আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাবিনাদের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর কেমন দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিঙ্গাপুর নারী ফুটবল দলের মরোক্কান কোচ করিম বেনশেরিফা নিজের লক্ষ্যটা লুকাননি। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকেই নিয়েছেন আগামীর প্রস্তুতি হিসেবে। সিঙ্গাপুর নিজেদের মেয়েদের দলটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ সেই প্রস্তুতিরই অংশ। আজ বিকেল চারটায় কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাবিনাসানজিদাতহুরামাসরুরাদের বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চান সিঙ্গাপুর কোচ বেনশেরিফা।

মেয়েদের ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৩০। বাংলাদেশের ১৪২। সিঙ্গাপুরের কোচ অবশ্য নিজেদের বাংলাদেশের চেয়ে খুব এগিয়ে রাখতে চান না, ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে আমরা এগিয়ে। তবে আমি মনে করি না, আমরা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ খুব ভালো দল। ম্যাচটা যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই হবে বলে মনে করি আমি।

সিঙ্গাপুর দলটি আসলে কেমন? বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু মনে করেন, শারীরিক দিক দিয়ে দলটি বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও মাঠে লড়াইটা হবে সমানেসমান, ওদের দলটিকে যা দেখেছি, মনে হলো শারীরিক দিক দিয়ে ওদের মেয়েরা এগিয়ে। ওদের লম্বা খেলোয়াড় কয়েকজন আছে। লম্বা খেলোয়াড়েরা বাতাসে সুবিধা পাবে। কিন্তু আমরাও পিছিয়ে নেই। আমার দলে কুশলী খেলোয়াড় আছে। আমার দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। মাঠের লড়াইটা বেশ সমানেসমানই হবে বলে আমি মনে করি।

সাবিনা খাতুনদের কাছে সিঙ্গাপুর খুব একটা অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয়। সিঙ্গাপুরের খেলোয়াড়দের মুখগুলো ভালোই চেনা বাংলাদেশের মেয়েদের। গত সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজু এশিয়ান গেমসে গেমস ভিলেজে সিঙ্গাপুর দলের সঙ্গেই ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রতিদিনই সকালের নাশতার টেবিলে দেখা হতো দুই দলের খেলোয়াড়দের। সেই সিঙ্গাপুর আবার মাঠের প্রতিপক্ষ হিসেবে কিছুটা অপরিচিতই। এ দলটার সঙ্গে একটাই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ৬ বছর আগে ৩-০ গোলে হারা সেই ম্যাচটিতে খেলেছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

বাংলাদেশ হাংজু এশিয়ান গেমস থেকে একটা পয়েন্ট অন্তত নিয়ে ফিরতে পেরেছে। সিঙ্গাপুরের এশিয়াডঅভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়, বাংলাদেশের তুলনায় তো বটেই। দুই দলই এশিয়াডে মেয়েদের ফুটবলের দুই ফাইনালিস্টকে পেয়েছিল নিজেদের গ্রুপে। বাংলাদেশ জাপানের কাছে ৮-০ গোলে হেরেছিল। উত্তর কোরিয়ার কাছে সিঙ্গাপুর হেরেছিল ১০-০ গোলে। সিঙ্গাপুর যে গ্রুপে খেলেছিল, তাতে দল ছিল দুটিই। সে কারণে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও আরেকটি ম্যাচ খেলেছিল তারা। সেটিতে হার ৭-০ গোলে। সিঙ্গাপুরের সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর ফলে চোখ বোলালেও সাবিনারা সাহস পেতেই পারেন। সর্বশেষ আট ম্যাচে তাদের জয় দুটি। পাকিস্তান ও লাওসের বিপক্ষে।

তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অনভ্যাস সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ভোগাতে পারে সাবিনাদের। গত বছর সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর থেকেই বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবলটা একটু যেন এলোমেলো। সাফ জেতার পর ১০ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলারই সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশের মেয়েদের। বসে থাকার এই সময়টা অনেক ওলটপালটও দেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড় অভিমান করে কিংবা পারিবারিক কারণেই অবসরে গেছেন। দীর্ঘদিনের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন দায়িত্ব ছেড়েছেন। গত জুলাই মাসে নেপালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ম্যাচঅনুশীলনের অভাবটা ভালোই বোঝা গিয়েছিল। শুধু অনুশীলনকে পুঁজি করে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে বিশ্বমানের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে মেয়েদের। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জাপানের কাছে ৮০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর ভিয়েতনামের বিপক্ষে ৬১ গোলের হার। নেপালের বিপক্ষে যে ম্যাচটিকে জয়ের লক্ষ্য বানিয়ে খেলতে যাওয়া হয়েছিল, জেতা হয়নি সেটিও (১১ ড্র)। সব মিলিয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ম্যাচ না খেলতে পারার ব্যাপারটি ভোগাচ্ছে দলকে। এর ওপর দলের সবচেয়ে কুশলী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকারের অনুপস্থিতি চিন্তায় ফেলছে সবাইকে।

সিঙ্গাপুরের মান যাই হোক, পেশাদার কাঠামোর মধ্যেই তাদের বিচরণ। দেশটিতে মেয়েদের ফুটবল লিগ নিয়মিত। ২০২৩ সালেই সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ৮টি। সামনেও যে প্রতিটি ফিফা উইন্ডো ব্যবহার করার পরিকল্পনা তাদের, সেটি কোচ বেনশেরিফা নিজেই বলেছেন, নিজেদের দলকে আমরা নতুন করে তৈরি করছি। সামনে ফিফা উইন্ডোতে যে ম্যাচগুলো আছে, সেগুলো খেলব। এর আগে বাংলাদেশে এসেছি নিজেদের ঝালিয়ে নিতে। আমাদের প্রস্তুতি কতটা হয়েছে, আরও কতটা লাগবে, সেটা বুঝতে পারব বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে। এশিয়াডে আমরা বাংলাদেশ দলকে দেখেছি। দলটা যথেষ্ট ভালো। আমরা এ ম্যাচটিকে প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছি।

সিঙ্গাপুরের কোচ বেনশেরিফা এমন কথা বলতে পারছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী জানেন না, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এ দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর আবার কবে জাতীয় দল মাঠে ফিরবে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের দাবিটা জানিয়ে রেখেছেন, আমরা সারা বছর ট্রেনিংয়ের মধ্যেই থাকি। কিন্তু ম্যাচ খেললেই আসলে বোঝা যাবে, এই ট্রেনিং কতটা কাজে এসেছে। আমরা এমন ম্যাচ বেশি করেই খেলতে চাই। নিয়মিতই খেলতে চাই।

নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ঘাটতি নিয়ে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানটা বাংলাদেশের মেয়েরা অতিক্রম করতে পারবে কি না, সেটি আজ কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামেই দেখা যাবে।


আরও খবর



আরও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ মে) থেকে অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পত্রের জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্য রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আরও আবেদন রয়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরের আমদানিকারকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের ওপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ভারত থেকে টন প্রতি ৫৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।


আরও খবর



অতিতীব্র তাপদাহে ফের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। পুড়ছে পুরো দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ দফায় বাদ পড়ছে সিলেট অঞ্চল। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু গরমের তীব্রতা না কমায় আজ থেকে ৫ম দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শুরু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দিন দিন এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ বাড়ছে আর কমছে বজ্রঝড়ের সংখ্যা। চলতি এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ৭-৮টি কালবৈশাখী-বজ্রঝড় হয়। কিন্তু এই বছর হয়েছে মাত্র একটি। এবার এ ঝড়ের সংখ্যা সামান্য। যা হয়েছে সিলেট বিভাগেই।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া, কোন রুটে কত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার মধ্য দিয়ে এ সিদ্ধান্ত আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর হচ্ছে। ফলে প্রায় সব রুটের ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এ ছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং না করে যত দ্রুত পারা যায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।

লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামে লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং।

তেলের যে সমস্যা ছিল সেটি কেটেছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটাই ব্যবস্থা চলছে।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম সে পর্যন্ত আমরা গেছি। তার ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থাপন। তবে সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।


আরও খবর