আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সিন্ডিকেটকারীদের ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিন্ডিকেটকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী এদিন বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

রোজায় পণ্য সরবরাহের ঘাটতি নেই জানিয়ে এরপর বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনওভাবেই তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

এছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় বর্জনের জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ক্রেতার আচরণও অনেক সময় পণ্যের হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন আমার প্রয়োজন ২ লিটার তেল, বাজারে গিয়ে একবারে ১০ লিটার কিনলে তাতে অনেক সময় হঠাৎ করে দাম বাড়াতে পারে। এই আচরণেরও পরিবর্তন প্রয়োজন।

এর আগে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই ও বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ পৃথক বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে।

এসব বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।


আরও খবর



তরুণ প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, তরুণ প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার কোনো নীতিমালা থাকুক, এটা চায়নি বিএনপি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলি-বোমার শব্দ ও সেশনজট ছিল নিয়মিত বিষয়।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।


আরও খবর



স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আইজিপির পদ থেকে অবসরের পর দুর্নীতির অভিযোগে দেশজুড়ে আলোচনায় এখন বেনজীর আহমেদ। দায়িত্ব পালনের সময় অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তিনিসহ পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি দমন কমিশন তলবও করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে স্ত্রীসহ চলে গেছেন সিঙ্গাপুরে।

৪ মে রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনেসের একটি ফ্লাইটে করে তিনি দেশত্যাগ করেন বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ওই সূত্র বলেছে, স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলেই তিনি দেশের বাইরে যাচ্ছেন বলে তার স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলেছেন। তবে প্রভাবশালী মহলের একাংশকে দেশ ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করেই তিনি দেশ ছেড়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুদকে তলব করাসহ সবকিছুর বিষয়ে তিনি আগাম ওয়াকিবহাল ছিলেন। প্রভাবশালী একটি মহল তাকে আগাম সবকিছু বলে দিয়েছিল। তবে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই বিব্রত।

জানা গেছে, আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। আর ৯ জুন তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ডেকেছে সংস্থাটি।

দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগ ওঠার পর বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক স্বজনের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি ক্রোক বা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই দিন বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।

তাছাড়া বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা মাদারীপুরে ২৭৬ বিঘা (৯১ একর) জমি এবং বেনজীরের পরিবারের নামে থাকা গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটও জব্দের আদেশ দেন আদালত। বেনজীর পরিবারের নামে থাকা ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করার আদেশও দেওয়া হয়। সাভারে তাদের কিছু জমিও পড়েছে একই আদেশের মধ্যে। এরই মধ্যে সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজদের তালিকা পেলে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটকে ভারসাম্যমূলক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। এ বাজেটকে সাহসী, গণমুখী ও জনবান্ধন বলে মনে করেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিতে তারা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তারা বলছে, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবেন। যাদের নেতারা দুর্নীতিবাজ তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবেন, এটা এই বছরের সেরা জোক।

আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ আছেন, তাদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে তালিকা চাইলেন কাদের। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের তালিকা দেন, আমরা তা দুদককে দেব।

সিপিডি, সুজন, টিআইবি কী বললো তাতে আমাদের মাথাব্যথা নেই জানিয়ে কাদের বলেন, অনেকের গোপন টাকা আছে। বাজেটের মাধ্যমে ওই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আছে, কিন্তু অন্যায়ের শাস্তি কমানোর সুযোগ নেই। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে আমরা তাদের অর্থনীতির মূল ধারায় আনার চেষ্টা করেছি।

কাদের আরও বলেন, বাজেটের একটাই চ্যালেঞ্জ, তা বাস্তবায়ন করা। তা বাস্তবায়নে সরকার এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমরা কাজ করছি।’


আরও খবর



শেয়ারবাজারে দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর বসাতে যাচ্ছে সরকার এতদিন এ খবর ছিল গুঞ্জন আকারে। এবার তা সত্যি হয়ে আসছে। শেয়ার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি যত টাকা মুনাফা হবে, তার ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন, তাতে এমন প্রস্তাব থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানো হচ্ছে। এতে করহার ব্যবধান বর্তমানের সাড়ে ৭ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশে নামবে।

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, দলে দলে সব শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছেন তারা, তখন নীতি-সহায়তার পরিবর্তে করের চাপ বাড়ালে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুধু এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের দরপতনে ৯৪ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। ফলে বাজারের জন্য এখন দরকার সরকারের নীতি-সহায়তা। অথচ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমিয়ে তালিকাভুক্ত হতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। এর কম শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হলে, তাদের করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে এ করহার আড়াই শতাংশ হারে বাড়িয়ে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে উভয় ধরনের কোম্পানির করপোরেট করহার থেকে আড়াই শতাংশ করে ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তটি হলো ৫ লাখ টাকার বেশি একক যে কোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং বার্ষিক ব্যয়ে নগদ লেনদেন কোনোভাবেই ৩৬ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। অবশ্য এ শর্ত নতুন নয়। চলতি অর্থবছরেও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো এখনকার নির্ধারিত করহার কম। তবে শর্ত না মানলে তা আড়াই শতাংশ বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন কর প্রস্তাবে আগেই করহার বাড়ানো হচ্ছে। শর্ত মানলে করছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার না কমালেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়েছে। এবার এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে নতুন করে কোম্পানি আসা যখন প্রায় বন্ধের পথে, তখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত করহার ব্যবধান কমানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এ ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন তা ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আরও নিরুৎসাহিত হবে। সরকারের এ নীতির ফলে শেয়ারবাজার সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়বে ও সংকুচিত হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের প্রতি বিমাতাসুলভমড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারকে স্বাভাবিক করতে তারা সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মূলধনি মুনাফায় করারোপ এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমানোর খবরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার ব্যবধান বাড়ানো উচিত। মূলধনি মুনাফায় কর আরোপের খবরেও তিনি একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই কর প্রস্তাব যাতে সরকার প্রত্যাহার করে নেয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল জানান, যৌথসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ জুন (শনিবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি। ওইদিন বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই (সোমবার) একই দাবিতে সারাদেশের সব মহানগরে সমাবেশ পালন করবে দলটি। এছাড়াও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ৩ জুলাই (বুধবার) দেশের সব জেলা সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, যেকোনো সময় তার জীবনহানি হতে পারে। এমন মামলায় অন্যরা মুক্তি পেলেও আদালতের দোহাই দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়া সামনে আসলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার মুক্তিই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। এ সময় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।


আরও খবর