আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিশুদের সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিশুদের সংস্কৃতিচর্চাকে অপরিহার্য বলে বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেইসঙ্গে মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তারে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা মিলনায়তনে নর্থ বেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরাম-এনবিজেএফ আয়োজিত শিশু সংগঠক ও সাংবাদিক রফিকুল হক (দাদু ভাই) স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী এসময় রফিকুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শিশুদের প্রতিভা বিকাশে তার ভূমিকা অনুসরণীয়। এজন্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেছেন, দাদু ভাই না থাকলে তার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না।

শিশুপ্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশু-কিশোরদের 'নতুন কুঁড়ি' অনুষ্ঠানটি আবার চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান এবং সংবাদপত্রগুলোতে সাপ্তাহিকভাবে শিশুতোষ পাতা প্রকাশের অনুরোধ করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মাঝেমধ্যে যে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের আস্ফালন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়, এসব আরো কমে যাবে- যদি আমরা শিশুদেরকে সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়তে পারি, তাদের ভেতরে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সঞ্চার করতে পারি।

সাংবাদিকবৃন্দ দেশের মানুষের মনন তৈরিতে সক্ষম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকদের হাতে কলম রয়েছে, ক্যামেরাও আছে। মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তারে কাজ করে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

দৈনিক বর্তমানের নির্বাহী সম্পাদক ও এনবিজেএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজমুল হক সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামালসহ এনবিজেএফের সদস্যবৃন্দ বক্তৃতা দেন।


আরও খবর



মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজস্থানে মসজিদের ভেতর ঢুকে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আজমিরের মোহাম্মাদি মাদানি মসজিদের এ ঘটনায় তিন মুখোশধারী অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

নিহত মাওলানা মোহাম্মাদ মাহির মসজিদের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগঞ্জ থানার রবীন্দ্র খিঁচি। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই রাতে মাওলানা মাহির একটি কক্ষে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে শিশুরা চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন তিনজন ইমামের ফোনটি নিয়ে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাহিরের ভাই মোহাম্মাদ আমির বলেন, তারা তিন ব্যক্তির নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাহির তাকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তার মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট। তারা মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তিনি কখনও আজমিরে থাকতে পছন্দ করতেন না। গেল অক্টোবরে তার গুরু মাওলানা জাকির হোসাইন মারা গেলে তাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছে। মসজিদের কাছ থেকে দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লাঠিগুলো হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশের ডগ স্কোয়াড টিম।

সাত বছর আগে উত্তর প্রদশের রামপুর থেকে আজমিরে আসেন মাহির। তার মরদেহ রামপুরে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন।

ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’


আরও খবর



হিলি বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পর এল পেঁয়াজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক। তিনি জানান, হিলি বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বগুড়ার মেসার্স আরএস এন্টার প্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গত ৪ মে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আজ প্রথম হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পুড়ে গেছে ৬০ একর ধানখেত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

উচ্চ তাপপ্রবাহে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বোরো ধান আবাদে কৃষক যখন নাজেহাল। ঠিক তখনই ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশত কৃষকের ৬০ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতি পূরণের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রমিজ আলমসহ কৃষি কর্মকর্তারা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুড়ে যাওয়া ধান পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, জেলার পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশেপাশের ঢাকাইয়া শাহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর তীব্র গরম বাতাসে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ফসল ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ইটভাটার ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধানখেত পুড়ে গেছে। পরবর্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ইটভাটা মালিককে ক্ষতি পূরণ দিতে অনুরোধ জানালেও তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেন নি। উপায় না পেয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বুধবার (৮ মে) উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কৃষকরা জানান, তীব্র দাপদাহের মধ্যে ঋণ মহাজন করে অতিরিক্ত খরচে ধান আবাদ করেছি। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা পুড়ে হলুদ হয়ে গেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই আঠালো হয়ে গেছে। শীষে কোনো ধান নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন জানান কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়।

এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে ফসলি জমির ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষক।

আর কৃষকের ক্ষতি পূরণ প্রদানে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রমিজ আলম।


আরও খবর



তাপমাত্রার মতোই বেড়েছে সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যেরই। পাশাপাশি বাজারে কমেছে ক্রেতা উপস্থিতি।

বাজারে প্রতিকেজি শসা ৪০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা কেজি, টমেটো কেজি ৪০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়েছে আলু ও বেগুনের। প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়েছে খরচ। যার প্রভাবে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম বাড়ায়, রাজধানীর বাজারগুলোতেও বেড়েছে দাম।

আর ক্রেতারা বলছেন, বাজার আগে থেকেই চড়া। তার ওপর তীব্র গরমের সুযোগ লুফে নিয়ে আরও দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তীব্র গরমে যখন গরম সবজির বাজার, ঠিক তখন উত্তাপ ঝরছে মাংসের বাজারেও। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত সোনালি মুরগি ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা, ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের দাবি, গরমে খামারে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে লোকসান থেকে বাঁচতে খামার পর্যায়ে বেড়েছে দাম। ফলে প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

অন্যদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

গরমেরও উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। চড়া বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দাম। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৬০-১৭০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর