আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সবজির দাম সামান্য কমেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মিরপুর, যাত্রবাড়ী, শনির আখড়াসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ তালিকায় রয়েছে পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পেঁপে, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। তবে করলা, বরবটি, কচুর লতি ও টমেটো এখনও ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। সজনে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

অপরদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেল, চিনি, আটা-ময়দার দামও একই জায়গায় রয়েছে। তবে, সম্প্রতি এগুলো বেড়ে এখন স্থিতিশীলতায় রয়েছে।

আরও পড়ুন>> রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের

মুরগি ও ডিমের বাজারে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ থেকে দাম বাড়ছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারে ৫০ টাকা হালিতে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংস ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।

বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯৫০ টাকা ও নদীর চিংড়ি এক হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি, ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। মাঝারি রকমের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা। আর দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এছাড়া রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, কাতল মাছে ৩০০ টাকা, দেশি পুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি এবং বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।

গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি।

নিউজ ট্যাগ: সবজির দাম

আরও খবর



আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা করলেন সাবেক দুই আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল হক। একজন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বাধ্যতামূলক অবসরে গেছেন, আরেকজন ২০১৮ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। পুলিশের এই সাবেক দুই উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ মামলায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের সাত ও আবদুল্লাহ আল মামুনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সকাল পৌনে ৭টার দিকে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ৭ ও মোহাম্মদপুর থানার মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে আনার সময় দুজনকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয়। তবে কারও হাতে হাতকড়া ছিল না।

আবদুল্লাহ আল মামুন আইজিপি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সাল থেকে ৬ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। আর শহীদুল হক ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন।

রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি পুলিশ প্রধান থাকা অবস্থায় কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করিনি। পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। আমি যতদিন চাকরি করেছি মানুষের সেবা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটাই সত্য নয়। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

অপরদিকে আদালতে কোনো কথা বলেননি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আদালতের এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন তিনি। এসময় পুলিশের হেলমেট পরিধেয় অবস্থায় তাকে দেখা যায়।

এদিন আদালতে প্রথমে শহীদুল হকের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির এক পর্যায়ে তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন আদালতকে বলেন, তিনি (শহীদুল হক) ২০১৮ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর সরকারি আর কোনো লাভজনক পদে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেন এবং জনগণের ভরসার জায়গায় নিয়ে যান। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। এসময় তিনি শহীদুল হকের রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত শহীদুল হকের বক্তব্য শোনেন।

তিনি আদালতকে বলেন, আমাকে রিমান্ডে চাওয়া হলো কেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আমি এ মামলা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সবশেষে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, আসামি মামুন চাকরিরত অবস্থায় পদাধিকার বলে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশকে কমান্ড করেছেন। তার ব্যক্তিগত কোনো পদক্ষেপ পুলিশের কাছে ন্যস্ত হয়নি। তাকে যদি মামলা দিতেই হয় সেক্ষেত্রে এসব হত্যা মামলা দেওয়া অনুচিত। তিনি চাকরি জীবনে কোনো অনিয়ম করে থাকলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হতে পারে। আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাকে হয়রানি করতেই এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার পরিবার একটি উচ্চশিক্ষিত পরিবার। তারা সমাজসেবামূলক অনেক কাজ করেছেন, তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি হার্টের রোগী, চোখে কম দেখেন এবং ডায়াবেটিসের রোগী। এসব বিবেচনায় তার পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আদালত শুনানি শেষে তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আদেশ শেষে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ডিবির একটি গাড়িতে করে সাবেক দুই আইজিপিকে সিএমএম আদালত থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ মোঃ মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২৬ তারিখ থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। তবে আজকে কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। বন্যার কারণ হিসেবে তিনি নদীর নাব্যতা হ্রাস ও নদী ভরাট করে স্থাপনাকে দোষারোপ করেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫১ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৪৩ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে ফেনীতে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। জানান, সেখানে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর
সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র ঝড়, সতর্কতা জারি

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪




খুলনা মেডিকেলের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, চিকিৎসাসেবা বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ও কালো তালিকাভুক্ত করায় বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগের অধিকাংশ সেবা। বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে কর্মস্থলে আসেনি বহির্বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসক। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, মঙ্গলবার খুলনা মে‌ডি‌কেল কলেজের শিক্ষার্থী‌দের এক‌টি অংশ হাসপাতা‌লের ভারপ্রাপ্ত উপপ‌রিচালক ডা. আক্তারুজ্জামানকে পদ‌ত‌্যাগ করতে বাধ্য করেন। এ সময় আরও ৪১ জন চি‌কিৎসক‌কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থী‌দের নেতৃত্ব দেন কা‌র্ডিও‌লো‌জি বিভাগের সহকারী অধ‌্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল। ফলে বুধবার নিরাপত্তা ঝুঁকি‌তে হাসপাতা‌লে আসেন‌নি অনেক চি‌কিৎসক।

সরেজমিন দেখা যায়, ব‌হির্বিভা‌গের ২০২নং রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯নং রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭নং রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫নং রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪নং রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩নং রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১নং রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২নং রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩নং রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮নং রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪নং রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১নং রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০নং রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২নং রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫নং রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চি‌কিৎসক অনুপস্থিত। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় তারা হাসপাতালে আসেননি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকা‌রী রেজিস্ট্রার কনসালট‌্যান্টসহ আরও ২১ জন চি‌কিৎসক অনুপ‌স্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চি‌কিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা থেকে আসা আরেফিন বিল্লাহ বলেন, বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি সকাল ১০টার দিকে। দুপুর পার হলেও চিকিৎসক আসেননি। আমি শিক্ষকতা করি, আজ ছুটি থাকায় এসেছি। অথচ এসে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। শুধু আমি নই, অন্য রোগীরাও ফিরে যাচ্ছেন।

হাসপাতালে আসা রোগী সাদিয়া আফরিন বলেন, ডাক্তার দেখাতে এসেছি সেই সকালে, এখনও দেখাতে পারিনি। আজ তো দেখাতে পারিনি, আগামীকালও ডাক্তার আসবে কি না জানি না।

ডাক্তারদের রুমের সামনে রোগীদের সিরিয়াল দেখভালের দায়িত্বরতরা জানান, সকালে আমরা এসেছি। এসে দেখি চিকিৎসকরা আসেননি। ফোন করলে তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা, এ জন্য আসেননি। রোগীরা আসছেন, আবার ফিরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুমন রায় মুঠোফোনে বলেন, গতকাল ইনটার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় ডাক্তার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের ঘিরে ধরে। পরে তারা উপপরিচালককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। আর আমাদের প্রায় ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় আমরা আসিনি।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সংলগ্ন নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফারুক বলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা আমাকে পাঠিয়েছেন, হাসপাতালে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চিকিৎসকদের নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কিনা দেখতে। সকালে আমরা এখানে এসেছি, এসে দেখি ডা. মোস্তফা কামাল নেই। বহির্বিভাগে অনেক রোগী এসে ফিরে যাচ্ছে। এটা কাম্য নয়। আমরা চাই হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, গত ১৬ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তারা নিগৃহের শিকার হোক আমরা চাই না। আমরা জানতে পেরেছি, অনেকেই ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাচ্ছেন। একজনকে সরিয়ে দিয়ে আরেকজনকে বসানোর একটা ফাইদা লোটার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এখানে বার বার একজন ডাক্তারের নাম উঠে আসছে। তিনি হলেন, কার্ডিওলোজি বিভাগের ডা. মোস্তফা কামাল। তাকে আমরা পায়নি। তার ব্যাপারেও আমরা তদন্ত করে দেখছি। কাউকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া আমরা সমর্থন করি না। কাউকে সরাতে হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ধাপে ধাপে করতে হবে। এক দিনেই ৪০ জনকে সরিয়ে দেব, এতে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হবে। পুরো খুলনা বিভাগে এর প্রভাব পড়ছে। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও কথা বলবো। এখানে দুটি পার্ট রয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা। শিক্ষা পার্টের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই কাজটি করেছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগে শুধু শিক্ষার্থীদের অধিকার নেই, এখানে খুলনা বিভাগের নাগরিক ও রোগীদের অধিকারটাই বেশি। আমরা এখানে সুষ্ঠু সমাধানে একটি ভূমিকা রাখতে চাই।


আরও খবর
১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আম্বানিকে টপকে ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট-২০২৪-এ শীর্ষ স্থানে চলে এসেছেন গৌতম আদানি ও তার পরিবার। এতে দেখা গেছে, ১১ দশমিক ৬ লাখ কোটি রুপির সম্পত্তি নিয়ে মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে আদানি ও তার পরিবার।

২০২০ সালের তালিকায় আদানির অবস্থান ছিল চতুর্থ। গত এক বছরে আদানির সম্পত্তি বেড়েছে ৯৫ শতাংশ। হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের পর ধনীদের তালিকায় ধস নামে আদানির। যদিও এরই মধ্যে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে আদানি গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যেমন আদানি পোর্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৯৮ শতাংশ। তাছাড়া আদানি এনার্জি, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি পাওয়ার-এভারেজ শেয়ারের দামে ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

১০ দশমিক ১৪ লাখ কোটি রুপির সম্পত্তি নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। ৩১ জুলাই ২০২৪-এ নেওয়া স্ন্যাপশটের ওপর ভিত্তি করে সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করা হয়েছে।

দেশটিতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা রেকর্ড ৩৩৪ জনে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

হুরুন ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনায়েদ বলেন, ভারত এশিয়ায় সম্পদ তৈরির ইঞ্জিন হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, ভারতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২৯ শতাংশ বাড়লেও চীনে ২৫ শতাংশ কমেছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রংপুর কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারাগারে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কারাগারের ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এসময় মানুষজন ছুটোছুটি করছিল। সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কারাগারের ভেতরের গাছ  থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহার ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরও বলেন, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন।

বর্তমানে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর
১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪