আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

শাহজালালে যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর থেকে আসা এক যাত্রীর কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। তবে ওই ব্যক্তির নাম জানাতে পারেননি ভুক্তভোগী। গতকাল রোববার (১৫ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানান বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার এসআই আজিজ।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ভেতরে দুই যাত্রী এই স্বর্ণ লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কান্নাকাটি করছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। আর এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি।

ভিডিওতে স্বর্ণ হারানো এক যুবক বলেন, আমার কাছে ২৯ গ্রাম স্বর্ণ ছিল। আরও একটা চেইন মায়ের জন্য কিনেছিলাম। সাথে দুটি মোবাইল ফোনও নিয়ে গেছে ভাই। 

আরও পড়ুন>> গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ভিডিওর আরেক অংশে আরেক যুবক বলছিলেন, স্বর্ণগুলো আমার হাতেই ছিল। তাদের একজন আইসা বলতেছিল, তুই এগুলো নিয়া যাবার পারবি না। আমাগো দিয়া যা। এরপর তার হাত থেকে জোর করে স্বর্ণগুলো সেই ব্যক্তি নিয়ে যান।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তারা বিমান থেকে নামার প্রায় দুই ঘণ্টা পর একজনের লাগেজ আসে। বিষয়টি তখন সন্দেহ হয়। পরে তিনি লাগেজ পেলেও সেটি খোলা পান। এরপর সবকিছু চেক করে দেখতে পান তার আনা স্বর্ণগুলো নেই।


আরও খবর



বন্যায় আক্রান্ত সিলেট: পানিবন্দি সাত লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

মাত্র ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরের ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। বন্যায় ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সুরমা নদী ছাপিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এটি প্লাবিত হলে দক্ষিণ সুরমার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারেন।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ। নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন তারা।

গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই গত শনিবার ফের কবলিত সিলেট।

সোমবার ঈদের দিন ভোর রাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সাথে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। জেলার বিভিন্ন স্থানেও অবনতি হয় বন্যা পরিস্থিতির। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। ঈদের দিন দুটি নদীর পানি ২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে ৪টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকালে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় পানি আরও বেড়েছে।

চৌকিদিঘির বাসিন্দা মতিন মিয়া জানান, ঘরে কোমর পানি, আমার পরিবার গাঙ্গের হপাড় রাইক্কা আইছি আশ্রয়কেন্দ্রত। একবারে নিরাশ অবস্থা, খাবারদাবার কিচ্ছুই নাই। এই অবস্থার মাঝে আছি। আমরা বারবার ভোগান্তির শিকার হইরাম। কেউ দেখেরও না। সরকারের পক্ষ থাকিও কুন্তা দেয়া ওর না।

এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আর সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৬ লাখ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যাকবলিত।

এছাড়া মহানগরের মধ্যে অনেক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি রয়েছে। এয়ারপোর্ট সড়ক, সিলেট-তামাবিল সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পানির নিচে। এদিকে মহানগর পুরোটা না হলেও জেলার সব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী ৩ দিন সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সময় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বুধবার দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১ শ' মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ সহায়তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার খবর রাখছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি কর্পোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সংসদ সদস্য হবার পেছনে নিরাপদ খাদ্যের বড় ভূমিকা আছে: ফেরদৌস

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছর মেয়াদে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে এক বছরের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, গত দশ পনেরো বছর ধরে আমি চেষ্টা করছি ভিন্ন কিছুর সাথে সম্পৃক্ত হতে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। আমার মনে হয়, সংসদ সদস্য হবার পেছনে নিরাপদ খাদ্যের একটা বড় ভূমিকা আছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যক্রমকে সম্প্রসারণ ও জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমদের সাথে এক বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌস বলেন, নিরাপদ খাদ্যের সাথে যখন সংযুক্ত হলাম, এরপর থেকে মাঠে-ঘাটে, জন-প্রান্তরে, মানুষের সাথে মেশার যে ব্যাপারটা ছিলো, সেটা কিন্তু এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, যারা ভেজাল দেয়, তারা একদিনে শুধরাবার না। এটা দীর্ঘদিনের অনুশীলনের বিষয়। তাই নিরাপদ খাদ্যের কাজটা আরো নিষ্ঠার সাথে সুন্দরভাবে করতে হবে। তিনি আরো সরবভাবে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা না করে অন্যান্য বিভাগে ও জেলাসমূহেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া। তিনি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকে সাথে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যেহেতু তিনি (ফেরদৌস) এখন নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত আছেন, তাই আমরা চাইবো তিনি যেনো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, এ চুক্তির ফলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি দেশের জনসাধারণের কাছে আরো উজ্জ্বল হবে।

উল্লেখ্য যে, গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেরদৌস আহমেদ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পূনরায় তাঁকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।


আরও খবর



নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যারিস্টার সুমন, শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী টিম মাঠে নেমেছে- এমন তথ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

শনিবার রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় এই সাধারণ ডায়েরি করেন ব্যারিস্টার সুমন।

এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টায় আমার নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার সরকারি মোবাইল থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।

তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন। এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি।


আরও খবর



হিতকরীর অনন্য উদ্যোগ ‘ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

মায়ানী গ্রামের আফিয়া খাতুন। ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বহু কষ্ট করে গত সপ্তাহে খুজে নিলেন উপজেলার আবুতোরাবস্থ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েলকে। তাকে জড়িয়ে ধরে জানালেন নিজের অসুবিধার কথা। বললেন ছেলেরা কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। একজন আরেকজনের কাছে চলে যেতে বলেন। আজকে ৮ মাস প্রেসার বাত ব্যথায় নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি, হাঁটার শক্তিও নেই যে সরকারি ডাক্তারখানায় যাব, চিকিৎসা নেব, কেউ টাকা দেয় না যে ওষুধ কিনে খাবো!

তার শারীরিক অবস্থা দেখে হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল ইসলাম রয়েল সিদ্ধান্ত নেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে যাবেন তাঁর বাড়িতে। পরামর্শ নিলেন ওই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদের। তাঁর শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও রাজি হলেন সেবা দিতে। তারা এই ক্যাম্পেইনের নাম দিলেন ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি

এবার তাঁরা চান আরেকটু বড় পরিসরে। প্রস্তুতি নিলেন ১০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসাপত্র, চেকাপ ও ওষুধ প্রদান করার। এর মাঝে বাঁচাই করতে গিয়ে দুইটি ইউনিয়নে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন। মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে এতগুলো রোগীকে ভালো করে ফলোআপ করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় হিতকরীর স্থায়ী কমিটির সমন্বয়ক আলতাফ হোসেন জানালেন ডা. জয়নাল আবেদিনের কথা। বিষয়টা জানালে তিনি সদিচ্ছা প্রকাশ করেন।

তাঁরা দুইটি টিমে ভাগ হয়ে দুই ইউনিয়নে দিনব্যাপী রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন। ডা. জয়নাল আবেদিন মঘাদিয়া ইউনিয়নে ১০ জন চলাচলে অক্ষম বৃদ্ধ বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন। এবং মায়ানি ইউনিয়নে ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদ ১৪ জন ও সাহেরখালী ইউনিয়নের ১ জনসহ মোট ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন কথাগুলো বললেন হিতকরী-র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কমিটির পরিচালক শহিদুল ইসলাম রয়েল।

জানতে চাইলে হিতকরীর সভাপতি জহির উদ্দিন রনি বলেন, আমরা চাই দানবীরদের প্রতিটি টাকা মানুষের কাজে লাগুক। যেসব পদক্ষেপ নিলে আর্ত পীড়িত মানুষ দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হয়, আয়োজনে তা সীমিত হলেও হিতকরী নীতিগতভাবে সেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। রোগিদের প্রাথমিকভাবে এক মাসের ঔষধ দেয়া হয়। ইনশাআল্লাহ স্লিপের বাকি ঔষধগুলোও পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা হবে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মায়ানী মঘাদিয়া ইউনিয়নের আমাদের দুই গর্ব ডা. জয়নাল আবেদিন ও ডা. নুর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদকে।

হিতকরীর নির্বাহী পরিচালক নুরুচ্ছালাম ভূঁইয়া ফোরকান বলেন, স্বয়ং ডাক্তার নিজেই রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দেবে- এটি অনেক রোগীর জন্য সারপ্রাইজ ছিল। একজন বৃদ্ধা মাকে আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি ফেলতে দেখে আমরাও আবেগাপ্লুত হয়েছি। অনেক রোগী হাত তুলে দোয়া করেছেন ডাক্তারের জন্য, সংগঠকদের জন্য, যারা নাম গোপনে অর্থায়ন করেছেন তাঁদের জন্য। এই আয়োজনে সম্পৃক্ত সবাইকে আল্লাহ যেন এর সর্বোত্তম বিনিময় দেন সেই দোয়া করি।

নিউজ ট্যাগ: ডাক্তার

আরও খবর



বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলের রিডিংরুমের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক আবাসিক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রোভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস। মৃত ছাত্রীর নাম শেফা নূর ইবাদি (২৪)। তিনি ববির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তার সহপাঠীরা জানান, শেফাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর দ্রুত তাকে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেফা ব্যক্তিগত কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আরও একবার আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের প্রোভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস বলেন, রিডিং রুমের বারান্দা থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর