে সাপটি বিপদ অনুভব করে ভয়ে আক্রমণ করে বসে। এই সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত মানুষই দায়ী। যেসব প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন, শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল এরাও রাসেলস ভাইপার খেয়ে থাকে।

এছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে-অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসব শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপারও অত্যধিকহারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

তবে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানায় বন বিভাগ। আর এজন্য রাসেলস ভাইপারের আক্রমণ ও ভয়ানক বিষ থেকে বাঁচতে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

নির্দেশনাগুলো হলো:

যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।

যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।

রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে গভীর রাতে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ এলাকায় শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।

তিনি বলেন, আমরা সকাল ৭টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এসে শফিকুর রহমান ও তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করছি গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে কী কারণে স্বামী-স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে সিআইডির ফরেনসিক টিম এসেছে তারা আলামত সংগ্রহ করছে। আলামত সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। ভবনের দুই তলায় তারা থাকতেন আর নিচতলায়, তিনতলা ও চার তলায় ভাড়া দেওয়া আছে। এই দম্পতির ছেলে ইমন পুলিশে চাকরি করেন। ইমনের স্ত্রী একই বাসায় থাকে। কিন্তু গতকাল ইমন দাদাবাড়ি ফেনীতে চলে যায় এবং তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়।

আরও জানা যায়, আজ সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ভবনের পার্কিংয়ে পাওয়া যায় শফিকুরের গলা কাটা মরদেহ। দোতালায় শোয়ার কক্ষে ফরিদার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি ডাকাতি কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না সেই বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাসার আলমারি খোলা পাওয়া গেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে কাজ করে যাচ্ছি।


আরও খবর



শঙ্কা উড়িয়ে ২ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কাকে অল্পতেই আটকে রেখে কাজটা আগেই সহজ করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ চাপে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে শূভসূচনা করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

শনিবার (৮ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২ উইকেট এবং ১ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ১৩ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন তাসকিন। তার ওভারের প্রথম দুই বলেই চার হাঁকান কুশল মেন্ডিস। তবে টাইগার এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ফাঁদে পড়েন তিনি। ইনসাইড-এজে শেষ পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। এতে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিবের ওপর চড়াও হয়েছিলেন নিশাঙ্কা। চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। পাঁচ ওভার শেষে ৮ বাউন্ডারির বিপরীতে একটি ছক্কা হাঁকায় লঙ্কানরা।

এরপর আক্রমণে এসেই কামিন্দু মেন্ডিস ফেরান মোস্তাফিজ। মিড-অফে তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে বাংলাদেশকে রীতিমত দুশ্চিন্তায় রেখেছিলেন নিশাঙ্কা। তবে মোস্তাফিজ ঝলকে শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

এরপর দলীয় ১০০ পেরোনোর পরই রিশাদকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন আসালাঙ্কা। তবে যুতসই ছিল না। এতে স্কয়ার লেগে সাকিবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বিশ্বমঞ্চে এটিই রিশাদের প্রথম উইকেট।

ঠিক পরের বলেই নিজের দ্বিতীয় শিকার পেয়েছেন রিশাদ। এবার আউটসাইড-এজড হন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।

এক ওভার পরেই রিশাদের ফ্লাইট আর টার্নে পরাস্ত হন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এতে ১৭তম ওভারে এসে ষষ্ঠ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

এরপর তাসকিনের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে চেয়েছিলে দাসুন শানাকা। তবে ঠিকঠাক মতো টাইমিং না হওয়ায় প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে।

শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বমঞ্চে তানজিম সাকিবের অভিষেক উইকেটে ১২৪ রানেই থামে লঙ্কানরা।


আরও খবর



সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে মেরে বের করে দিল সন্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের মায়ের সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃদ্ধা সৈয়দা শান্তি নাহার (৭০) ছেলেকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের শান্তি নাহার নামে এক বৃদ্ধা তার বড় ছেলে সৈয়দ জানে আলম স্বপনের কাছে ছিলেন। অসুস্থ মাকে দেখশোনা করার কথা বলে তার কাছে বেশ কিছুদিন রাখেন। এ সময় মায়ের নামে থাকা মাদারীপুর শহরের একটি বাড়ির জমি স্বপন লিখে নিয়েছেন। এ ছাড়াও তার জমি বিক্রির ব্যাংকে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করছেন তার বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম।

বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ, সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তিন দিন খাবার না দিয়ে বড় সন্তান ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রতারণা করে সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা। মামলায় বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম স্বপন ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা এবং তার নাতনী সৈয়দ রাহুল আলম শুভকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দা শান্তি নাহার নামে ওই বৃদ্ধার স্বামী বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছে। ওয়ারিশ হিসেবে রেখে গেছেন, তিন সন্তান, এক মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পরে চিকিৎসাজনিত কারণে মাদারীপুর শহরে তার বড় ছেলের বাড়িতে থাকেন তিনি। নগদ টাকার প্রয়োজনে ৫২ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা বড় সন্তানের কাছে গচ্ছিত রাখেন। কিছুদিন তিনি অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসার কথা বলে বড় ছেলে জানে আলম ও তার স্ত্রী রুমা এবং তার সস্তান শুভ অজ্ঞাত একটি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরে জানতে পারেন তার বাড়ির তিন শতাংশ জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে বড় সন্তান জানে আলম তার নামে লিখে নিয়েছেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক সম্পত্তি প্রতারণা করে অন্যদের দলিল করিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পরে তার বড় ছেলের কাছে জমি বিক্রির টাকাসহ মোট ৭১ লাখ টাকা এবং তিন শতাংশ জমি ফেরত চাইলে টাকা ও জমি ফেরত দিতে অস্বীকার করে। পরে মামলা করা হুমকি দিলে সৈয়দ জানে আলম স্বপন বৃদ্ধা শান্তি নাহারকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়।

ঘটনার পরে তার মেঝ ছেলে সৈয়দ মুক্তি তার মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করেন।

ভুক্তভোগী সৈয়দা শান্তি নাহার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলে সৈয়দ জানে আলম ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা জায়গাজমি অর্থ সম্পদ আত্মাসাৎ করে, আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার দেবর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমার ভাতিজা স্বপন আমার সামনে ওর মাকে মারধর করেছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমি কখনো দেখিনি। ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত। যাতে কেউ মায়ের গায়ে হাত তুলতে না পারে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ জানে আলম স্বপন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মা মিথ্যা কথা বলছে। জমি বিক্রি করে তার টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। সে তার টাকা তুলে চিকিৎসার জন্য খরচ করছে। তার জমি বিক্রির বাকি টাকা তার অ্যাকাউন্টেই আছে।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা মাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডাসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কানিজ আফরোজ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাকে তার সন্তান মারধর করবে এটা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়ার মতো নয়। অভিযুক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: মাদারীপুর

আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




গাজা নিয়ে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ না দিতে হজযাত্রীদের সতর্ক করলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র নগরী মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ১২ লাখ মুসলিম সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তবে হজ পালনের স্থানে রাজনৈতিক স্লোগানের কোনো জায়গা নেই বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাওফিক আল রাহবিয়ার কাছে রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক স্লোগানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, হজ হলো একটি ইবাদত, এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগানের স্থান নয়। যদি কেউ রাজনৈতিক স্লোগান দেন তাহলে অতীতে ন্যায় তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ১৬ জুন পবিত্র কুরবানি অনুষ্ঠিত হবে।

হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও শারীরিকভাবে সুস্থ প্রত্যেক নারী ও পুরুষের ওপর হজ পালন করা ফরজ। এসব ব্যক্তির জীবনে একবার হজ পালনের বিধান রয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু সৌদি আরবে এ নিয়ে কোনো উচ্চ বাচ্য হয়নি। কারণ দেশটিতে বিক্ষোভ করা অপরাধ। এছাড়া মত প্রকাশের স্বাধীনতাও এখানে খর্ব করে রাখা হয়েছে। ফলে হজকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পালে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে সৌদি সরকারের নিযুক্ত ইমামরা প্রতি শুক্রবার গাজাবাসীদের জন্য দোয়া করছেন। কিন্তু পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সৌদি আরব একে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ বাহরাইন এবং আরব আমিরাত সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।

অন্যদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ হামলার পর থেকেই সৌদি ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে আসছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।


আরও খবর