মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে আসা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার
(এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে সিগারেট খাওয়ানোর কথা বলে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে
যাওয়া হয়। সেখানে ‘অ্যাগ্রেসিভ প্যাসেন্ট ম্যানেজমেন্ট রুমে’জোরপূর্বক তাকে ঢুকিয়ে উপুড় করে আসামিরা
দুই হাত পিঠ মোড়া করে বাঁধে। বাঁধতে বাঁধতেই ঘাড়ে, মাথায়, পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন
স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে আনিসুল করিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ,
কয়েকজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
৯ নভেম্বরের ওই ঘটনার পর ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুলের
বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা
করেন। এর মধ্যে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে মাসুদ, অসীম, আরিফ মাহমুদ, সজীব
চৌধুরী, তানভীর হাসান ও তানিম মোল্লা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ঢাকার মুখ্য মহানগর
হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে তারা জানান, ৯ নভেম্বর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার
(এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে সিগারেট খাওয়ানোর কথা বলে মাইন্ড এইড হাসপাতালের দ্বিতীয়
তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে জোরপূর্বক তাকে ঢুকানো হয়।
ওই রুমে নিয়ে তাকে উপুড় করে শুইয়ে আসামিরা দুই হাত পিঠ মোড়া
করে বাঁধেন। বাঁধার সময় ঘাড়ে, মাথায়, পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যপুরী আঘাত
করা হয়। এভাবে আনিসুল করিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।