আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোজার আগে আরেক দফা চাপ বাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভালোমানের ছোলার দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে। অ্যাংকর ও খেসারি ডালের দামও বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। অ্যাংকর ডাল খুচরায় কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও খেসারির ডাল মানভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে বেগুন ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দামও কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পথে। রোজায় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। আর সেই সুযোগে এই সময়ে ওইসব পণ্যের দামও বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ইফতারি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বাড়তির দিকে। গত এক সপ্তাহে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে পরিচিত খেজুর, চিনি, ছোলা, বেসন, পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। রোজার আগে গতকাল শেষ শুক্রবারের বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগের দিনের চেয়ে আরও খানিকটা বেড়ে যায়। ক্রেতারা অনেকেই অভিযোগ করেন, পণ্যের দাম নানাবিধ কারণে যতটা না বাড়ে, কখনও কখনও তার চেয়ে বেশি বাড়ে ব্যবসায়ীদের খেয়ালখুশিতে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে হঠাৎ করে কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। কিছু সচ্ছল মানুষ আছেন যাদের কারও হয়তো এক কেজি ছোলা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি দুই কেজিও কিনে ফেলেন। এমন মনোভাবও বাজারে কৃত্রিম চাপ তৈরি করে। যার কুফল ভোগ করতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আলী হোসেন বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৬৩ থেকে ১৬৫ টাকা, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ ও প্যাকেট ১৪৮ টাকা, ছোলা ৯০ থেকে ১০০, অ্যাংকর ও ডাবলি ৮০ টাকা, বেসন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার মহল্লা পর্যায়ে ছোলা ১১০ টাকা কেজিতে, মোটা মসুর ডাল ১২০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৫০ টাকা, বোতলজাত দুই লিটার সয়াবিন তেল ৩৪০ টাকা, ছোলার বেসন ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মরিয়ম খেজুর মান ভেদে ১৩০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খেজুরের দামও গতবারের চেয়ে এ বছর অনেকটাই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

ডাল ও ছোলার দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ডালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ডলার রেট অন্যতম কারণ। আমরা চাহিদামতো ডলার পাচ্ছি না। তবে এখনও যে পরিমাণ ডাল ও ছোলা আছে তাতে রমজানে সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়।

রমজানের আগে মুরগির দাম এত বাড়ছে কেন তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গত বছরের আগস্ট থেকে করপোরেট কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের চাহিদামতো বাচ্চা দিচ্ছে না। বাচ্চা না পেয়ে অনেকেই খামার বন্ধ রেখেছে। এই ফাঁকে তারা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাজারে মুরগি সরবরাহ করছে। বর্তমানে বাজারের ৫০ ভাগ মুরগি হচ্ছে কন্ট্রাক্ট ফার্মের।

দাম বাড়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে, প্রান্তিক খামারিদের পণ্য পরিবহনে ব্যয় বেড়ে যাওয়া। তার সঙ্গে রয়েছে চাঁদাবাজি। প্রতিটি গাড়িতে চাঁদা দিতে হচ্ছে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় বাজারের চাঁদা, রাস্তায় অন্যান্য চাঁদা মিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ কেবল চাঁদা বাবদ চলে যাচ্ছে। এ কারণেও দাম বেড়ে যাচ্ছে।

সুমন হাওলাদার বলেন, একটি গাড়িতে ২ থেকে আড়াই হাজার মুরগি পরিবহনের সুযোগ থাকলেও করপোরেট কোম্পানিগুলো ১২০০ থেকে ১৫০০ মুরগি পরিবহন করছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রান্তিক খামারিদের বিআরটিএ থেকে গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না। আবার কিছু স্থানে গাড়ি দিলেও তার ওপরে খাঁচা বসাতে দেয় না। সেখানে চাঁদা দিয়ে খাঁচা বসাতে হয়। দিনের বেলা গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না। ইত্যাদি নানা কারণে মুরগির দাম বাড়ছে।

এদিকে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম, সবকিছু ঠিক থাকলে ৫০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হতো। কিন্তু নির্বাচনের আগে ভোক্তা অধিদপ্তর সাড়ে ৬০০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে কোথাও কোথাও প্রায় ৮০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। এ কারণে প্রায়ই টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার সকালে নতুন করে বিজিপির ৯ সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের বিজিবির সদস্যরা নিরস্ত্র করেন।

এর আগে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন এবং নাইকংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৮০ জন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া নাইকংছড়ি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে ১৮০ জন সদস্য।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।


আরও খবর



রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে রুমা থানায় তিনটি এবং থানচি থানায় একটি মামলা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মামলাগুলো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা থানায় ৫০-৬০ জন নাম না জানা ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে। এছাড়া, গত বুধবার দুপুরে থানচি কৃষি ব্যাংকে টাকা লুটের ঘটনায় থানচি থানায় ৩০-৪০ জনকে নাম না জানা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।

থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, আজ শুক্রবার রুমা কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার হ্লা শৈ থোয়াই মারমা বাদী হয়ে ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে মামলা করতে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ ওষুধের তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাপ বাড়ছে শিশু রোগীর। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচজন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভর্তি থাকা রোগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে গরমজনিত কারণে নতুন নতুন রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারজন ডাক্তার বহির বিভাগে তিন থেকে চার'শ রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। তারপরেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত ১৪/১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ডিগ্রি ওঠানামা করছে। ফলে বিভিন্ন বয়সি রোগীর পাশাপাশি শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে এত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের।

শিশু রোগীর বাবা আল-আমিন বলেন, প্রচন্ড গরমে গতকাল আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখানে এসে দেখি শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশি। ডাক্তার নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কিন্তু সব ওষুধ বাহীর থেকে আনতে হচ্ছে নার্সদের কাছে ওষুধ চাইলে ওষুধ নেই ওষুধ সংকট বলে ওষুধের টোকেন দিয়ে কিনে আনতে বলছে বাধ্য হয়ে কিনে আনতেছি।

তিনি বলেন, তবে এত বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় গরমে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। রাতে বিদ্যুৎ না থাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নবজাতক শিশুর টিকা নিতে আসা এক মা শারমিন আক্তার বলেন, শিশুর টিকা দিতে আসতেছি কয়েকদিন থেকে শুধু ঘুরে যাচ্ছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা শেষ হয়েছে কখন আসবে তাও জানেন না।

টিকাপ্রদানকারি নার্স জানান, প্রায় ১ মাস থেকে ডিপিটি, পিসিভি ও বিওপিভি টিকার সংকট দেখা দিয়েছে টিকা না থাকলে আমাদের কিছু করার নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সারা দেশের মতো সুন্দরগঞ্জে দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে এখনো হিট স্ট্রোকে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজয়ানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ফলে রোগীর চাপ একটু বেশি।

ওষুধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বছর শেষে কিছু ওষুধ ও শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে আমরা চাহিদা পাঠানো হয়েছে আশাকরি দ্রুত ওধুষ ও টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ মুহাম্মদ আমরুল্লাহ সাথে মোবাইলে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া ২২ জনকে সহযোগিতা করছে সংস্থার সদস্যরা।

আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়।

গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।


আরও খবর