সিলেট সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচারণা।
সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার
৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭
জন এবং ছয়জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ওই সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ
ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন।
আরও পড়ুন<< রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে
মেয়রপ্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো.
নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান
চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন
রিমন, মো. শাহজাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সাধারণ কেন্দ্রে
১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে
মোট ৪২টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১৪টি স্ট্রাইকিং
ফোর্স প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুইটি সাধারণ
ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ২২টি র্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন
করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ৪২ এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন।
এদিকে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টার
জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটের দিন সীমিত থাকবে যন্ত্রচালিত
যান চলাচল। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সব ধরনের মিছিলের ওপরও।