আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রংপুরে পুলিশ কনস্টেবলের নির্যাতনে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
লালমনিরহাটের মুস্তফি এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসান আলী আশরতপুর ইদগাপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পায়ে সমস্যা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় চালাতেন

রংপুর প্রতিনিধি :

রংপুরে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর বিরুদ্ধে নাজমুল ইসলাম (৩০) নামে এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে হত্যার করা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের করে অভিযুক্ত হাসান আলী ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর আশরতপুর কোর্টপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটের মুস্তফি এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসান আলী আশরতপুর ইদগাপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পায়ে সমস্যা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় চালাতেন। ওই রিকশাটি ছিল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলীর। হাসান আলীর বাড়ি গাইবান্ধায়। তিনি আশরতপুর কোটপাড়ায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করেন।

গত মঙ্গলবার রাতে ওই রিকশা নিয়ে হাসান আলীর সঙ্গে নাজমুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে তাকে বেধড়ক মারধর করেন হাসান আলী। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে কোটপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যান হাসান।

এদিকে বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে পুলিশ সদস্য হাসান।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আলতাব হোসেন জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: রংপুর

আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন শহরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম গ্রহণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, রফিকুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফজিলাতুন নেসা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় পরিচিতি পর্ব। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বিবরণ, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সর্বশেষ হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পগুলোর বিবরণ উপস্থাপন এবং বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪৮টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১১টি বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৫ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এবং দুটি স্থগিত রয়েছে মর্মে জানানো হয়। বাস্তবায়নাধীন ও প্রক্রিয়াধীন প্রতিশ্রুতিগুলোর বিপরীতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রমগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়।

দেশের বিভিন্ন শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহিত প্রকল্পের কাজের গুণগতমান ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ ও মতামত দেওয়ার জন্য বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) জোর সুপারিশ করা হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত সচিব, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর প্রধান, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফের অনিরুদ্ধ রায়ের সিনেমায় দেখা মিলবে জয়া আহসানের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের আলোচিত নায়িকা জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। গত বছর বলিউডের আলোচিত সিনেমা পিংক এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর কড়ক সিং সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন জয়া। আর এবারে এই নির্মাতা বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  সিনেমার  নাম ডিয়ার মা

নতুন সিনেমাটির খবর শেয়ার করেছেন জয়া আহসান নিজেই। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কড়ক সিংয়ের পর আবার আমাকে সিনেমায় সুযোগ দেয়ার জন্য অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীকে ধন্যবাদ। চন্দর রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্চি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেহপুরিয়া ও পদ্মপ্রিয়াদের মতো চমৎকার অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করব ভেবেই আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক। নির্মাণ করেছেন অনুরণন, অন্তহীন, অপরাজিতা তুমির মতো সিনেমা। এরপর বলিউডে নির্মাণ করেছেন পিংক, লস্ট ও সর্বশেষ কড়ক সিং। ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন বুনোহাঁস। এরপর আর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেননি তিনি। ১০ বছর পর  মা-মেয়ের গল্প নিয়ে আংলা সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। আগামী মে মাস থেকে ডিয়ার মা নামের এই ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে। কলকাতা থেকে দেশের একটি সংবাদপত্রকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।  

নতুন সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, অনিরুদ্ধদার সঙ্গে সিনেমা করব বলে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম। আমিও অপেক্ষা করছিলাম, কখন ডাকবেন তিনি। এর মাঝে হিন্দি সিনেমাটা করা হলো।  এই বাংলা সিনেমাটা যখন তৈরি হলো, আমাকে শোনালেন, তখন ভাবলাম, তিনি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এমনটা ভাবছেন। আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে সব চূড়ান্ত হলো।

ডিয়ার মা সিনেমাটার গল্পটা অন্যরকম। সিনেমাটার গল্প এবং নিজের চরিত্র  নিয়ে জয়া বলেন, এটা সম্পর্কের গল্প। অনিদা তো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেন, তেমনই একটা গল্প। মা, মায়ের সন্তান, সম্পর্ক, পরিবার এগুলো নিয়ে এগোবে সিনেমাটা। আমাকে একজন মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথমবারের মতো মায়ের কোনো চরিত্রে অভিনয় করব।

কলকাতায় ডিয়ার মা শুটিং শুরু হবে আগামী মাসে। আর এখনো কলকাতার  প্রেক্ষাগৃহ এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে জয়া অভিনীত ভূতপরী। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে প্রদর্শনের ৭৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এই যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জয়া। কেক কেটে করলেন উদ্‌যাপনও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ভিডিও। 


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



গরু বিতর্কের জবাব দিলেন আশনা হাবিব ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে। ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা। এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না।

হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা। মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী।

ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী। গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে।

গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন। এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না। তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন। নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর