আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

সিসিক কাউন্সিলরের বাসায় হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার প্রতিবাদে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

রোববার (৩০ জুন) নগর ভবনসহ একই সঙ্গে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে ১ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর ভাটাটিকর এলাকায় কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলার ঘটনায় শনিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিষদ সভা করে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর অংশ হিসেবে রোববার এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। আগামীকাল ১ জুলাই সোমবার টিলাগড় পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি ও ২ জুলাই মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। শুক্রবার রাতে ১৪ জন অভিযুক্তের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলরের বাসায় হামলার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



‘আমরা কখনোই বলিনি এমপি আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা আমরা কখনোই বলিনি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে তিনি চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত আপনারা কী মনে করছেন? জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এমপি আনার, তা আমরা কখনোই বলিনি।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি ঝিনাইদহ সন্ত্রাস-পূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে, সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পর আপনাদের সবকিছু জানাব।

আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে ডরিন সন্দেহজনকদের নাম বলেছেন। কাদের নাম বলেছেন তিনি এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন তদন্ত চলে তখন আমাদের মন্ত্রী, আইজিপি কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পক্ষে তদন্ত না করে কোনো কিছুই বলা সম্ভব না। আমরা মনে করি তদন্ত শেষ হলে এগুলো নিয়ে কথা বলব।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশের ট্রেনিংয়ের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে কয়েকদিন ট্রেনিং দেওয়া হয়। যাতে মেন্টাল স্ট্রেস তাদের কম থাকে। গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে সেটা নিয়ে আইজিপি রিসার্চ করছেন।


আরও খবর



বাঁশখালীর বৈলছড়ীতে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ, দুর্ভোগে মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বৈলছড়ী কে.বি বাজার তথা কাঁচা বাজার হয়ে পূর্বদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিনের বাড়ী হয়ে যাওয়া শহীদ ফরহাদ সড়ক (ধলা সড়ক) সংস্কার কাজ দীর্ঘ ৪-৫ মাস যাবৎ বন্ধ করে রাখার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বৈলছড়ী ইউপির ২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তত ১০/১২ হাজার পরিবারের মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কটি নতুন ভাবে সংস্কার করার জন্যে পুরানো ইট গুলো খোলে নেওয়ার পর প্রায় ৪/৫ মাস পার হলেও আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের সংস্কার কাজ শুরু না করায় পুরো সড়কটি এখন যেনো জলাশয়।

এতে গাড়ী চলাচল করাতো দূরের কথা, এমনকি মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও কষ্টসাধ্য হচ্ছে।এছাড়াও ওই এলাকার খাঁনবাহাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রাসরুটস স্কুল, নুইন্না পুকুর পাড় মোহাম্মদীয়া রউফিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, পূর্ব বৈলছড়ী দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার অন্তত ১০/১২ হাজার পরিবারের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি সংস্কারের নামে সড়কটির পুরানো ইট গুলো ৪/৫ মাস আগেই খোলে ফেলা হয়েছে, কিন্তু অদ্যবদি পর্যন্ত কোনো ধরনের সংস্কার কাজ শুরুও করা হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো সড়ক জলাশয়ে পরিণত হয়েছে, যার ফলে আমাদের ছেলে -মেয়েরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পর্যন্ত যেতে পারছেনা। একমাত্র এই ব্যস্ততম সড়কটি ছাড়া যাতায়াতের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় বাজারেও যেতে পারছেনা মানুষ।এই ব্যস্ততম জনপদের ভোগান্তি দর করতে সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যে জনপ্রতিনিধি ও উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় মোঃ মনসুর আলম বলেন, শহীদ ফরহাদ সড়কটি ছাড়া এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের বিকল্প কোন সড়ক নেই, সরকারি বরাদ্দ আসার পর সড়কটির সংস্কারের জন্যে পুরানো ইট গুলো  খোলার প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত সড়কটিতে কোনো ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়নি। ইঞ্জিনিয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে, সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো সড়কটি এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে মানুষকে ভোগান্তিমুক্ত করতে কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান মনসুর আলম।

এ বিষয়ে সাব-ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমানের এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই সড়কে আমি দায়িত্বে নেই, তবে আমি যতোটুকু জানি সড়কটির জায়গা নিয়ে জটিলতা আছে, তাই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও টিকাদারসহ বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিনের সাথে বসছিলাম,জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধান করার কথা হয়েছিল, কিন্তু এরপর কি হয়েছে না হয়েছে সেটা আমি জানিনা।

উপজেলা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ এর সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করলেও মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামীকাল বুধবার (২৬ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পাবে। তবে কী ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে অবৈধ সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং সংবিধানবিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তাঁর বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। তিনি ভারতের সঙ্গে ২টি চুক্তি ৫টি নতুন সমঝোতা স্বারক ও ৩টি চুক্তি নবায়নসহ ১০টি চুক্তি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করছি। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের কোনো চুক্তি না করা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না করা, একতরফাভাবে ভারতকে সকল সুবিধা প্রদান করে বাংলাদেশের স্বার্থ ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগের সমঝোতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতা, ওষুধ সংক্রান্ত সমঝোতা, বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতের অবাধ বিচরণ এবং ভারতের ইনস্পেস ও বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, রেলমন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, সমুদ্রবিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা ইত্যাদি সমঝোতাগুলোতে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভারতকে সব সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে ভারতের কাছে থেকে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ আদায় করতে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন এবং এটা ম্যান্ডেট বিহীন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বহিঃপ্রকাশ।

এই অবৈধ সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেছে। এই চুক্তিগুলোকে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী হওয়ায় বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন আগামী ২৮ জুন (শুক্রবার) বিকেল ৩টা অনুষ্ঠিত হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিশোরগঞ্জে হাওরের মাঝখানে সড়ক নির্মাণ এবং বেশ কিছু এলাকায় মাটি ভরাট করে কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত নিষ্কাশিত না হওয়ায় এ ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরসহ বিভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির তলে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারের কোনো ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের জন্য সভায় দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপির একটি ত্রাণ টিম অতিদ্রুত সিলেট সফর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের অভিষেক হয়েছিল ইতিহাস গড়ে। একাধিক রেকর্ড ভেঙে তারা হারায় কানাডাকে। ওই ম্যাচ জয়ে অনুপ্রাণিত আমেরিকা এবার বিশ্ব ক্রিকেটকে চমকে দিলো। বাংলাদেশের মতো দুর্ভাগ্য বরণ করলো এবার পাকিস্তান। প্রথম কোনও পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে তারা জিতেছিল বাংলাদেশকে হারিয়ে। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছিল মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল। এবার তারা বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হারালো আরেক পূর্ণ সদস্য দেশ পাকিস্তানকে। পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়িয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নেয় স্বাগতিকরা। তারপর যোগ্য দল হিসেবে বাবর আজমের দলকে অপ্রত্যাশিত হারের স্বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

পাকিস্তানের পেস আক্রমণকে যেনতেন নয়, বিশ্বসেরা বলেছিলেন সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। শাহীন শাহ আফিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফের এই আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাবররা যত তাড়াতাড়ি পারে, এই হার ভুলে যেতে চাইবে।

দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৫৯ রানে আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। লক্ষ্যে নেমে দারুণ শুরু হয় তাদের। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলে তারা। স্টিভেন টেলর ১৬ বলে ১২ রান করে পাকিস্তানের প্রথম শিকার হন। নাসিম তাকে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানান।

তারপর মোনাঙ্ক প্যাটেল ও আন্দ্রিয়েস গাওস যেন পাকিস্তানের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন। ১৩তম ওভারে দলীয় স্কোর সেঞ্চুরি হয়ে যায়। অবশেষে ৬৮ রানের এই জুটি ভেঙে দেন হারিস। গাওসের অফস্টাম্প ভেঙে দেন পাকিস্তানি পেসার। তার আগেই মোনাঙ্ক শাহীন আফ্রিদিকে টানা চার-ছয় মেরে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। এরপর অধিনায়ক আর বেশিক্ষণ টেকেননি। আমিরের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন তিনি ৩৮ বলে ৫০ রান করে।

৩৬ বলে যুক্তরাষ্ট্রের তখন লাগতো ৪৯ রান। আমির, শাহীনের আঁটসাঁট বোলিংয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ ওভারে লাগতো ১৫ রান। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ২৩ রান দেওয়া হারিসের কাঁধে দায়িত্ব পড়ে দলকে জেতানোর। প্রথম তিন বলে তিনি ৩ রান দিলেও চতুর্থ বলটি ফুলটস পেয়ে ছক্কা মারেন কানাডা বধের নায়ক অ্যারন জোন্স। ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। শেষ দুই বলে প্রয়োজন কমে দাঁড়ায় ছয় রানে। পঞ্চম বলটি জোন্স সিঙ্গেল নেন এবং নিতিশ কুমার শেষ বলে চার মারলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ৩ উইকেটে ১৫৯ রান করে যুক্তরাষ্ট্র। ২৬ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জোন্স ও ১৪ রানে খেলছিলেন নিতিশ।

সুপার ওভারে বল করেন আমির। অবসর ভেঙে ফেরা এই পেসারের দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয়। প্রথম বলেই চার মারেন জোন্স। দ্বিতীয় বলে দুই রান নেন আমেরিকার ব্যাটার। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। পরেরটি ওয়াইড, দুটি রান যোগ হয়। আরও দুটি ওয়াইড দেন পাকিস্তানি পেসার। শেষ বলে রান আউট হন জোন্স। তাতে ১৯ রানের কঠিন টার্গেট দেয় স্বাগতিকরা।

ফখর জামান ও ইফতিখার আহমেদ সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিলেন। সৌরভ নেত্রাভালকার বোলিংয়ে আসেন। প্রথম বল ডট দেন তিনি। দ্বিতীয় বলে ইফতিখার চার মারেন। পরেরটি ছিল ওয়াইড। তৃতীয় বৈধ বলে ইফতিখারকে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান নিতিশ। পরেরটি ওয়াইড, তারপর লেগ বাই থেকে চার রান যোগ হয়। পঞ্চম বলে দুটি রান নেন শাদাব খান। শেষ বলে লাগে ৭ রান। ছক্কা মেরে আরেকটি সুপার ওভারে নিতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটার। ১ উইকেটে ১৩ রান করে পাকিস্তান।

সুপার ওভারে ৫ রানে জিতে আরেকটি ইতিহাস গড়ার আনন্দে মেতে ওঠে গ্যালারি, উচ্ছ্বাসে ভাসেন ক্রিকেটাররা। প্রথমবার কোনও পূর্ণ সদস্য দেশ নয়, এমন দলের কাছে হারে পাকিস্তান।

গ্রুপে দুই ম্যাচ খেলে শতভাগ সাফল্যে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে টেক্সাসে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান বিপদে পড়েছিল। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলেন বাবর (৪৪) ও শাদাব (৪০)। তাদেরকে ১৫৯ রানে আটকে দিতে নসথুশ কেনজিগে তিন উইকেট নেন। দুটি পান সৌরভ।

ম্যাচে যত ব্যক্তিগত রেকর্ড

সৌরভ নেত্রাভালকার এই ম্যাচে দুটি উইকেট নিয়েছেন। তাতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ২৯ উইকেট নিয়ে সর্বকালের শীর্ষ বোলারের আসনে এই পেসার। পেছনে ফেলেছেন ২৭ উইকেট নেওয়া নিসর্গ প্যাটেলকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফিল্ডার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০ ক্যাচ নিয়ে নিসর্গকে (৯) ছাড়িয়ে সবার উপরে এখন স্টিভেন টেলর।

বাবর আজম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় এতদিন শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলেছেন। ৪০৬৭ রান পাকিস্তানি অধিনায়কের। ৪০৩৮ রান নিয়ে দুইয়ে কোহলি।


আরও খবর



হরিজন পল্লী উচ্ছেদের প্রতিবাদে শেরপুরে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

বাংলাদেশের ৪০০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ ঢাকার বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন পল্লী উচ্ছেদের প্রতিবাদে শেরপুরের হরিজনরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

১৫ জুন শনিবার বেলা ১১ টায় শহরের শীতলপুরস্থ হরিজন পল্লী থেকে হরিজনরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের নিউমার্কেট মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা সেখানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি বিমল হরিজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হরিজনদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন,

জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, বিডিইআরএমের সাধারণ সম্পাদক তাপস বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্বান বিশ্বাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র কল্যাণ পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি শুভঙ্কর সাহা, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার কোষাধক্ষ্য বিপ্লব হরিজন, নারী নেত্রী মুক্তা হরিজন, সন্তোষ হরিজন, নন্দ কিশোর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা এসময়, বাংলাদেশের ৪০০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ হরিজন সম্প্রদায়কে অনৈতিকভাবে উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে তাদের পুনর্বাসনসহ চারটি পৃথক দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো, ঢাকা বংশালে মিরনজিল্লা হরিজন পল্লীর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, শত শত বছর ধরে বসবাসকারী হরিজনদেরকে তাদের বসবাসকৃত ভূমিতে মালিকানা প্রদান এবং মানসম্মত বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে, প্রতি হরিজন পরিবার থেকে অন্তত একজনকে ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় চাকরি প্রদানসহ সকল হরিজনদের চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

আদালতের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে পরবর্তী আন্দোলনে যাবেন বলে জানান হরিজন নেতৃবৃন্দরা।


আরও খবর