কক্সবাজারের উখিয়ার
বালুখালী ১৮ নং ক্যাম্পে মো. আজিমুল্লাহ (৩৩) নামে এক রোহিঙ্গা নেতাকে গলা ও পায়ের
রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ওই ক্যাম্পের ব্লক-এল/১৬ এর বাসিন্দা কমল উদ্দিনের
ছেলে।
এ সময় আরও দুইজনকে
কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা হলেন- একই ক্যাম্পের ব্লক-এম/৯ এর মনি উল্লাহ ছৈয়দ
করিম (৪০) ও নবী হোসনের ছেলে রহিমুল্লাহ (৪০)।
এ ঘটনায় নিহতের
স্ত্রী সমুদা বাদী হয়ে উখিয়া থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা
ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের
(এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন।
তিনি জানান, ক্যাম্প-২০
থেকে আগত প্রায় ১৫/২০ জন দুষ্কৃতিকারী ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক-বি এর সাব-ব্লক-এম/৯ এ মাঝিরা
ভলান্টিয়ার ডিউটি বণ্টনের সময় অতর্কিত দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে
পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিমুল্লাহকে
মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাকী দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
গত বছরের অক্টোবর মাসে ক্যাম্প-১৮ তে ৬ মার্ডার ঘটনা ঘটার পর থেকে ৮ এপিবিএন সকল ক্যাম্পে
দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে নিয়মিত ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা এবং রোহিঙ্গাদের
দ্বারা স্বেচ্ছায় পাহারা পদ্ধতি চালু করা হয়। যার ফলে দুষ্কৃতকারীরা পার্শ্ববর্তী ক্যাম্প
সহ বিভিন্ন ক্যাম্পে পালিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় পুনরায় ক্যাম্পে তাদের আধিপত্য বিস্তার,
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং স্বেচ্ছায় পাহারা পদ্ধতি অকার্যকর করার উদ্দেশ্যে
বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে এসে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা।
উখিয়া থানার অফিসার
ইনচার্জ শেখ মুহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা নেতাকে খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা
হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।