আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

সিলেট-সুনামগঞ্জে পৌনে ২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। শুক্রবার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বৈদ্যুতিক খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার সিলেট সুনামগঞ্জে সব বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।  সুনামগঞ্জ জেলা ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।

এ অবস্থায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় পৌনে দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচইয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট অঞ্চলও বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে জেলা শহরে বিদ্যুৎ নেই। সকাল ৯টার দিকেও আসেনি বিদ্যুৎ। দুর্ভোগে মাত্রা যোগ করেছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কহীনতা। জেলা শহরে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা গেছে, বাসাবাড়ির মিটার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় নগরের উপশহর এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দক্ষিণ সুরমা বিদ্যুতের সাবস্টেশনে পানি ওঠায় পুরো দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২-এর জেনারেল ম্যানেজার দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী ও সঞ্জীব কুমার রায় শুক্রবার জানিয়েছিলেন, সমিতির সিলেট-১-এর অধীন ৪ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহক এবং সিলেট-২-এর অধীন ২ লাখ ১২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে অন্তত ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শনে চুয়েট ভিসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ আগত বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এসময় পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন তিনি।

বুধবার চুয়েট টিএসসি সম্মুখে অবস্থানরত ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আদর্শ, ত্যাগ তিতিক্ষা, দেশপ্রেমিক চিন্তা ভাবনা ও বলিষ্ট নেতৃত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পবিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বাসটি প্রস্তুত করেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল করিম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানসহ অন্যান্য অফিসিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সকাল থেকে চুয়েট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



সাবেক ডিএমপি কমিশনারের তথ্য প্রকাশ, পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। 

জিসানুল হক গাজীপুর মহানগর পুলিশের বৈধ আড়ি পাতা শাখায় (এলআইসি) কর্মরত ছিলেন। তাঁকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জিএমপির সিটিএসবি এন্ড প্রটেকশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৯(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী সরকারি চাকুরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্বারা তাকে সরকারি চাকুরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে, গত ১৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করে একটি চিঠি দেয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। এতে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১২ জুন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে জাওয়াদ নির্ঝর নামের একটি ফেইসবুক আইডির একটি পোস্টে ডিএমপি'র সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নিয়ে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টের কমেন্ট সেকশনে জাওয়াদ নির্ঝর নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল এর লিংক উদ্ধৃত থাকে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রবেশ করলে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিটে ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ইএসএএফ ফর্ম সম্বলিত একটি টেলিগ্রাম পোস্ট পাওয়া যায়। এর কিউআর কোড পর্যালোচনায় ইএসএএফটি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার এনটিএমসির এনআইপি সার্ভার থেকে এএসআই মোঃ আরিফ হোসেনের আইডি থেকে ডাউনলোড হয়।

এতে আরও বলা হয়, জিএমপির ডিবির (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনের দাখিলকরা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, জিসানুল হক তাঁর ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নাম্বারের হোয়্যাটসঅ্যাপ থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এলআইসি শাখায় কর্মরত এসআই পরিমল চন্দ্র দাসের ব্যক্তিগত হোয়্যাটসঅ্যাপে আছাদুজ্জামান মিয়ার মোবাইল নম্বরের এনআইডি চেয়ে মেসেজ দেন। এ প্রেক্ষিতে পরিমল চন্দ্র দাস সরকারী নিপ সেবা হটলাইন নাম্বারে এনআইডি সরবরাহের বার্তা দেন। বার্তা পেয়ে ওই দিন রাত ৮টা ৩৯ মিনিটে এলআইসিতে ডিউটিরত এএসআই মোঃ আরিফ হোসেন তার নিপ আইডি থেকে ইএসএএফ ডাউনলোড করে হটলাইনের হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে এসআই পরিমল চন্দ্র দাসের হোয়্যাটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়, পরদিন পরিমল চন্দ্র দাস এটি জিসানুল হকের সরকারী মোবাইল নাম্বারের হোয়্যাটসঅ্যাপে পাঠান। উক্ত লগইন জিএমপির এলআইসিতে রক্ষিত রেজিস্টারেও পাওয়া যায়। স্পর্শকাতর তথ্য সরকারি উদ্দেশ্য ব্যতিত সংগ্রহ করা অপেশাদার সুলভ আচরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হিসেবে পরিগণিত। এ অবস্থায় জিসানুল হকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রেরণ সাপেক্ষে বর্ণিত কর্মকর্তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্তপূর্বক রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করে  বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মাঠপর্যায়ে সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের। সেজন্য সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের আগে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা হলে সেটি আরো কার্যকর হবে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

বুধবার সকালে রোড ক্র্যাশের কারণ হিসেবে গতি শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে, গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) ৪ ও ৫ জুন দুই ব্যাচে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৪ জন প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়।

তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোকে নিরাপদ করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিরাপদ সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণের দায়িত্ব চসিক ও সিডিএর এবং যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিআরটিএর মতো অংশীদার সংস্থা রয়েছে। পুলিশ শুধু আইন প্রয়োগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। সেজন্য নগরীতে যথাযথ সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবগুলো সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) নাসির উদ্দিন,  জিআরএসপির সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা রাসেল নাইম্যান ও পল সিমকক্স প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন।

এ প্রশিক্ষণে তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ভূমিকা, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের চেকপয়েন্টগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির উপর আলোচনা করেন। এসময় অংশগ্রহণকারীদের হাতেকলমে স্পিড ক্যামেরার ব্যবহারও শেখানো হয়।

প্রসঙ্গত, দেশে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের যানবাহনভেদে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৪০ কিমি/ঘণ্টা, যদিও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে তা ৩০ কিমি/ঘণ্টা।

কর্মশালায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, পুলিশ পরিদর্শক, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও উপ-পরিদর্শক পদবির কর্মমর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে মান্যবর সিএমপি কমিশনার অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ান উৎসব, এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন, ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর সুতপা তাসনিম ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান।

এর আগে এবছরের মার্চে জিআরএসপি সিএমপির ৭৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে রোড ক্র্যাশ তদন্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিল।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর হবে ‘গেম চেঞ্জার’: রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি গেম-চেঞ্জার, যা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

রবিবার (২ জুন) রাতে চীনা দূতাবাসে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি (প্রধানমন্ত্রীর সফর) হবে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর। এটি হবে একটি গেম-চেঞ্জার। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী বেইজিং সফরের তারিখ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, লেটস ওয়েট অ্যান্ড সি।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বর্তমানে বেইজিং সফর করছেন।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)-এর সহযোগিতায় চীনা দূতাবাস চীন-বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট: এ মিউচুয়ালি বেনিফিশিয়াল অ্যান্ড উইন উইন চয়েজ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-চীন মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি নিশ্চিত যে চীন-বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষর নিঃসন্দেহে পারস্পরিক সুবিধা এবং সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে, যা চীন-বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার একটি নতুন সোনালি যুগের সূচনা করবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- আরএপিআইডি চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বিসিসিআই মহাসচিব আল মামুন মৃধা এবং সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়াং।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটের দুই ছাত্রের পরিবার পেলো ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, গত ২২ এপ্রিল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন সত্যপীরের মাজার সংলগ্ন সড়কে বাসের সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত ও অপর ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সড়কে অকাল মৃত্যু আমরা কখনো কামনা করি না। এর পরেও দুর্ঘটনা থেমে নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় কারও অকাল মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এর পরেও সরকার, জেলা প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতিক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। সড়ক পরিবহণ আইন মেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে। বাইক চালালে লাইসেন্স ও হেলমেট পরিধান বাধ্যতামূলক। লাইসেন্স ও ডকুমেন্টবিহীন গাড়ি চালানো যাবেনা।

দুর্ঘটনায় চুয়েটের নিহত দুই ছাত্র-যথাক্রমে শান্ত সাহা ও তাওফিক হোসেনের পরিবার ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা এবং আহত ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু ৩ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটের দুইজন ছাত্রের পরিবার ও আহত ছাত্রের অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ঐদিন (২২ এপ্রিল) দুর্ঘটনার পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে এ সড়ক প্রশস্তকরণ, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর দাবি ছিল। আমরা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা নিহত দুই ছাত্রের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ ও আহত শিক্ষার্থীর জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক নহায়তা হিসেবে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ ও আহত ছাত্রকে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ ও আহত ছাত্রকে ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে চুয়েটের সড়কটি প্রশস্তকরণ করা হবে। নিহত দুই ছাত্র শান্ত সাহা ও তৌফিকুর রহমানের নামে এ সড়কের নামকরণ করার বিষয়ে নিহত ছাত্রদ্বয়ের অভিভাবকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগকে প্রস্তাবনা পাঠাবো। দুর্ঘটনায় যে দুইজন ছাত্র মারা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নামে কোন ভবন বা চত্ত¡র নামকরণ করা যায় কি না জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপনসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

ডিসি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুইজন ছাত্র নিহত হয়েছেন। একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন। তিনি আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। 

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন। এসময় আমাদের ছাত্ররা বেশকিছু দাবি উত্থাপন করে। তিনি তাদের দাবিগুলো পূরণের অঙ্গিকার করেন। তিনি কথা রেখেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা মর্মাহত। যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে চলে আসে। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানেবক্তব্য রাখেন চুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে পুত্রের মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত ছাত্র শান্ত সাহার পিতা কাজল সাহা ও মৃত তাওফিক হোসেনের পিতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন আহত ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, নিহত ও আহত ছাত্রদেও পরিবারের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

উল্লেখ্য যে, গত ২২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। রাঙ্গুনিয়া থানার সত্য পীরের মাজার গেইট সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তাওফিক হোসেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর