শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জামালপুরের কেন্দুয়া কালিবাড়ি ইয়াছিনপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে অপর মাদ্রাসা শিক্ষক সিফাত আহমেদ গাঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সাথে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হরিনধরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও জামালপুর কেন্দুয়া কালিবাড়ী ইয়াছিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম এবং স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক সুলতান মাহমুদের ৫/৬ মাস আগে মোবাইলে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সুলতান মাহমুদের দুই স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার পরও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে প্রায় দুইমাস আগে ওই শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করে। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার এক বাসায় নিয়ে প্রথমবার ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৩১ জুলাই আবারো ওই শিক্ষার্থীকে ওই একই বাসায় নিয়ে যায়। এবং তার বন্ধু শেরপুর পৌর নওহাটা মিজবাওল উল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক সিফাত আহমেদের সহযোগিতায় ধর্ষণ করে।
একইভাবে ওই ছাত্রীকে আবারো ৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় একই বাসায় নিয়ে আসলে স্থানীয় লোকজন সুলতান মাহমুদকে আটক করে পুলিশে দেয়। পালিয়ে যায় সিফাত আহমেদ। পরে এ ঘটনায় ৪ আগস্ট রোববার শেরপুর সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ও সিফাত আহমেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।