আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে ব্রাজিল

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ফেভারিট হিসেবেই লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে পা রেখেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে ধাক্কা খেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে সেলেসাওরা।

সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে শনিবার (৩ জুন) রাতে আর্জেন্টিনার অ্যাস্তাদিও সান হুয়ান স্টেডিয়ামে নামবে নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের উত্তরসূরিরা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচে জিতলে আর্জেন্টিনার সমান সর্বোচ্চ ছয়টি বিশ্বকাপ জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে যাবে ব্রাজিলিয়ানরা।

আরও পড়ুন<< পিএসজিকে বিদায় বললেন সের্হিও রামোস

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সেলেসাও যুবাদের প্রতিপক্ষ চলমান বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আলোচিত দেশ ইসরায়েল। তাদের ভিসা দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করায় ইন্দোনেশিয়া থেকে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ সরিয়ে আর্জেন্টিনায় নিয়ে আসা হয়। তারাই এখন শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে।

এর আগে, বিশ্ব আসরে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইতালির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে বসে সেলেসাওরা। তবে পরের দুই ম্যাচে জয় দিয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়েছিল সেলেসাওদের যুবারা।

আরও পড়ুন<< ফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে সাবালেঙ্কা

এরপর আর্জেন্টিনার দিয়েগো আরমান্দো স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে আন্দ্রে সান্তোসের জোড়া গোল এবং মার্কোস লিওনার্দো ও ম্যাথিউস মার্টিনসের একটি করে গোলে তিউনিসিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিলের যুবারা।

এদিকে সেমিতে উঠার লড়াইয়ে এদিন আরও মাঠে নামবে কলম্বিয়া ও ইতালি। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায়। রোববার (৪ জুন) শেষ ষোলোর অন্য দুই ম্যাচে মাঠে নামবে দক্ষিণ কোরিয়া ও নাইজেরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও উরুগুয়ে।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




হঠাৎ কেন পদত্যাগ করলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। এতে করে হঠাৎ বেশ বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে প্রতিবেশী এই দেশটির নির্বাচন কমিশন। তার পদত্যাগে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়নের। তবে হঠাৎ কেনই বা তিনি এখন পদত্যাগ করলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত সময় ঘোষণার কয়েক দিন আগে শনিবার পদত্যাগ করেছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু আনুষ্ঠানিকভাবে অরুণ গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং সেটি অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, অরুণ গোয়েল তার পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগত কারণ-কে দায়ী করেছেন। যদিও তাকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখতে ভারতের সরকার থেকে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

তবে সদ্য পদত্যাগ করা এই নির্বাচন কমিশনারের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত জল্পনা দ্রুত খারিজ হয়ে যায় যখন শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, অরুণ গোয়েল নিখুঁতভাবে সুস্থ আছেন। নির্বাচন কমিশনের বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, অরুণ গোয়েল এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তিনজন সদস্য থাকেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনুপ পান্ডে। এরপর শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই আরেক নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।

পরে তিনি প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান এবং সেটি গৃহীতও হয়ে যায়। ২০২৭ সালে অরুণ গোয়েলের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ পূরণের ৩ বছর আগেই কেন তিনি হঠাৎ পদত্যাগ করলেন? তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে।

মূলত আগামী এপ্রিল-মে মাসেই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। সেই অনুযায়ী, মার্চ মাসেই নির্বাচনের দিন ঘোষণার কথা রয়েছে। জল্পনা রয়েছে, আগামী সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে।

আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। উপত্যকার পরিস্থিতি ও ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায়, একা প্রধান নির্বাচন কমিশনার জম্মু-কাশ্মির যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

কী কারণে হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা জানাননি অরুণ গোয়েল। আগামী বছরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর তারই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল।

সূত্রের খবর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে অরুণ গোয়েলের মতপার্থক্য ছিল। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এবার নির্বাচন কমিশনের কী হবে?

একা একজন সদস্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হতে পারে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই শূন্যপদে কমিশনার নিয়োগ করা হবে। গত বছরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।

আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ প্যানেলে থাকতেন। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, এবার প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বা একক বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্মিলিতভাবে কোনও ব্যক্তিকে বাছাই করবেন এবং তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবেন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই নতুন সিইসি বা ইসিকে নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট।

তবে যে কাউকে বাছাই করে নির্বাচন কমিশনার করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর কমিটি নাম সুপারিশ করার আগে একটি সার্চ কমিটি তৈরি হবে। এই কমিটিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ও দুই সচিব। তারা পাঁচজনের নাম বাছাই করবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি কাউকে বেছে তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবে।

মূলত অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের আগে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল গত বছরের শেষের দিকে নতুন এই আইন প্রণয়ন। এতে দেশের শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়। সংশোধিত পদ্ধতিতে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে এই বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

কে কী বলছে

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণ গোয়েলের আকস্মিক পদত্যাগের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি কি নির্বাচন কমিশনের নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন অমিশন (অপসারণ) করার পক্ষে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, এটা নির্বাচন কমিশন নাকি নির্বাচন অমিশন? যদিও লোকসভা নির্বাচনের তারিখ কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে, আর ভারতে এখন মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার আছে। কেন?

তিনি আরও বলেন, যেমনটা আমি আগেই বলেছি, আমরা যদি আমাদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের নিয়মতান্ত্রিক পতন বন্ধ না করি, তাহলে আমাদের গণতন্ত্র একনায়কতন্ত্রে পরিণত হবে!

কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের নতুন প্রক্রিয়াটি এখন কার্যকরভাবে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছে, কেন নতুন নির্বাচন কমিশনার মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৩ দিন পরেও নিয়োগ করা হয়নি? মোদি সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এবং একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়ে সামনে আসুন।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালও দলীয় সভাপতি খাড়গের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি বলেন, এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক যে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল লোকসভা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করলেন।

কেসি ভেনুগোপাল সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর ওপর সরকারের প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাকেত গোখলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনের আগে এখন নির্বাচন কমিশনে দুজনকে নিয়োগ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। আর ইসিতে আগে থেকে একটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে নির্বাচন কমিশনে এখন কেবল একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।


আরও খবর



অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত গণমাধ্যমকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে তার বাবা সবুজ শেখ এবং মা বিউটি খাতুন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন এই বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু, সহকর্মী ও ফেসবুকে অভিশ্রুত শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন।

অন্যদিকে, সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। তবে তার বন্ধু সহকর্মীরা জানতেন তার নাম অভিশ্রুতি। মৃত্যুর পর এই নাম নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



মুক্তির মহানায়কের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ মার্চ)। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। তাছাড়া সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে, ২৬ মাচর্ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু কাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ নেতাকে স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনীতির ছন্দকার খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেন। বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বাংলাদেশের মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী বলেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় মন্তব্য বইয়ে তিনি লেখেন, উপ-মহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সব মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিত্রিত করলেও ইতিহাসই প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে, যখন তাঁর এককালীন ঘোরতর শত্রু তাকে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে অভিহিত করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি (বেলুচিস্তান) অফিসার মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হোসেন মালিক পরে তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, বস্তুত মুজিব দেশদ্রোহী ছিলেন না (পাকিস্তানে তাকে সেভাবে চিত্রিত করা হলেও)। নিজ জনগণের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক।

আরেকজন সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন পাকিস্তানি জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গির্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।


আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ১৯

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভূখণ্ডটির মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার নাগরিক যখন আল-কুয়েত গোলচত্বরের কাছে আটা ও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন সেখানে হামলা চালিয়ে ১৯ জন হত্যা এবং আরও ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে আহত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ট্যাংকগুলো মেশিনগান দিয়ে অভুক্ত লোকদের দিকে গুলি চালায় যারা আটা এবং সাহায্যের ব্যাগগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেটিও আবার এমন একটি জায়গায় যা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে পারত না

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারী গুলি চালানো হয়েছে এবং আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার কারণে অনেককে বাইরে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাহায্যপ্রার্থী জনতার ওপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি সাহায্য নিতে আসা এসব মানুষের ওপর গুলি চালানোর খবর ভুল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) একটি ত্রাণবাহী গাড়িবহরের কাছে থাকা বহু সংখ্যক গাজাবাসীকে আক্রমণ করেছে বলে যেসব প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তা ভুল।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্ধারণ করা হয়েছে, কনভয়ের বিরুদ্ধে কোনও বিমান হামলা চালানো হয়নি এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে তেমন ঘটনাও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর