আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাতক্ষীরায় বৈশাখকে রাঙাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার প্রতিটা ঘরের রান্না থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, অতিথি অ্যাপায়ণসহ অধিকাংশ কাজেই মাটির তৈরি পাত্র ব্যবহার করা হতো। স্বাস্থ্যকর আর সহজলভ্য ছিল বলে সব পরিবারেই ছিল এই মৃৎশিল্পের ব্যবহার। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প। এই শিল্পের চাহিদা বছরের অন্য সব সময়ে না থাকলেও পহেলা বৈশাখের উৎসবে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের কদর বেড়ে যায়। চৈত্রের রৌদ্রদগ্ধ দিন জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। আর সেই উৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরায় হারিয়ে যেতে বসা এই মৃৎশিল্পের অল্পসংখ্যক কারিগররা। মৃৎশিল্পীরা দক্ষ হাতের সুনিপুণ নৈপুণ্যে তৈরি করছেন মাটির তৈরি হাড়ি, কলস, ঢাকনা ও ঘর সাজানোর উপকরণসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র।

লোকশ্রুতিতে জানা যায়, 'এক দশক আগেও দক্ষিণ জনপদের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় খেঁজুর ও তালের রস সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি পাত্রের ব্যবহার করা হতো সর্বত্র। মাটির তৈরি খোলা (পাত্র), ফুল গাছের টপ, দধির পাতিল, টালি, ঘট, মুচি, মুটকি থালা-বাসনসহ বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হতো বিভিন্ন ধরনের খেলনা। এ সব তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে পরিষ্কার এঁটেল মাটি।

এ সকল জিনিসপত্র তৈরির কারিগররা 'কুমার' নামে পরিচিত। আর যে স্থানে এ সকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সে স্থানকে সাতক্ষীরার ভাষায় 'পালপাড়া' বলা হয়। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া, সুলতানপুর, গড়েরকান্দা, ইটাগাছা, ধুলিহর, ঝাউডাঙ্গা, তালা উপজেলার নগরঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০০ পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আর এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে জেলার একাধিক কুমাররা  জানান, 'বংশ পরম্পরায় ও জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এখনও মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তারা। দূরদূরান্ত থেকে সংগ্রহ করা এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি করা পাত্রগুলোকে প্রথমে রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। পরে শিল্পীর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় রঙের তুলির আঁচড়ে ফোটানো সব চমৎকার নিদর্শন তৈরির পর সেগুলো সাইকেল, ভ্যান বা মাথায় করে দূরদূরান্তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতেন তারা। আর তাতেই চলতো তাদের সংসার। তবে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধাতব, মেলামাইন ও প্লাস্টিকের পণ্য সহজে বহনযোগ্য আর সস্তা মাটির তৈরি জিনিসপত্র আজ বিলীন হতে চলেছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প।'

কুমারদের দাবি, 'তৈরিকৃত মাটি, উপকরণ ও পোড়ানোর খরচ বেশি হওয়ায় এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে অনেক পরিবার।'

এসময় তারা বলেন, 'বৈশাখ মাসটা তাদের পালনী মাস। এইজন্য চৈত্র মাসে তাড়াহুড়ো করে কাজ করেন। বৈশাখে মেলা হয় যেখানে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি হয়। নতুন বছর শুরুর এই সময়টায় মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয় বেশি। এ আয়ের ওপরই তাদের বছরের বাকি দিনগুলো চলায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন তারা।'

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বাবুলিয়া গ্রামের দিলীপ কুমার পাল বলেন, 'আগে আমরা এখানে ২০-২৫টি পরিবার বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ধাতব ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বাজারে আসায় মাটির হাড়ি-পাতিল এর চলন উঠে গেছে। এখন আর আগের মতন বেচা-কেনা না থাকায় এ পেশা ছেড়ে অন্যের ক্ষেত-খামারে দিনমজুর দিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।'

একই এলাকার অঞ্জনা রানী পাল বলেন, 'আমাদের মাটি দিয়ে এ সব তৈরি করার জন্য মাটিকে চটকিয়ে নরম করতে হয়। এতে বিভিন্ন সময় মাটিতে থাকা ঝিনুক, শামুক, ব্লেড ও কাঁচে আমাদের হাত পা কেটে যায়। সরকার যদি আমাদের কাঁদা মাটি চটকানোর জন্য মেশিন দেয় তাহলে আমাদের খুব উপকার হবে।'

একই এলাকার স্বপন পাল বলেন, 'যদি জাত পেশা না হতো তাহলে অন্য কাজ করতাম। আমাদের এখানে প্রায় ২৫টি পরিবার এই কাজ করত, কিন্তু এখন ৬-৭টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বাকিরা অন্য কাজ করছে।' তালা উপজেলার নলীতা পাল বলেন, 'প্লাস্টিকের পণ্য বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। প্লাস্টিকের পণ্য সহজে বহনযোগ্য আর সস্তা হওয়ায় আমাদের এ ব্যবসা এখন আর ভালো নেই। অনেকেই এসে ছবি তুলে নিয়ে যায় কিন্তু কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।'

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরার উপব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন জানান, 'সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৪০০ পরিবার এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আমরা একটি এনজিওর মাধ্যমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। যাতে তারা উন্নতমানের বিভিন্ন ধরনের মাটির হাড়ি-পাতিল, শো-পিচ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানির জন্য উপযোগী করতে পারবে। জেলার ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প তৈরির জন্য আমাদের কাছে কেউ আবেদন করলে আমরা স্বল্প সুদে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে দিব।'


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু কখন জানালেন ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রা। আগামীকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, আমরা আগামীকাল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরও ভালো কাটবে। এবারের উপজীব্য বিষয় হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। যাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

উপাচার্য বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো রকম ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টোরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে। এ শোভাযাত্রায় কোনো বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে।


আরও খবর



গাজীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর মহানগরীর বাইমাইল ব্রিজের উপর সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কোনাবাড়ী এশরারনগর এলাকার মারফত আলীর ছেলে মঞ্জুর সরকার (৩৮) ও মহানগরীর হরিনচালা এলাকার এহসান হাসান (৪২)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আব্দুল হামিদ (৪৫)।

কোনাবাড়ী মেট্রো থানার ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কাভার্ডভ্যান চালক পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল আরোহী ওই তিনজন গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তারা ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইমাইল ব্রিজের উপর পৌঁছালে পিছন থেকে অজ্ঞাতনামা কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মনজুর সরকার ও এহসান হাসান মারা যান।

আব্দুল হামিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আরও খবর



বেগমগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো.আলাউদ্দিন (৪৫)। এছাড়া অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি। 

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথে বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাচালকসহ চারজন নিহত হন।


আরও খবর



এক সিগারেটের আগুনে পুড়ল ১০০ বিঘা পানের বরজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাগমারায় প্রায় ১০০ বিঘার পানের বরজ আগুনে পুড়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়েছেন ৯০ জন পানচাষি। পানের বরজ পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

পানচাষিরা বলছেন, সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

শুক্রবার (৩ মে ) দুপুরে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের পান বরজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পোড়াকয়া গ্রামের ইসাহাকের পান বরজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, শতাধিক কৃষকের প্রায় এক থেকে দেড়শ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় জমা দিব। তালিকা হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে কিছু টাকা পেলে চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

পানচাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পানের বরজে। পানের বরজ এমনভাবে পুড়েছে তাতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। বছরের এ সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া। এ সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।

আরেক চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার এক বিঘারও বেশি জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ বরজ তৈরি করতে আবার অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন জমিতে পান বপণের সময় না। তাই আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।


আরও খবর