আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

‘শেখ হাসিনা হারলে দীর্ঘ অস্থিতিশীলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ’

প্রকাশিত:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা হারলে দীর্ঘ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ। রোববার (২০ আগস্ট) ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

সাংবাদিক প্রণয় শর্মার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা থেকে বিদায় কেবল ভারতের জন্যই উদ্বেগের নয়, এতে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহিংসতা ও অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

প্রণয় শর্মা লিখেছেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে যে ভারতবিরোধী মনোভাব আছে, সেখানে শেখ হাসিনার সরকার খুব সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে নির্ভরশীল ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। যদিও ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিগ পাওয়ার হিসাবে ধরা হয় কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই অবস্থানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। আর দক্ষিণ এশিয়ায় চীন দিনের পর দিন তার অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে এবং জানুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাইছেন। এর অংশ হিসাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টাকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন।

আরও পড়ুন>> সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা

শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী, সরকারি সংস্থা ও কর্মকর্তাদের লাগাম টেনে ধরতে তার ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ঢাকার উপনির্বাচনে। যেখানে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক প্রার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছিল আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। ওই হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত গণতান্ত্রিক সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েছেন। যেখানে ভারত-পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এছাড়া মে মাসে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটন গেলে বাইডেন প্রশাসন তাকে উপেক্ষা করেছে।

শেখ হাসিনাও মনে করেন, বাইডেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সংসদে তিনি একবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যে কোনো দেশের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে, বিশেষ করে সেটা যদি মুসলিম দেশ হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন অবাধে সমাবেশ করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করছে।

বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। আমির খসরু বলেছেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো নিয়ে বিএনপি বাংলাদেশে শাসন পরিচালনা করবে-এমন সম্ভাবনা ঢাকা ও দিল্লিতে উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি করেছে।

হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি শক্তিশালী, বিশ্বস্ত এবং নির্ভরতার সম্পর্ক তৈরি করেছেন, যা দুই দেশ এবং এ অঞ্চলের জন্যই মঙ্গলজনক। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের মুসলিম-বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যকে শেখ হাসিনা যে পাত্তা দেননি-এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনের সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে: ইসি রাশেদা

প্রতিবেদনে সংসদ-সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর একটি বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে একটি সহযোগিতা এবং নিরাপত্তামূলক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। যেই সম্পর্কে মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ একটি প্রভাবক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার দুই পক্ষের মধ্যে একটি উইন-উইন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং উভয় দেশের সরকারই অগ্রগতি, উন্নতি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এই সম্পর্কের মাধ্যমে দিল্লি এমন একটি উদাহরণ তৈরি করতে সম্মত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে প্রতিবেশীরা কীভাবে সুফল পেতে পারে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চিড় ধরে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শাসক গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতবিরোধী তৎপরতায় উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল করেছেন এবং দেশ থেকে ভারতবিরোধী সত্তা উপড়ে ফেলেছেন। তবে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেওয়া বাইডেন প্রশাসনের সম্প্রতিক পদক্ষেপ সেই সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

প্রতিবেদনের শেষ দিকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে হেরে যান, তাহলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনকি আবারও বাংলাদেশ উগ্রবাদীদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হতে পারে। ফলে আওয়ামী লীগের প্রস্থানের বিষয়টি শুধু ভারত নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।


আরও খবর



দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা -২০২৪ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি হবে বাংলাদেশে। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এমপি আরো বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আছে আমাদের চোরা চালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষে (৪র্থ তলা) বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাতের অন্ধকারে অনেক কিছুই দেশে ঢুকে, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা তারা করছেন।  রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লক্ষ যেখানে আমাদের প্রস্তুতি আছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।

মন্ত্রী কর্মশালায় বক্তব্যে আরো বলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব,  জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমাদের ইতিমধ্যে রয়েছে ৩টি জাতীয় স্বীকৃত গবেষণাগার, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য BSLII+ জাতীয় রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, পিপিআর-এর জন্য সার্ক রিজিওনাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিইয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণার জন্য ন্যাশনাল রেফারেন্স গবেষণাগার রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের বিএলআরআই এর উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ, ইউরিয়া-মলাসেস স্ট্র (ইউএমএস), ঘাস সংরক্ষণে সাইলেজ প্রযুক্তি, উচ্চ ফলনশীল ঘাসের জাত বিএলআরআই নেপিয়ার- ১, ২, ৩ ও ৪ উদ্ভাবন, পিপিআর ভ্যাকসিন সিড, গোটপক্স ভ্যাকসিন সিড, বিএলআরআই এফএমডি ট্রাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন সিড (ও, এ, এশিয়া-১), শুভ্রা ও স্বর্ণা (লেয়ার স্ট্রেইন), ছাগল ও গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য পিলেট ও TMR তৈরি, এফএমডি এবং পিপিআর নিয়ন্ত্রণ মডেল ইত্যাদি কৃষক পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় এবং মাংস, দুধ এবং ডিম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রধানগণ ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতে গুলসান আরা বেগম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আব্দুর রশীদ ওই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলে।

গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয় এবং সোমবার (১০) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান।

তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুদকে দেওয়া সেই অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বোচাপুকুর পোকাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির ২.৮৩ একর জমি রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগমের স্বামীর বাড়ি পোকাতিতে হওয়ার সুবাদে তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের জমি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে। এলাকার নিজস্ব লোকজন নিয়ে স্কুলের কমিটি করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতাগণ ও ছাত্র অভিভাবকগণ অবৈধ স্কুল কমিটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মতিয়র রহমান বিদ্যালয়ের জমিতে ৪২টি কাঁঠাল গাছ, ৪টি আম গাছ, ৩টি ডাব গাছ ও বিভিন্ন বনজ গাছ আছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা বনবিভাগকে না জানিয়ে উক্ত গাছগুলোর মধ্যে কতগুলো গাছ বিক্রি করে দেয়। প্রতিনিয়তই প্রধান শিক্ষিকা সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে আসছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। তিনি ব্যক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছে। তিনি তাঁর লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছে তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। প্রবেশ করলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোন জমি বা হাট লিজ দেওয়ার কোন প্রশ্নেই আসে না। আর সকলের সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আইন অমান্য করার কোন সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটি সভাপতি ও নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, গুলসান আরা বেগম চাকুরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রানি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলা যাবে।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর আজ, কী ঘটেছিল সেদিন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিনটি ছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই (শুক্রবার)। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে খবর পাওয়া যায় রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। সশস্ত্র হামলাকারী এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বিদেশী নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে। ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনায় স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে।

ওই দিনের হামলায় মোট ২২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিল। ওই দিন পুরো রাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও অভিযান চালোনো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

হলি আর্টিজানে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্সসহ প্রথমে পৌঁছান গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন। হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আল্লাহ্ আকবর ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত করা গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের বেকারির চারপাশে কর্ডন করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।

এ অবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা হলি আর্টিজানের বেকারির পশ্চিম দিকের বাড়ির সামনে অবস্থানরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন, কেউ কেউ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়। সে সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিমের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন ২ জুলাই অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানের মধ্য দিয়েই জিম্মিদশার অবসান ঘটান যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল। নিহত হয় ৬ জঙ্গি, আহত অবস্থায় ধরা পড়ে একজন।

রাত দেড়টায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত আমাক এ হামলার দায় স্বীকার করে ২০জন নিহত হবার কথা জানায়। আইএস এর পক্ষ থেকে হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের সৈনিক বলে দাবি করে, হামলার দায় নেয় তারা।

২০১৬ সালের ২ জুলাই ভোর ৭টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় যৌথ কমান্ডো দল। ৭টা ৪৫ মিনিটে কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল সোয়া ৮টায় রেস্টুরেন্ট থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। পাশের একটি ভবন থেকে একজন বিদেশী নাগরিক তার মোবাইল ফোনে সেটি ধারণ করেন। ৮টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা। ৯টা ১৫ মিনিটে অভিযান শেষ হয়। কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।

সকাল ১০টায় ৪ জন বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা পুলিশ জানায়। ১১টা ৫০ মিনিটে অভিযানে জঙ্গিদের ৫ জন নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন- মীর সামিহ মোবাশ্বের (১৯), রোহান ইমতিয়াজ (২০), নিরবাস ইসলাম (২০), খায়রুল ইসলাম পায়েল (২২), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ (২৬)।

পরে জিম্মি থাকাবস্থায় সন্ত্রাসী কর্তৃক নৃশংসভাবে নিহত হওয়া ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের, একজন ভারতের ও তিনজন বাংলাদেশি।

উদ্ধার জিম্মিদের বয়ান অনুযায়ী তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, জঙ্গিরা হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা দেশি-বিদেশিদের গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে অবস্থানরত নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পাঠায় তারা। জঙ্গিরা এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে, লাশের সারি মেঝেতে রেখেই খাবার খায়।


আরও খবর



‘পাকিস্তানের দালালরা ভারতের কাছে দেশ বিক্রির কথা বলে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত, দেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্যবাহী নতুন রেললাইন তৈরির বিষয়ে ওঠা সমালোচনার জবাবে এ উক্তি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।

সমালোচনাকারীদের উদেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এই দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।


আরও খবর



গৌরনদী উপ-নির্বাচন

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিন প্রিজাইডিং অফিসার আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশালে গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং ও দুইজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীনের (মোবাইল ফোন মার্কা) কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও দুইজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আটক করে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের জেরার মুখে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন প্রিজাইডিং অফিসার গৌরনদী সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান। অপর দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হলেন- উত্তর কান্ডপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার মাঠ সমন্বয়কারী সঞ্জয় কুমার ভদ্র।

বিষয়টি দুঃখজনক বলে দাবি করেন নারিকেল গাছ মার্কার প্রার্থী আলাউদ্দিন ভূঁইয়ার প্রধান সমন্বয়কারী হাবিবুর রহমান। তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেনি অভিযুক্তরা।

এদিকে, নানা জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টানটান উত্তেজনা এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকির মধ্যদিয়ে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে লড়ে পরাজিত হয়েছেন। তার পদত্যাগের কারণে মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার। এ পৌরসভার প্রায় ৩৭ হাজার ২৪৩ জন ভোটার নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।


আরও খবর