আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সংবাদ প্রকাশের পর সংস্কার হলো সড়কের সেই ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ) সড়কটির মামুরখাইন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেই গর্ত সংস্কার করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল। গতকাল মঙ্গলবার  "সড়ক যেন মরণফাঁদ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল" শিরোনামে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকায়।


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ)সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। তবুও তার পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-মাঝারি সহ নানা যানবাহন। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দিনের বেলা পাশ কাটিয়ে চলাচল করলেও রাতের বেলায় রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: পদ্মায় নৌকাডুবি: কৃষকের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় মাঝখানে সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন।ওষখাইন মামুরখাইন,তাতুয়া ও শিলালিয়াসহ চার গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ব্যস্ততম সড়কটির বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের হাজারো মানুষ।ওইস্থান দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ও জীবনহানির ভয়ে যাত্রী ও গাড়িচালকদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা যায়।

আরও পড়ুন: ঝরনা দেখতে এসে আটকা পড়া ১৫ পর্যটক উদ্ধার

স্থানীয়দের এমন অভিযোগ প্রতিবেদকের মাধ্যমে জানতে পেরে উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, ঈদের আগে তাৎক্ষণিক সড়ক সংস্কার করা সম্ভব নয়। পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান চাইলে জনগণের সুবিধার্থে মেরামত করে দিতে পারেন। এ সড়কের গর্তের বিষয়ে আমি প্রস্তাব পাঠাবো।আশ্বাস প্রদানের কয়েক ঘন্টার পর বুধবার সকালে ‍রাস্তার সেই গর্তটি সংস্কার করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল। চেয়ারম্যানের তাৎক্ষণিক এমন কার্যকর পদক্ষেপে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।



আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মার্কিন রণতরীতে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার (রণতরী) এবং আরও দুটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইমেয়েনে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) লোহিত সাগর এবং ভারত মহাসাগরে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া।

তিনি জানান, তারা যে দুটি জাহাজে হামলা করেছেন, সেগুলো হল- সাইক্ল্যাডেস এবং এমএসসি ওরিয়ন।

ভারত মহাসাগরে এমএসসি ওরিয়ন কন্টেইনারটির ওপর ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। পর্তুগালের পতাকাবাহী এই জাহাজটি পুর্তগাল ও ওমানের মধ্যে চলাচল করছিল। এর মালিক জোডিয়াক ম্যারিটাইম। এর আংশিক অংশীদার ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ফায়াল ওফার। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি।

ব্রিটিশ ম্যারিটাইম সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আমব্রে সোমবার জানায়, মাল্টার পতাকাধারী কন্টেইনার সাইক্ল্যাডেস-এর ওপর হামলা চালানোর কারণ হল ইসরায়েলের সাথে এর বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা। এটি জিবুতি থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা যাচ্ছিল।


আরও খবর



মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় হেনস্তা শিকার তনুশ্রী সাহা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় ট্যাক্সি ড্রাইভারের হেনন্তার শিকার হয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা। তিনি কালারস বাংলার রামকৃষ্ণ সিরিয়ালের অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি শ্যুটিং শেষে বাইক বুকিং করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ড্রাইভার ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করা শুরু করে।

তিনি বলেন, টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে এখন শ্যুটিং চলছে। তাই দেরি হয়ে গেলে আমি ক্যাব বাইক বুকিং করে নিই। যথারীতি গতকাল রাতেও সেটাই করেছি। ড্রাইভার শুরুতেই ১২০-১৩০ বেশি চাইলেন। নিয়মিত এমন বাড়তি ভাড়ার চাপে পড়তে হয়।

তাই আমি সেইভাবেই রাজি হই। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই বেপরোয়াভাবে চালাতে শুরু করে ড্রাইভার। আমি দু-তিনবার অ্যাক্সিডেন্ট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছি। এক সময় আমি বলতে বাধ্য হই, দাদা প্লিজ এভাবে গাড়ি চালাবেন না। আপনার হয়তো বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই, আমার কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, এরপরই ফাঁকা রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে তাকে নামতে বলা হয়।

তনুশ্রী বলেছিলেন, আমি তো এখানে নামব না, লোকেশন যেখানে দেয়া সেখানেই নামব। এরপর তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করে সে বলে তো যাব না, তুই এখনই গাড়ি থেকে নাম। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আমায় মারতে আসে। সেই সময় আমি চিৎকার শুরু করি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি কলকাতা পুলিশকে ফোন করি। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোটা টিম ওখানে পৌঁছে যায়। এরপর কলকাতা পুলিশ আমায় গাড়ি বুকিং করে দেয়, আমি সাবধানে বাড়ি ফিরি। তবে আমি একটা কথাই বলব, এটা তো প্রতিদিন কারও না কারও সঙ্গে ঘটছে। তাই আমার মনে হয় ভয় পেয়ে কিছু হবে না। প্রতিবাদ করাটা খুব দরকার। তাহলে আশাকরি বোঝানো যাবে কেউ দুর্বল নয়।

নিউজ ট্যাগ: তনুশ্রী সাহা

আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপনাদের মনে আছে গতবছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্ঠাকে বিএনপি হাজির করেছিল। ভুয়া উপদেষ্ঠা যখন বিএনপি কার্যালয়ে, তখন দেখি শুধু ইংরেজি বলে। পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়াইয়া বাংলা বলে।

তিনি বলেন, তার আগে বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল। সেই সময়ে বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। অমিত শাহর অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ ছাড়া হয়েছিল সেটা অমিত শাহর নয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াত। আর দেন দরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়, কোন লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরো বেশি মানুষ ভোট দিত। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা, মানুষের উপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করত তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হত। গত দুতিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিওবা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোন হুমকি ছিলনা।   

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হত তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্র প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানিং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।

বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাবার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সঙ্কট তৈরী হয়। খাদ্য সঙ্কট তৈরী করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভুমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্ঠা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দিব। ওনারই সন্তান মঈন খান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই এই সফরে এসেছিলেন। এবং আমার সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কিভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। এমনকি আমরা যদি কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু রিফর্ম করি তাহলে আমাদেরকে জিএসপি সুবিধাও ফিরিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ও তারা ব্যক্ত করেছেন। একইসাথে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে তাদের একটি বিশেষ তহবিল আছে। সেখান থেকে তারা সাহার্য্য করার কথাও বলেছেন। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছি। এজন্যই বিএনপির মাথাটা বেশি খারাপ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা, এইদেশে আর কোন বিকল্প নাই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরেরমত হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।

তিনি বলেন, এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপলস। এই চারটি অনুসঙ্গকে আমরা সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই অভিযাত্রায়ও বিজয়ী হব। কিন্তু আমাদের অভিযাত্রাকে আটকে দিতে চান বিএনপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণেই নানা ষড়যন্ত্র।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু , সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান প্রমুখ।

এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চট্টগ্রাম নগরীর কদম মোবারক এতিমখানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগর সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর