আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পেরোলেও খুনিরা অধরাই

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পার হচ্ছে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। এরপর শত শত ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়েছে। গত ১১ বছরে ৯৬ হাজার ৩৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও এর কোনো কূলকিনারা হয়নি।

এ হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে এরই মধ্যে ৯৫ বার সময় নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তারা। দীর্ঘ এ সময়ে মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ সাগর-রুনির পরিবার। তাদের প্রশ্ন, মামলায় তদন্ত শেষ করতে আর কত সময় লাগবে? তবে তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, গুরুত্ব সহকারে মামলার তদন্ত চলছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। অথচ এরই মধ্যে ৯৬ হাজার ৩৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এত সময় পার হলেও এখনো মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি। যদিও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদের সহকর্মীরা।

দীর্ঘ এ ১১ বছরে মামলার তদন্তকারী সংস্থাও পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার হস্তান্তর হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার যায় র‌্যাবে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ১০ বছর ১০ মাস গড়ালেও র‌্যাব এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি আদালতে। বারবার পেছাতে পেছাতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়েছে ৯৫ বার। সবশেষ ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিনও তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ মার্চ নতুন দিন ঠিক করেন।

এদিকে, মামলার পর রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অপর আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র জামিনে আছেন। অপর আসামিরা এখনো কারাগারে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নওশের আলম রোমান বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর হয়ে গেলো। ১১ বছরের মধ্যে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত শেষ করতে আর কত সময় লাগবে সে প্রশ্ন আমাদের। গত ১১ বছরে আমার চোখের সামনে অনেক আলোচিত হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। সেসব মামলার আসামিদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু কোন অদৃষ্ট শক্তির কারণে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আটকে আছে? সরকারের কাছে আমাদের পরিবারের দাবি এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেন দ্রুত উদঘাটন করে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম বলেন, মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্ব সহকারে মামলার তদন্ত চলছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর হয়ে গেছে। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত দিয়ে দেওয়া উচিত।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, দীর্ঘ ১১ বছরেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। অথচ সব তারিখেই (তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন) আসামিদের আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আমরা আশা করছি আলোচিত এ মামলার তদন্ত যেন দ্রুত শেষ হয়। আসামিরা অপরাধী হলে সাজা পাবে, অপরাধী না হলে খালাস পাবে।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বনকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এ আগুনের সূত্রপাত বলেও জানান তিনি।

আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আগুনের এ ঘটনায় বনের পশু এবং কী পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি। 

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর



ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রয়োজনে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। কারণ ধীরে ধীরে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, সামনের হিটওয়েভের জন্য প্রস্তুতি আছে। সময়মতো অর্থের জোগান দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তিতাসের পুরানো লাইন সংস্কারের পরিকল্পনা আছে। এই সংস্কার করানো গেলে গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে। এছাড়া আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট দুটো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

ডলারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে ফের দেড় হাজার শতবর্ষী গাছ কাটার তোড়জোড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

রাস্তা সম্প্রসারণ ও সড়ক দুর্ঘটনার অজুহাতে ফের জেলা পরিষদের দেড় হাজার শতবর্ষে গাছ কাটার তোড়জোড় শুরু করেছে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

এর আগে বছরখানেক আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ২ হাজার ৭৮৬ টি শতবর্ষী গাছ কেটে রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নিয়েছিলো মেহেরপুর সড়ক বিভাগ। আর সেই গাছ মুহুর্তের মধ্যেই কাটা হয়ে গেছিলো। গাছ কাটা হলেও নতুন করে লাগানো হয়নি একটিও গাছ।

রাস্তার দুপাশ এখন ধু ধু মরুভূমি। গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশবাদিরা ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সে-সময়। শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল, বাবলা ও নিম গাছগুলো কাটার কারণেই চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো মেহেরপুর-মুজিবনগর ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আরও ১ হাজার ৪৪০ টি গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে মেহেরপুর সড়ক বিভাগ।

ইতিমধ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদ বরাবর একটি চিঠি দিয়ে গাছগুলো কাটার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

মেহেরপুর সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। যাতে প্রধান বাধা হয়ে আছে রাস্তার পাশে ৯৭৬টি ছোট বড় বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ। এছাড়াও মুজিবনগর সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানোর অযুহাতে কাটা হবে আরও ৪৬৪টি গাছ। এই সড়কে শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল ও নিম গাছগুলোকে সড়ক বিভাগ লাল রং করে নাম্বারিং করে গেছে। কিছু গাছ রয়েছে সড়কের কিছুটা উপরে, আবার বেশির ভাগ গাছ রয়েছে সড়কের বাইরে। তবে প্রায় সবগুলো গাছেই নাম্বারিং করা হয়েছে। এসব গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে যদি ফের দেড় হাজার শতবর্ষী পুরানো গাছগুলো কাটা হয় তবে মেহেরপুর আর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাছ না লাগানোই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার পথচারী ও এলাকাবাসী।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গাছগুলো রাস্তার উপরে চলে এসেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গাছগুলোর কারণে সড়ক সংস্কার বা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা জেলা পরিষদকে চিঠির মাধ্যমে তালিকাসহ জানিয়েছি। এবং কাটার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, আমরা একটি তালিকাসহ চিঠি পেয়েছি। আমাদের সার্বেয়ার (পর্যবেক্ষক) যাবে। তারা যেগুলো কাটা প্রয়োজন বলে মনে করবে সেগুলোই কাটা হবে বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।


আরও খবর



আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আজ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর