আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সড়ক দুর্ঘটনায় গুলশান থানার এসআই কামরুল নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এসআই কামরুল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে এপিবিএন মাঠের পশ্চিম পাশের ওই এলকায় অজ্ঞাত একটি যানবাহন

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম (৩৩) নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এসআই কামরুল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে এপিবিএন মাঠের পশ্চিম পাশের ওই এলকায় অজ্ঞাত একটি যানবাহন তার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন এসআই কামরুল।

বাচ্চু মিয়া জানান, এসআই কামরুলকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ইর্মাজেন্সিতে আনার পরপরই তিনি মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গুলশান

আরও খবর



বিশ্বকাপে পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।

বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।

এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠগুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদের প্রধান লক্ষ্য।

চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।


আরও খবর



বান্দরবানের বাকলাইতে দুই ‘কেএনএফ’ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কেএনএফ সদস্যের।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রেমাক্রী ইউনিয়নের বাকলাই এলাকায় মৃতদেহ দুটি পাওয়া যায়। তাদের পরনে কেএনএফের পোশাক থাকায় ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যের। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে রুমা ও থানচির বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা কে বা কারা সে বিষয়ে জানা না গেলেও কেএনএফের পোশাক পরিহিত বলে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছি। আমরা মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। জায়গাটি দুর্গম হওয়ায় পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে পারব।’

প্রসঙ্গত, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা ও থানচিতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ধরতে পরিচালিত হচ্ছে যৌথ অভিযান। এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে জেটিতে থাকা একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এমভি বাঙালি নামে লঞ্চটির তিনতলায় এ আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুনের ফোন পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনে ২টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ জানা যায়নি।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ ডাকাতকে আটক করেছে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম পতেঙ্গা বর্হিনোঙ্গর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ টি রামদা, একটি করাত, একটি শাবল, একটি প্লায়ার, একটি স্পেনার এবং ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- মোঃ সালাউদ্দিন (২৬), মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৩), কামাল হোসেন (২৩), মোঃ ইমন (১৯), মোঃ আবু তাহের (৩২), মোঃ ইসলাম (২৭), মোঃ ফয়সাল (২০), মোঃ রাজু (৩৭), সিরাতুল মুসতাকিম (১৭), পিয়াস মন্ডল (২৩), মোঃ আলমগীর (৩০) এবং মোঃ আরিফ (৩০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ডাকাত দলের মূল হোতা আকবর এর নির্দেশে এবং মোঃ সালাউদ্দিন (২৬) এর নেতৃত্বে ডাকাত দল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর হতে বোট যোগে গত ১৩ মে রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গরে গমন করে।

আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে কোস্ট গার্ড জানান।


আরও খবর



অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো পরীক্ষা (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেয়েদের অন্তর্বাসের মধ্যে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকত অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস। একইসঙ্গে সংযোগ দিয়ে পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে রাখা হতো ক্ষুদ্রাকৃতির বল।

প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করত আরেকটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের। বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা সংঘবদ্ধ এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্র ম্যানেজ করে প্রশ্নের ফটোকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিত। বাইরে তাদের একটা টিম পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন সলভ করে ফেলে। এরপর তারা উত্তরগুলো বলতে থাকে। পরীক্ষার্থীর কাছে যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে সেটা পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে থাকে। আর পকেটে একটা রাউটার থাকে। অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসে বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে  পরীক্ষার্থী শুনতে পাবে এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সলভ করে ফেলবে। চক্রটি বাইরে থেকে উত্তর বলবে আর যাদের অন্তর্বাস বা গেঞ্জির সঙ্গে ডিভাইস থাকবে তারা ভেতরে থেকে উত্তরগুলো শুনে সঙ্গে সঙ্গে এমসিকিউ দাগিয়ে ফেলবে।

হারুন অর রশিদ বলেন, দিন দিন এভাবে ক্রাইমের প্যাটার্নটা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। এক সময় আমরা নকল প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছি। সে সময় তারা পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত। এভাবে কিন্তু দিন যাচ্ছে অপরাধীরা তাদের অপরাধের প্যাটার্ন চেঞ্জ করছে। আমরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি। এখন সর্বশেষ আমরা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে তারা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গায় রাখছে যেখানে ধরার বা চেক করার কোনো স্কোপ নেই।

ডিবি প্রধান বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর (গ্রেড ২) ও বুকিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড ২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এসব পন্থায় অপরাধ কর্ম সংঘটিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

হারুন অর রশিদ বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করত। মো. রাসেল ও মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল এবং মো. আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহারবিধি শিখিয়ে দেয়। মো. আরিফুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সুবিধা মতো সময়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেয়। এরপর তাদের সমাধান টিম অতি দ্রুত সেই প্রশ্নপত্র সমাধান করে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত।

তিনি বলেন, বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত এই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইসটি মেয়েদের অন্তর্বাস ও ছেলেদের স্যান্ডো গেঞ্জির ভেতরে এমনভাবে সেলাই করে সংযুক্ত করা থাকে যা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় থাকে না। ডিভাইসে একটি মোবাইল সিম কার্ড সংযুক্ত থাকে। কেন্দ্রের বাইরে থেকে ওই নম্বরে কল করা মাত্রই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিসিভ হয়ে যায়। এই ডিভাইসের সঙ্গে ব্লু-টুথের মাধ্যমে কানেক্ট থাকা ছোট্ট বল আকারের রিসিভার স্পিকারটি পরীক্ষার্থীদের কানের ভেতরে থাকে। ফলে বাইরে থেকে উত্তর বলে দিলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীরা অনায়াসে তা লিখতে পারে। পরীক্ষা শেষে শক্তিশালী কলম সদৃশ চুম্বকের (ডিভাইসের বিশেষ অংশ) সহায়তায় সেটি কানের ভেতর থেকে বের করা হয়।


আরও খবর