আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

রমজান সামনে রেখে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে বরিশালে আরেক দফায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংসের দামও আকাশচুম্বী। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি দরের মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৭৮ টাকার খেসারি ডাল ১১০ টাকা, ৭৫ টাকার ছোলা বুট ১০০ টাকা, ১৯০ টাকার রসুন ২০০ টাকা, ১৬০ টাকার আদা ২২০ টাকা, ১৩৫ টাকার এলসি চিনি ১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, আখের গুড় প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়।

নগরীর আলেকান্দার মুদি দোকানি জহুর কাজী বলেন, রমজান উপলক্ষে সব মালের দাম বাড়তি। পাইকরি বাজার থেকে তারা যে দামে পণ্য কেনেন তার চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

নগরীর সাগরদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসলাম ব্রাদার্সের মো. সাদী জানান, রমজানকে সামনে রেখে ডালজাতীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পিঁয়াজ না আসায় দেশীয় পিঁয়াজের বাজারও চড়া। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে বড় আমদানিকারকরা নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যে পণ্য মজুদ আছে তার চেয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি। এ কারণে বাজার দর বাড়তি। রমজানের আগে কোনো পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করছেন তারা।

নিত্যপণ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি আড়াই শ টাকা এবং গরুর মাংস সাড়ে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, বেলে মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, দেশীয় রুই-কাতলা ৪০০, নদীর পাঙ্গাস ৮০০ থেকে ৮৫০, কোরাল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ১ কেজি সাইজের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে। রমজানে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নগরীর পোর্ট রোড বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম।

রমজান মাস শুরু না হতেই বগুড়ায় খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রমজান শুরু হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানিকারক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে খেজুরের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ায় খেজুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে তিউনেশিয়ার খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। মাশরুপ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ টাকা কেজি। কিন্তু এ বছর দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও ফরিদা খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, রেজিস ৩৫০ টাকা, জাহেদি ২৪০ টাকা, খালাস ৩৬০ টাকা, ব্লাকবড়ি ৬৫০ টাকা ও ইরাকি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ইরাকি খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০ টাকা। দুবাইয়ের ইরাকি জাহেদি জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। দাবাস ও লুলু জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর



বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য: মঈন খান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য। শনিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৫ বছরের একদলীয় শাসন, বাকশালের কারণে দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। তাদের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার নেই। দেশে একদলীয় শাসন চলতে পারে না। কারণ এই শাসনে জনগণ বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সাম্য ফিরে পেতে চায় কিন্তু সরকার মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জনগণ কিছু বলেনি। জনগণ যা বলার সরাসরি বলছে। তাহলে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে কেন? সরকার কি জনগণকে ভয় পায়? ডান বাম সবাই বলছে সরকার এদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।


আরও খবর



পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের অনেকেই মাঠে গম চাষের সময় বজ্রাহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা ফসলের মাঠ দেখা যায়। আকস্মিক বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে চরম আবহাওয়া বিপর্যয় বেড়ে চলেছে।

২০২২ সালে আকস্মিক বন্যায় দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। এতে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। ওই সময় বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং কয়েক মাস ধরে সুপেয় পানির অভাবে ভুগতে থাকে।

খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানসহ ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সাম্প্রতিক ঝড়ের কারণে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনাকীর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে প্রদেশটিতে বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সর্ব পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেলুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নূর আহমেদ কালমাতি পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেন, বসতি এলাকায় এবং প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টির কারণে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নেরও ভূমিকা ছিল। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পঞ্চম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে পাকিস্তান।


আরও খবর



সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ফিজের প্রতি ভালোবাসা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর