আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে, শান্তির মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা পেরেছি, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করেছি আলোচনার মাধ্যমে, তাহলে আজ কেনো এই অস্ত্র প্রতিযোগীতা?

আরও পড়ুন: ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী

আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিশ্বের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অস্ত্র প্রতিযোগীতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেই অর্থ কেনো ব্যয় হয় না ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য? এই অস্ত্র প্রতিযোগীতার কারণে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ, শিশু, নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি, তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। কাজেই আমরা চাই, বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা কঠিন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

জাতির পিতার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকার প্রধান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথাই তিনি বলে গেছেন।

জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি আমরা আজও মেনে চলি। মেনে চলতে চাই। কারণ বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। অথচ যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঘানায় নৌ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত

তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এ দেশে কেউ দরিদ্র, ভূমিহীন থাকবে না। সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক ক্যু হয়। অনেককে হত্যা করা হয়। এমন একটা অশান্ত পরিবেশে দেশের মানুষকে ২১ বছর কাটাতে হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে উন্নয়নমূলক কাজ করতে শুরু করি। মাঝে আবারও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, দুর্নীতি, অর্থপাচার করে দেশটাকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধকন্যা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান। এজন্যই আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়ন কাজ করেছি। এজন্য দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, আয়ুষ্কাল বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুহার কমাতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মার্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।


আরও খবর



কোন সাত খাবার স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু জেনে রাখুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারগুলো জরুরি। এ পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ না করলে শারীরিক নানা সমস্যা হয়। তাই নিত্যদিনের খাদ্যাভাসে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখা দরকার, যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সাতটি খাবার আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।

বাদাম

বাদাম অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করে। এটি প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও ক্যালোরিতে ভরপুর। তাই এই বীজ জাতীয় খাবারটি  রান্নার পাশাপাশি নাস্তায় খালি মুখেও খাওয়া হয়। বাদামে থাকে অধিক পরিমাণে লিনোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডসহ প্রয়োজনীয় ফ্যাট। অনেক বাদামে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-২, ফোলেট, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, তামা এবং সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে।

বাদাম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সেরা উৎস। বাদামের পলিফেনলসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই র‍্যাডিকেলগুলো মূলত অস্থির অণু, যেগুলো কোষের ক্ষতি করে রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বাদাম এলডিএল কমাতে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বা উচ্চ ঘনত্বের তথা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া হজম সমস্যা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বাদাম অন্যতম সেরা খাবার হতে পারে। কেননা প্রথমত, এতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বাড়ায় না।

বাদামের রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ-বিরুদ্ধ বৈশিষ্ট্য। এটি শরীরের আঘাত, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক প্যাথোজেন থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। বাদামে থাকা ফাইবার শরীরকে দীর্ঘক্ষণ যাবত পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে। ফলে অল্প গ্রহণ করেই খিদে মেটানো সম্ভব হয়, যা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক।

ফল

যেকোনো সময়ের নাস্তার জন্য ফল একটি স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার। বিভিন্ন সময়ের মৌসুমী ও বারমাসি ফলগুলো প্রতিটি দিনকে রোগমুক্ত করতে যথেষ্ট। আপেল ও জাম্বুরা জাতীয় ফল ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হৃৎপিণ্ডকে হাজার রোগ থেকে রক্ষা করে।

ফলের মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রেচক বৈশিষ্ট্য বজায় এবং মানবদেহে হজম প্রক্রিয়া সাবলীল রাখে। এমনকি এটি কিডনিতে পাথর তৈরিতেও বাধা দেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল যেমন আপেল, কলা এবং আমেও রয়েছে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য। এই সবকিছু স্থূলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ কলা, কমলালেবুর মতো ফলে কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি কম থাকায়, এগুলো দেহে স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেঁপে, পেয়ারা ও আমলকি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী। অধিকন্তু, এগুলোতে কোনো কোলেস্টেরল থাকে না, যা কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

ফলে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। পেঁপে ও নারকেলের মতো ফল বিভিন্ন চর্মরোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ভিটামিন যুক্ত ফল চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

বীজ

দানাদার খাবারের চাহিদা পূরণে বীজ একটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। বিভিন্ন বীজের মধ্যে তিসি হলো একই সঙ্গে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাট, ও লিগন্যানের যোগানদাতা। এগুলো কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এবং এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

চিয়া বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটের একটি ভাল উৎস, যা কার্যকরভাবে রক্তে শর্করা কমানো এবং হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলো হ্রাস করে।

শস্যের বীজে রয়েছে-প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এই বীজের তেল এক্সিমা এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থার লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে। তিলের বীজে থাকা লিগন্যান প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর জন্য সহায়ক।

কুমড়ার বীজের তেলে আছে ওমেগা-৬ ফ্যাট, আর এটি হার্টের স্বাস্থ্য এবং মূত্রনালীর রোগের লক্ষণগুলো উপশমে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সূর্যমুখী বীজেরও ওমেগা-৬ ফ্যাটের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে এটি প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন>> লাউ শাক কেন খাবেন?

গাঁজর

স্বাস্থকর উপাদেয় একটি সবজি হলো গাঁজর। কাঁচা গাঁজরে আছে ৮৮ শতাংশ পানি, ৯ শতাংশ শর্করা, শূন্য দশমিক ৯ আমিষ, ২ দশমিক ৮ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার, এবং শূন্য দশমিক ২ শতাংশ চর্বি। গাঁজরের আলফা এবং বিটা-ক্যারোটিনগুলো আংশিকভাবে ভিটামিন এ-তে বিপাকিত হয়। গাঁজর ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি-৬ এ ভরপুর।

গাঁজর খেলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া এটি চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে দর্শনেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখে। উপরন্তু, এই সবজি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি কার্যকর খাদ্য-উপাদান।

দই

দই হলো দুধের ব্যাকটেরিয়া গাঁজন দ্বারা উৎপাদিত একটি খাদ্য। এতে ৮১ শতাংশ পানি, ৯ শতাংশ আমিষ, ৫ শতাংশ চর্বি, এবং ৪ শতাংশ শর্করার সমন্বয়। এর প্রতি ১০০-গ্রাম ৯৭ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি প্রদান করে। দই ভিটামিন বি-১২ এবং রাইবোফ্লাভিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যেখানে প্রোটিন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের পরিমিত উপাদান রয়েছে।

এতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি এবং ট্রেস খনিজ রয়েছে। দই প্রায়ই প্রোবায়োটিকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা ইমিউন, কার্ডিওভাসকুলার, বা বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দই এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে এবং রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। দইয়ে থাকা আমিষ সামগ্রিকভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

চালের কেক

পাফ করা চাল থেকে তৈরিকৃত এই খাবারটিতে রয়েছে ৩৫ ভাগ ক্যালোরি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ৭ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৭ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম ফাইবার, শূন্য দশমিক ৩ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ, শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ৩২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, এবং ২ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম।

গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, এই ফাইবার মানবদেহের অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করে। এই ব্যাকটেরিয়া মূলত ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। রাইস কেক স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার জন্য সহায়ক। যেহেতু বাদামী রঙের চালটি প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন-মুক্ত, তাই যারা গ্লুটেন খেতে পারেন না, তাদের জন্য এই কেক একটি চমৎকার খাবার।

পিনাট বাটার

আমিষে ভরপুর পিনাট বাটার প্রকৃতপক্ষে চিনাবাদাম দিয়ে তৈরি একটি পেস্ট। এর ১০০-গ্রাম ৫৯৭ ক্যালোরি সরবরাহ করতে পারে। এটি ৫১ শতাংশ চর্বি, ২২ শতাংশ আমিষ, ৫ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার সহ ২২ শতাংশ শর্করা, এবং ১ শতাংশ পানি দিয়ে গঠিত। 

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে যেসব খাবার বেশি খাবেন

পিনাট বাটার ফাইবার, ভিটামিন ই, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি-৬-এর একটি ভালো উৎস। এছাড়াও এতে আছে খাবারের খনিজ ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, দস্তা, তামা এবং সোডিয়াম।

চিনাবাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। সে অনুসারে পিনাট বাটার টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা কম কার্বোহাইড্রেট ডায়েট অনুসরণকারী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত। এতে কিছু রেসভেরাট্রলও রয়েছে, যা হৃদরোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাসের প্রধান কারণ।

বাদাম, বীজ ও দইয়ের সমন্বয়টিও প্রতিদিনি পূরণ করতে পারে সুস্বাদু খাদ্যের চাহিদা। তাছাড়া আলাদাভাবে এগুলো গ্রহণে স্বাস্থ্যগুণের ব্যাপার তো থাকছেই। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অল্প করে নিত্যদিন যে খাবারগুলো দেহে প্রবেশ করছে তার প্রতি সতর্ক নজর রাখা জরুরি।


আরও খবর
আজকের রাশিফল: বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শ্রীপুরে বাস খাদে পড়ে চালক নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিকবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সোহাদিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মফিজুল ইসলাম (৪০)। তিনি উপজেলার সোহাদিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার সকালে সোহাদিয়া উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকার গ্রিন স্মার্ট কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বরমী হয়ে কাওরাইদের ত্রিমোহনী বাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিল চালক মফিজুল এবং তার দুই সহযোগী মারুফ ও সজিব। বাসটি মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সোহাদিয়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মফিজুল বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে চাপা পড়ে মারা যান। 

আরও পড়ুন>> দেড় যুগ পর আড়াই মণ স্বর্ণ ফিরে পাচ্ছেন ৬১ মালিক

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একজন মারা গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সৈয়দ শামসুল হকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, কবি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বাংলা সাহিত্যের বহুমাত্রিক এই লেখক। তাকে জন্মশহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মূল ফটকের পাশে দাফন করা হয়।

সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের জ্যেষ্ঠতম।

সৈয়দ হক তার বাবা মারা যাওয়ার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লেখেন। পরে তোমার আমার, শীত বিকেল, কাঁচ কাটা হীরে, ক খ গ ঘ ঙ ও বড় ভালো লোক ছিলসহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন। বড় ভালো লোক ছিলপুরস্কার নামে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ত্যাগ করে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকরি নেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের খবরটি পাঠ করেছিলেন। পরে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দৃঢ়কণ্ঠ সাবলীল উচ্চারণের জন্য তিনি জনসাধারণ্যে পরিচিতি লাভ করেন।

১৯৫৪ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ তাস, ১৯৫৯ সালে প্রথম উপন্যাস এক মহিলার ছবি, ১৯৬১ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ একদা এক রাজ্যে প্রকাশিত হয়। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে নূরুলদীনের সারাজীবন, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, গণনায়ক, ঈর্ষা। উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে খেলারাম খেলে যা, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন। কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে পরানের গহিন ভিতর, নাভিমূলে ভস্মধার, আমার শহর ঢাকা, বৃষ্টি ও জলের কবিতা প্রভৃতি। গান লিখেও খ্যাতি অর্জন করেছেন সৈয়দ হক। উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস, অনেক সাধের ময়না আমার, তোরা দেখ দেখ দেখ রে চাহিয়া, চাঁদের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা

কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছরব্যাপী বিস্তৃত। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ৩১ বছর বয়সে ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়া বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।


আরও খবর



মাদকসম্রাট মুজাহিদ গ্রেফতার, ধরাছোঁয়ার বাহিরে মিজান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বন্দর (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ফতুল্লার তুষারধারা, গিরিধারা, শহীদ নগর, আদর্শ নগর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গাজী মুজাহিদ মোল্লাকে(২৮) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মুজাহিদ (২৪) ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপর ইউনিয়নের আদর্শনগর মোহাম্মদবাগ এলাকার গাজী মোল্লার পুত্র।

পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাহত রাত আড়াইটার দিকে বন্দর থানার মদনগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতের নিকট থেকে ৬০ বোতল ফেনসিডিল ও ১ শত পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। একই সাথে মাদক বহনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে বন্দর থানার মদনগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় একটি মোটরসাইকেল। উদ্ধার করা হয় ৬০ বোতল ফেনসিডিল ও ১ শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট। এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্প্রতি কুতুবপুরের শহীদ নগর এলাকায় চাঁদার দাবীতে রিপন দাস ও তাঁর স্ত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত হত্যার চেষ্টা করে মুজাহিদ বাহিনী। বিশাল বাহিনী নিয়ে হামলা চালানোর একটি ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভাইরালও হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ মুজাহিদকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ২১ আগস্ট রাতে চাঁদার দাবিতে কুতুবপুরের দৌলতপুরে ব্যবসায়ী ইব্রাহীমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মোজাহিদ বাহিনী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজী মুজাহিদ মোল্লা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর সরাসরি শেল্টারে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর সাথে জড়িত রয়েছে, মুজাহিদ গ্যাংয়ের মূল হোতা কিশোর গ্যাং লিডার মিজান বাহিনী। যারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তৃতীয় দিনে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় ২৫ লাখ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বসাধারণের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে মোট ৩০ হাজার ৯১৯টি যানবাহন চলাচল করেছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ তথ্য।

জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট পথে ১৫ হাজার ৬৯০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট পথে ৩ হাজার ৬১৯টি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দর পথে ২ হাজার ৮৯৮টি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৮ হাজার ৭১২টি গাড়ি চলাচল করেছে।

এর আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল শুরুর প্রথম দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উড়ালসড়ক থেকে আয় হয় ১১ লাখ ৮ হাজার ২৪০ টাকা। দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় হয় প্রায় ২২ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা উড়াল সড়ক) গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় উড়াল পথটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।


আরও খবর