আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

রমজানে শাক ভাতেই ভরসা খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় সবারই মন চায় সারাদিন রোজা রেখে ভালো-মন্দ খেতে। কিন্তু মানুষের উপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। প্রতিনিয়ত সে বাজারের রশি টানছে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ এখন মহা ভাবনায় হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। আগের তুলনায় দ্রব্যের মূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সবজি কেনাও এখন দুরূহ ব্যাপার।

পেটের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে মানুষের। তাপময় বাজার আর ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ মানুষ কীভাবে চলছে সেই খোঁজ নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গেলে সবারই একই কথা লাগামহীন ঘোটক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা।

কথা হয় আকচা ইউনিয়নের বাসিন্দা তরিকুলের ইসলামের সঙ্গে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কেমন করে চলছে তার সংসার জানতে চেয়েছিলাম। দীর্ঘ আলোচনায় উঠে আসে তার চলমান সময়ের সব কথা। দেবীগঞ্জ বাজারে ছোট একটি পানের দোকান নিয়ে বসেন তিনি। তার উপর ভর করেই চলে সংসার। নিজস্ব তেমন জমি-জায়গা নেই। ফলে পান-সিগারেট বিক্রি করেই বাজার কিনতে হয় তাকে। সংসারের অন্যান্য খরচও চালাতে হয় পান বেঁচেই। দিনের বেলায় বেচা-কেনা কম হলেও সন্ধ্যায় একটু বেশি হয়। গত কয়েক মাসে বাজারের টালমাটাল অবস্থায় অনেকটা দিশাহারা। সব কিছুর দাম নাগালের বাইরে। কোথাও সহজে হাত দিতে পারছেন না তিনি। তারপরও সংসারের যাবতীয় খরচ জোগাড় করতে হচ্ছে। বাজারের তাপে তিনি অনেকটা ঝলছে গেছেন বলে জানান তরিকুল।

জিনিসের অগ্নিমূল্য নিয়ে কথা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীংশকৈল উপজেলার সাংবাদিক নাজমুলে সঙ্গেও। চলমান বাজার পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের আয় এই দুইয়ের সমন্বয় কীভাবে করছে মানুষ? এক কথায় উত্তর দিয়ে তিনি বলেন, নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মানুষের আয় মোটেও বাড়েনি। বিশেষ করে গ্রামের মানুষের নির্ধারিত কোনো আয়ও নেই। জমির ফসলের উপর নির্ভর করে তারা। ফসল ভালো হলেও অনেক সময় ন্যায্য দাম পায় না কৃষকরা। তাই কম দামে বিক্রি করে দেয় তাদের কষ্টের ফসল। এখন প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। অতিরিক্ত দামের কাছে গ্রামের মানুষরা কাবু হয়ে পড়েছে। সব মানুষের ক্ষমতা নেই সব জিনিস ক্রয়ের।

তিনি মনে করেন, বর্তমান দেশের বাজার পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ব্যবসায়ীরা লোক বুঝে একেকজনের কাছে একেক রকম দামে পণ্য বিক্রি করছেন। এতে একেবারেই খেটে-খাওয়া শ্রেণির মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। সেই সঙ্গে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ চরম হতাশায় ভুগছেন। বাজার পরিস্থিতি এ রকম থাকলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী জানান, একদিকে মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চাকরিজীবীরাও বাজারের এমন টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবারের চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত শরীর থেকে ঘাম ঝড়াছেন। দিন যত যাচ্ছে ততই দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক গতি বাড়ছে। চলমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কষ্ট আর হতাশার কথা জানান বেসরকারি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।

শিক্ষকরা বলেন, অন্য যেকোনো চাকরিজীবীর তুলনায় শিক্ষকদের বেতন কম। মাসের অর্ধেক না যেতেই বেতনের টাকা শেষ হয়ে যায়। সারা মাস বিভিন্ন দোকানে বাকিতে জিনিস কিনে সংসার চালাতে হয়। সময় মতো দোকানিদের টাকা দিতে না পারলে বাকি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে বেসরকারী শিক্ষক সমাজের। শিক্ষকরা মনে করেন এ রকম চলতে থাকলে শিক্ষকদের সবকিছু ছেড়ে মাঠে গিয়ে কাজ করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে সরকার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কম দামে দেওয়া শুরু করেছে। সেই পণ্য চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। টিসিবির পণ্য কিনতে আসাদের লম্বা লাইন দেখলে সহজেই অনুমান করা যায় চলমান পরিস্থিতিকে। অনেক মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ লজ্জা লুকিয়ে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন।

তবে মানুষ এখন নিরুপায়। কারণ পাঁচ টাকার শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। করলার কেজি ৮০ টাকা, পটোলের কেজি ৭০ টাকা, আলুর কেজি ২৫-৩০ টাকা। ডিমের হালি ৪৫-৪৮ টাকা। বেড়েছে পেস্ট, শ্যাম্পু, সাবান, মাথার তেলের দামও।

এবিষয়ে সবজি ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা যেমন ক্ষীপ্ত তেমনি আমরাও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। সাধারণ মানুষ বাজারে এসে দাম শুনে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

খুচরা বিক্রেতা দুলাল বলেন, পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা সহজে কমে না। শীতের সবজি শেষের দিকে। ফলে দাম বাড়ছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, যেসব সবজির মৌসুম শেষ সেসব সবজির দাম কিছুটা বেশি। কারণ ওইসব সবজির সরবরাহ কমে গেছে।

তবে বাজার ঘুরে অধিকাংশ দোকানে দেখা মেলেনি নির্দিষ্ট মূল্য তালিকার। এর ফলে একেক বাজারে একেক রকম দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার ঠাকুরগাঁও জেলার সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদী বলেন, রমজান মাসে যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হয় সেই অনুযায়ী বাজারগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।


আরও খবর



বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি  নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে ১৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পদ্মা সেতু চালুর পর গত ২২ মাসে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১২টা এ টোল আদায়ের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে গত ২২ মাসে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।


আরও খবর



উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করলেন আজকের দর্পণের সম্পাদক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আজকের দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী (শাহীন)। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নাজিরপুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলিমুজ্জামানের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন।

এর আগে হাজার হাজার জনগনের উপস্থিতিতে তিনি দোয়া কামনা করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

এস এম নুরেআলম পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই। তিনি দির্ঘদিন ধরে এলাকায় জনগনের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে এলাকায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন তিনি।

এদিকে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফা কেন্দ্র করে পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় আনন্দমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীরা। পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এস এম বায়েজিদ হোসেন ও সাংবাদিক শফিউল হক মিঠু মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান কাছে।

এছাড়া নাজিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী, মোহাম্মাদ আলী শিকদার, দিপঙ্কর নাগ, দীপ্তিষ হালদার মনোনয়ন পত্র দেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়ন পত্র উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলিমুজ্জামানের কাছে জমা দেন।

ইন্দুরকানী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান, মো. জিয়াউল আহসান গাজী ও ফায়জুল কবির তালুকদার পত্র জমা দেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামের কাছে।


আরও খবর



তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২ মে। যাচাই-বাছাই ৫ মে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে ও ভোট ২৯ মে।

জাহাংগীর আলম বলেন, ১১২ উপজেলার মধ্যে ২১ উপজেলায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ৯১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে ব্যালটে।


আরও খবর



ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হামাসের জ্যেষ্ঠ এক রাজনীতিক মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে স্বশস্ত্র গোষ্ঠীটি নিরস্ত্রীকরণ করবে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে রূপান্তরিত হবে। খবর সিএনএনের

কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বুধবার এক সাক্ষাৎকারে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া এসব বলেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। দেশটি হামাসকে শেষ করে দিতে শপথবদ্ধ। আর দেশটির বর্তমান নেতৃত্ব ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধী।

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল-হাইয়া যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্ব করেন। ইস্তানবুলে এপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আল-হাইয়া বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ গ্রুপের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তিনি বলেন, হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা মিলে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ইসরাইলের ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রেজল্যুশনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন হামাস মেনে নেবে।

আল-হাইয়া আরো বলেন, যদি তা হয়, তবে তাদের সামরিক শাখা বিলুপ্ত হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা, অধিকার ও রাষ্ট্র পেয়ে গেলে দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা গোষ্ঠীটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর