আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জামালপুরের কেন্দুয়া কালিবাড়ি ইয়াছিনপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে অপর মাদ্রাসা শিক্ষক সিফাত আহমেদ গাঢাকা দিয়েছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সাথে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হরিনধরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও জামালপুর কেন্দুয়া কালিবাড়ী ইয়াছিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম এবং স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক সুলতান মাহমুদের ৫/৬ মাস আগে মোবাইলে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সুলতান মাহমুদের দুই স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার পরও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে প্রায় দুইমাস আগে ওই শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করে। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার এক বাসায় নিয়ে প্রথমবার ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৩১ জুলাই আবারো ওই শিক্ষার্থীকে ওই একই বাসায় নিয়ে যায়। এবং তার বন্ধু শেরপুর পৌর নওহাটা মিজবাওল উল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক সিফাত আহমেদের সহযোগিতায় ধর্ষণ করে।

একইভাবে ওই ছাত্রীকে আবারো ৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় একই বাসায় নিয়ে আসলে স্থানীয় লোকজন সুলতান মাহমুদকে আটক করে পুলিশে দেয়। পালিয়ে যায় সিফাত আহমেদ। পরে এ ঘটনায় ৪ আগস্ট রোববার শেরপুর সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ও সিফাত আহমেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর ধর্ষণ

আরও খবর



জমি থেকে ফসল পরিবহনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘোড়ার গাড়ি

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার আটঘরিয়ায় জমি থেকে ধান, পাট, তিল, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের পরিবহনের জন্য ঘোড়ার গাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে জমি থেকে ধান, পাট, গম, কেটে ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে বাড়িতে আনছে। এলাকায় শ্রমিক সংকট থাকার কারনে এই ঘোড়ার গাড়ি একমাত্র বাহন। শুধু ধান পরিবহনের ক্ষেত্রে নয় উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাতেই মানুষ পণ্যও পরিবহন করছে।

উপজেলার বাসিন্দা নাজিমউদ্দীন জানান, অতীতে আমরা দেখেছি গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি দিয়ে এসব পরিবহন করতো। আর মানুষের বিয়েতে এই ঘোড়ার গাড়ি করে বর নিয়ে যাওয়া ছিল ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমানে এই ঘোড়ার গাড়ি কৃষি পণ্যসহ সকল ধরনের মালামাল বাহনের একমাত্র উপায়। তাই গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি কালের বিবর্তনে প্রায় বিলুপ্তির পথে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিলাঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহনসহ ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা নেওয়ার জন্য বর্তমানে একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি।

বিলাঞ্চলে উৎপাদিত ফসল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। ছোট ছোট মোটরের টায়ারের চাকায় চলে এসব ঘোড়ার গাড়ি। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য অন্যান্য যানবাহনে কিছু কিছু জায়গা থেকে অনায়াসে চলতে পারলেও অনেক স্থানে যাতায়াতের অবস্থা ভাল না থাকায় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই ঘোড়ার গাড়ির চাহিদাও আছে। এ ঘোড়ার গাড়িতে ৩০০ থেকে ৫০০ ধানের আটি পরিবহন করা যায়।

ঘোড়ার গাড়ি চালকরা জানান, সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন তারা। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৫-১৭ হাজার টাকা। একটি ঘোড়া কিনতে লাগে আরও ৩০-৩৫ হাজার টাকা। সারাদিনে আয় হয় ১৫০০-২০০০ টাকা। তা দিয়ে সংসারের খরচ বহন করেন তারা।

ঘোড়ার মালিক আব্দুস সালাম বলেন, আমার ঘোড়াকে প্রতিদিন ছোলার বুট, ভূষি, চাউলের কুড়া, পর্যাপ্ত পরিমান সবুজ ঘাস খাওয়াই। সেই কারণেই আমার ঘোড়া সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ঘোড়ার গাড়ি

আরও খবর



ভারতের বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রাবি) শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা রাবির মেইনগেইটে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি চালান।

এসময় সেখানে 'তুমি কে আমি কে, আবরার আবরার' 'ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান', 'আমার দেশ ডুবলো কেন, সরকারের কাছে জবাব চাই', 'পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা' স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে আন্তর্জাতিক নদীগুলো আছে তার পানিগুলোর ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। ইতোপূর্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে ভারতের যে অন্যান্য ও গোপন চুক্তিগুলো হয়েছিল তা দ্রুত বাতিল করতে হবে এবং বাংলাদেশের সাথে আলোচনা না করে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া যাবে না।

আরবি বিভাগের শিক্ষক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, ভারতের সাথে প্রতিবেশি কোনো রাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক নেই। উগ্র, ফ্যাসিস্ট, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সেখানে শাসন করছে। তারা যেভাবে আমাদেরকে শোষণ করেছে তার অন্যতম একটি হলো নদীর পানি শোষণ।

তিনি আরো বলেন, 'আজকে এখানে তরুণ প্রজন্ম দেশ প্রেমের চেতনায় জেগে উঠেছে। কতটা দূরদর্শী ছিল আবরার ফাহাদ। এই ভারত নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় তাকে ফ্যাসিস্টদের দোসররা মেরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা দেশের প্রতিটা জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে ফেলেছিল। তারা শিক্ষার্থীদেরকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে দেয়নি। রাজনৈতিকভাবে ভারত বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা এখন পানি নিয়ে খেলা শুরু করেছে।'

প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটা অত্যন্ত দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি এবং একই সাথে এই রাষ্ট্রকে ভারতের অলিখিত কলোনিতে পরিণত করেছিল। এই কাজটি তারা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার সাথে কোন আধিপত্যবাদ চলে না। কোন জাতি কখনো আধিপত্যকে মেনে নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় হাজারাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অবশেষে কক্সবাজার নার্সিং ও মিড‌ওয়াইফারি কলেজের শিক্ষকদের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা আটকে রেখে কক্সবাজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ৫ শিক্ষককে অবশেষে পদত্যাগে বাধ্য করেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষকরা পদত্যাগ করেন।

জানা যায়, কক্সবাজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ফ্যাকাল্টির পুরো কমিটির পদত্যাগ চেয়ে একদফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি না মেনে উল্টো নারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছেলে শিক্ষার্থীরা অতর্কিত হামলা করে- এমন অভিযোগ এনে রবিবার বেলা ৩টায় ৫ শিক্ষিকা এবং ১১ ছাত্রকে প্রতিষ্ঠানের ওয়াশরুমে আটকে রাখা হয়। যার সূত্র ধরে দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‍্যাব এসে বৈঠক শেষে সকল শিক্ষক পদত্যাগ করে কলেজ থেকে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিআরএম জিহাদুল ইসলাম এবং ডা. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, কয়েক ঘণ্টা বৈঠকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষকরা মেনে নিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন সকল শিক্ষক। এখন কলেজটি শিক্ষক শূন্য হয়ে গেছে। কীভাবে এই সংকট দূর করা যাবে সেটি নিয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করেছেন।

এ বিষয়ে আন্দোলন সমন্বয়কারী শিক্ষার্থী উর্মী আক্তার বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছিলাম। যেহেতু দুর্নীতিতে পুরো ফ্যাকাল্টি জড়িত ছিল তাদের পদত্যাগ আমরা চেয়েছি। আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট কিন্তু আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। যেহেতু শিক্ষক শূন্য হয়ে গেল সেহেতু আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



টাকা পাচারকারীদের শান্তিতে ঘুমাতে দেব না: গভর্নর

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের টাকা যারা পাচার করেছে তাদের শান্তিতে ঘুমাতে দেব না। তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে না পারলেও আইনের ভিত্তিতে দৌড়ের ওপর রাখা হবে।

আজ বুধবার গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ব্যাংকখাতের আজকের এ খারাপ অবস্থার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও দায়ী। এখন দেখার বিষয় কেন তারা অনিয়মে সহায়তা করেছেন। তবে মনে রাখতে হবে, সামগ্রিকভাবে জাতিগত পতনের সঙ্গে ব্যাংকখাতের খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখনকার মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। এটা কমে আসবে। তবে আজই কমবে তা না। কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রিজার্ভ বাড়ানো ও মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের লিডারশিপ নিয়ে এর আগে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। সম্প্রতি দু-একজনকে নিয়ে কথা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।


আরও খবর



সিলেটে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সিলেট জেলার সাধারণ বাস, মিনিবাস মালিকবৃন্দ।

মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সিলেট-ঢাকাদক্ষিণ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অফিসে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিলেট-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর-লামাকাজী-টুকেরবাজার মিনিবাস ও কোস্টার মালিক গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট-ঢাকা দক্ষিণ বাস, মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট-তামাবিল মালিক গ্রুপের সদস্য মামুন মিয়া, সিলেট-জগন্নাথপুর মালিক গ্রুপের সদস্য শাহজাহান মিয়া, ইরন মিয়া, সিলেট-মৌলভীবাজার মালিক গ্রুপের সদস্য ফানসুর আলী, সুহেল আহমদ, সিলেট-ঢাকাদক্ষিণ মালিক গ্রুপের সদস্য মাসুদুর রহমান চৌধুরী, মিসবাহ উদ্দিন, সিলেট-জকিগঞ্জ মালিক গ্রুপের সদস্য আব্দুল মন্নান, আনোয়ার হোসেন, সিলেট-তামাবিল মালিক গ্রুপের সদস্য সাহেদ আহমদ, সাগরিকা পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য নোমান উদ্দিন, কামরান আহমদ, মিতালী মালিক সমিতির সদস্য ফরহাদ আহমদ, সিলেট-জগন্নথপুর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মনির।

সভায় বক্তারা বলেন, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বিগত ২০১৬ হতে ২০২৪ ইং (জুন) পর্যন্ত জেলা মালিক সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বৈষম্যমূলক ভাবে সাধারণ মালিকদের অবমূল্যায়ন করেন। নির্বাচন বিহীন দলীয় ব্যক্তি দ্বারা কমিটি গঠন করে বে-আইনী ভাবে চাঁদা আদায় করে নিজেদের এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা দিয়ে অবৈধ কমিটি বহাল রেখেছেন যা সড়ক পরিবহন আইনের পরিপন্থী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে সাধারণ মালিক কোন আয়-ব্যয়ের হিসাব নিতে পারেনি বরং এ ব্যাপারে কথা বললে, বিভিন্ন ধরনের হয়রানী ও দমন পীড়নের ব্যবস্থা নিতেন বলে জানানো হয়। সভায় বর্তমান কমিটি বিগত বছরগুলোতে প্রায় ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানানো হয়।

বক্তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সকল সাধারণ মালিকগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহবান জানান।


আরও খবর